বগুড়ায় বিষাক্ত মদপানে আরও ৩ জনের মৃত্যু ঘটেছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ জনে। মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়। এর আগে সোমবার মৃত্যু হয় ৭ জনের ।

মৃত ৭ ব্যক্তি হলেন, রাজমিস্ত্রী রমজান আলী, সুমন, চা বিক্রেতা সাজু, বাবুর্চি মোজাহার আলী, পলাশ, আলমগীর ও অটোচালক আব্দুল কালাম। গত ৩১ জানুয়ারি রাতে পুরান বগুড়া, ভবের বাজার, কাহালু, ফুলবাড়ি ও কাটনারপাড়া এলাকায় আলাদা ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা জানান, পুরান বগুড়ার দিয়াবাড়িতে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে বিষাক্ত মদ পান করেন কয়েকজন। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যদিকে শহরের কালিতলা, ফুলবাড়ি ও কাটনারপাড়া এলাকায় মদপান করে আরো কয়েকজন। তারাও অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সাত জনের মৃত্যু হয়।

বগুড়ায় বিষাক্ত মদপানে অসুস্থদের মধ্যে আরো চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে নয়জনে। তবে পুলিশের হিসাবে মৃতের সংখ্যা ৭জন।

সোমবার রাতে যে চারজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে তারা হলেন- বগুড়া শহরের পুরান বগুড়া ঋষি পল্লীর প্রেমনাথ রবিদাস(৬০), শহরতলীর ফাঁপোড়ের রিক্সা চালক জুলফিকার আলী (৫২), ফুলবাড়ি মধ্যপাড়ার আব্দুল জলিলের ছেলে পলাশ(৩৫) ও নিশিন্দারা ধমকপাড়ার আলমগীর হোসেন(৪০)।

এদের মধ্যে প্রেমনাথ ও পলাশ বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

এর আগে ভোর রাতে প্রেমনাথের ছেলে সুমন রবিদাস(৩৫) বিষাক্ত মদ পানে একই হাসপাতালে মারা যান। তার চাচা রামনাথ রবিদাস ও পলাশের ভাই পায়েল বিষাক্ত মদপানে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এছাড়া বিষাক্ত মদপানে অসুস্থ হয়ে আলমগীর ও জুলফিকার নামের দু’জন রবিবার রাতে নিজ নিজ বাড়িতে মারা গেছেন।

তবে বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর বলেন হাসপাতালে প্রেমনাথ ও পলাশ মারা গেছেন। আলমগীর নামে একজন মারা যাওয়ার খবর পেয়ে তার বাড়িতে পুলিশ গিয়ে জানতে পেরেছে তিনদিন আগে থেকে অসুস্থ থাকা আলমগীর সোমবার মারা গেছে।