পানি শূণ্য কুড়িগ্রামের ১৬টি নদ-নদী
- আপডেট সময় : ০৬:২২:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মার্চ ২০২১
- / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
প্রায় পানিশুন্য হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রাম জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদী। এসব নদীর বুকে জেগে উঠেছে অসংখ্য চর। এতে করে কর্মহীন হয়ে পড়েছেন নদীকেন্দ্রিক জীবিকা নির্বাহকারী হাজার হাজার পরিবার। শুধু জীবিকায় নয়, এর প্রভাব পড়েছে পরিবেশ ও জীব-বৈচিত্র্যেও।
কুড়িগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ব্রহ্মপুত্র, দুধকুমার এবং লালমনিরহাট সীমান্ত দিয়ে ধরলা ও তিস্তা বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে এ জেলার উপর দিয়ে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়েছে। বছরের পর বছর ড্রেজিংয়ের অভাবে এসব নদ-নদীর তলদেশ ভরাট হয়ে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে দু’কুল ছাপিয়ে ভয়াবহ বন্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আবার শুষ্ক মৌসুম আসার আগেই শুকিয়ে যাচ্ছে এসব নদ-নদী।
পুরো নদীর বুক জুড়ে অসখ্য চর জেগে উঠায় এবং পানির স্রোত থেমে যাওয়ায় বন্ধ রয়েছে নৌ-পথ। বেকার হয়ে পড়েছেন নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করা মৎস্যজীবিরাও।
নদী পাড়ের মানুষেরা বলছেন এক সময় এই নদীতে শুকনো মৌসুমেও পানির স্রোতে নৌকা চলতো। নদীর পানিতেই চলতো কৃষি কাজও। কিন্তু পুরোটাই উল্টো চিত্র। বর্ষাকালে দু’কুল প্লাবিত হয়ে সৃষ্টি হয় ভয়াবহ বন্যার। আবার শুকনো মৌসুমে নদীর বুক জুড়ে ধু ধু বালু চর।
জলবায়ুর পরিবর্তনের ফলে নদীর এই বৈরি আচরণ বলে মনে করছেন প্রকৃতি বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন শুকনো মৌসুমে নদী পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়ায় বড় বড় বিলগুলোও পানি শুন্য হয়ে পড়ছে। যার বিরুপ প্রভাব পড়ছে প্রকৃতি ও প্রাণিকুলের মাঝেও।
নদী শাসন ও ড্রেজিংয়ের মাধ্যমে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে কাজ চলছে বলে জানালেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ কর্মকতা।
পরিচর্যার অভাবে উপুর্যপরি নদী ভাঙ্গনে তলদেশ ভড়াট হয়ে গভীরতা কমে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে শুকনো মৌসুম আসলেই থমকে পড়ছে নদী কেন্দ্রীক মানুষের জীবন যাত্রা। দ্রুত নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে এনে প্রকৃতি ও জীব-বৈচিত্রের ভারসাম্য রক্ষার দাবী বিশেষজ্ঞ ও নদী পাড়ের মানুষের।