০৪:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৩:১৮:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩
  • / ১৫৮১ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আজ ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এদিন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন জাতির মহানায়ক। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে জাতি বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করে। দিবসটি উদযাপনে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।
৮ জানুয়ারি ১৯৭২। পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগারে দীর্ঘ ৯ মাস কারাভোগের পর, মুক্তি লাভ করেন বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

কারামুক্তির পর পাকিস্তান থেকে বঙ্গবন্ধু যান লণ্ডনে। সেখানে কথা বলেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ,বাংলাদেশের তৎকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি তাজউদ্দিন আহমদ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে।
ব্রিটেনের বিমান বাহিনীর বিমানে করে পরদিন ৯ জানুয়ারি দেশের পথে যাত্রা করেন বঙ্গবন্ধু।
যাত্রা পথে ১০ জানুয়ারি সকালে দিল্লীতে নামে বঙ্গবন্ধু। সেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, তিন বাহিনীর প্রধানসহ দেশটির জনগণের উষ্ণ সংবর্ধনায় অভিসিক্ত হন বাঙালির মহানায়ক।
মুক্তিযুদ্ধে অকৃপণ সাহায্যের জন্য ভারতবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জাতির পিতা।

তারপরই দেশের উদ্দেশে যাত্রা করেন। দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দরে পৌছায় বঙ্গবন্ধুকে বহনকারি বিশেষ বিমান। নিজ মাটিতে আপনজনের সংস্পর্শে আবেগে আপ্লুত হন জাতির পিতা।
স্বাধীন দেশের মাটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে দেয়া হয় প্রথম গার্ড অব অনার।
বিমান বন্দরের বাইরে বঙ্গবন্ধুকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানাতে অপেক্ষায় লাখো জনতা। নিজেদের সবটুকু উচ্ছ্বাস ও আবেগ দিয়ে প্রিয় নেতাকে সম্বর্ধনা জানান তারা। বিমান বন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত ঢল নামে সবশ্রেনী পেশার মানুষের।
বিকাল পাঁচটায় রেসকোর্স ময়দানে ১০ লাখ মানুষের সমাবেশে ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু।ঐতিহাসিক ধ্রুপদি বক্তৃতায় তিনি তুলে ধরেন জন্মভূমিতে ফেরার অনুভূতি।

বিনম্র শ্রদ্ধায় শহীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার উদাত্ত আহ্বান জানান ইতিহাসের মহানায়ক।

মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও দেশ ও জাতির মর্যাদার প্রশ্নে আপোষহীন দৃঢ়তা ছিল বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে।
অশ্রু সজল চোখে বঙ্গবন্ধু জানিয়েছিলেন তাঁর অন্তিম ইচ্ছের কথা।

নিজেদের মাঝে প্রিয় নেতাকে ফিরে পেয়ে সেদিন সাড়ে সাত কোটি বাঙালি আনন্দাশ্রুতে সিক্ত হয়। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনিতে মুখুরিত হয়ে ওঠে করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের আকাশ-বাতাস।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ

আপডেট সময় : ০৩:১৮:২৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩

আজ ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। পাকিস্তানের বন্দীদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এদিন সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন করেন জাতির মহানায়ক। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে জাতি বিজয়ের পূর্ণ স্বাদ গ্রহণ করে। দিবসটি উদযাপনে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো।
৮ জানুয়ারি ১৯৭২। পাকিস্তানের মিয়ানওয়ালি কারাগারে দীর্ঘ ৯ মাস কারাভোগের পর, মুক্তি লাভ করেন বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

কারামুক্তির পর পাকিস্তান থেকে বঙ্গবন্ধু যান লণ্ডনে। সেখানে কথা বলেন, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ,বাংলাদেশের তৎকালীন অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি তাজউদ্দিন আহমদ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে।
ব্রিটেনের বিমান বাহিনীর বিমানে করে পরদিন ৯ জানুয়ারি দেশের পথে যাত্রা করেন বঙ্গবন্ধু।
যাত্রা পথে ১০ জানুয়ারি সকালে দিল্লীতে নামে বঙ্গবন্ধু। সেখানে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভিভি গিরি, প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী, তিন বাহিনীর প্রধানসহ দেশটির জনগণের উষ্ণ সংবর্ধনায় অভিসিক্ত হন বাঙালির মহানায়ক।
মুক্তিযুদ্ধে অকৃপণ সাহায্যের জন্য ভারতবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন জাতির পিতা।

তারপরই দেশের উদ্দেশে যাত্রা করেন। দুপুর ১টা ৪১ মিনিটে ঢাকার তেজগাঁও বিমানবন্দরে পৌছায় বঙ্গবন্ধুকে বহনকারি বিশেষ বিমান। নিজ মাটিতে আপনজনের সংস্পর্শে আবেগে আপ্লুত হন জাতির পিতা।
স্বাধীন দেশের মাটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে দেয়া হয় প্রথম গার্ড অব অনার।
বিমান বন্দরের বাইরে বঙ্গবন্ধুকে প্রাণঢালা সংবর্ধনা জানাতে অপেক্ষায় লাখো জনতা। নিজেদের সবটুকু উচ্ছ্বাস ও আবেগ দিয়ে প্রিয় নেতাকে সম্বর্ধনা জানান তারা। বিমান বন্দর থেকে রেসকোর্স ময়দান পর্যন্ত ঢল নামে সবশ্রেনী পেশার মানুষের।
বিকাল পাঁচটায় রেসকোর্স ময়দানে ১০ লাখ মানুষের সমাবেশে ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু।ঐতিহাসিক ধ্রুপদি বক্তৃতায় তিনি তুলে ধরেন জন্মভূমিতে ফেরার অনুভূতি।

বিনম্র শ্রদ্ধায় শহীদের আত্মত্যাগের কথা স্মরণ করে স্বাধীন বাংলাদেশ গড়ার উদাত্ত আহ্বান জানান ইতিহাসের মহানায়ক।

মৃত্যুর মুখে দাঁড়িয়েও দেশ ও জাতির মর্যাদার প্রশ্নে আপোষহীন দৃঢ়তা ছিল বঙ্গবন্ধুর কণ্ঠে।
অশ্রু সজল চোখে বঙ্গবন্ধু জানিয়েছিলেন তাঁর অন্তিম ইচ্ছের কথা।

নিজেদের মাঝে প্রিয় নেতাকে ফিরে পেয়ে সেদিন সাড়ে সাত কোটি বাঙালি আনন্দাশ্রুতে সিক্ত হয়। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ ধ্বনিতে মুখুরিত হয়ে ওঠে করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের আকাশ-বাতাস।