পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থতা কেন বেআইনি হবে না মর্মে হাইকোর্টের রুল
- আপডেট সময় : ০৭:০৯:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ১৫০৯ বার পড়া হয়েছে
সুইস ব্যাংকসহ বিদেশী ব্যাংকে পাচার হওয়া অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা ও নিস্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ আজ এই রুল জারি করেন। একই সঙ্গে বিদেশে পাচার হওয়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অর্থ উদ্ধারে বিশেষায়িত কমিটি গঠনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না সে সম্পর্কেও জানতে চায় আদালত। এদিন অর্থ পাচার রোধে ৩টি রুল এবং একটি অন্তবর্তী আদেশ দেয় হাইকোর্ট।
অর্থের উৎস নিয়ে কোনো প্রশ্ন করা হয়না বলে সারা দুনিয়ার বিত্তশালী এবং বিখ্যাত মানুষদের অঢেল অর্থ রাখার প্রথম পছন্দ সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক। তবে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর চাপের মুখে বর্তমানে ৭৫টি দেশের সঙ্গে তথ্য বিনিময় চুক্তি করলেও সেই তালিকায় নেই বাংলাদেশ। অন্যদিকে বাংলাদেশী ধনকুবের মুসা বিন শমসের ৯৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা জব্দ রয়েছে সুইস ব্যাংকে।
রোববার ছিল অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়ে হাইকোর্টের পূর্ব নির্ধারিত স্বপ্রনোদিত রুলে শুনানি। এদিন বিদেশে মাটিতে অর্থ পাচারকারিদের বিষয়ে তথ্য চেয়ে পররাষ্ট্র স্বরাষ্ট্র, ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তথ্য চেয়ে দেওয়া চিঠি আদালতে তুল ধরে দুদক।
শুনানি শেষে অর্থপাচাররোধে সংশ্লিষ্টদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তার ব্যাখ্যা চেয়ে রুল জারি করে হাইকোর্ট।
আলোচনায় আসে পানামা পেপার্স ক্যালেঙ্কারি সঙ্গে জড়িতদের প্রসঙ্গ। এসময় তদন্তের সবশেষ অগ্রগতি তুলে ধরেন দুদকের আইনজীবী জানান
এ বিষয়ে আইনজীবীদের করা রিট এবং স্বপ্রনোদিত রুলের বিষয়ে একই সঙ্গে শুনানির সিদ্ধান্ত জানায় উচ্চ আদালত।
আইনজীবীরা জানান, আগামী ৩০ মার্চ পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য্য করে মুলতবি হয় আলোচিত এই মামলার শুনানি।