০৭:৪২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টিতেও পাকিস্তানের কাছে বড় ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৮:০৯:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২০
  • / ১৫১৭ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টিতেও পাকিস্তানের কাছে বড় ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ। ৯ উইকেটের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিতলো স্বাগতিক শিবির। লাহোরে টস জিতে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৩৬ রানের পূঁজি পায় বাংলাদেশ। ফিফটি পেরিয়েছেন একমাত্র তামিম ইকবাল। সাত চার ও এক ছক্কায় ৫৩ বলে করেছেন ৬৫ রান। জবাবে বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজের তাণ্ডবে ২০ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় পাকিস্তান।

বহুল আলোচিত পাকিস্তান সফরে আরো একবার ধরাশয়ী বাংলাদেশ। এ সিরিজের আগে যে দলটা ৭ টি-টুয়েন্টি ম্যাচে জয়হীন, সে দলটার কাছেই কিনা এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ হারলো মাহমুদউল্লাহরা।

অথচ ছোট লক্ষ্য দিয়েও আহসান আলীকে শূন্য রানে ফিরিয়ে স্বাগতিকদের সতর্ক বার্তা দিয়েছিলেন শফিউল ইসলাম, নিজের প্রথম ওভারে।

বোলাদের লড়াই অবশ্য ওখানেই শেষ। বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজের বেপোরোয়া ব্যাটিংয়ে আর ফিরে তাকাতে হয়নি পাকিস্তানকে। এদুয়ের অবিচ্ছিন্ন ১৩১ রানের জুটিতে লক্ষ্যে পৌঁছায় স্বাগতিকরা। বাবর আজম ৬৬ ও ৬৭ রানে অপরাজিত ছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ।

প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও টস জয়ই ছিলো একমাত্র পাওয়া টাইগারদের। লাহোরে এ ম্যাচে উইকেটের ধীরগতি ছিলো স্পস্ট। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে হোঁচট খায় বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন অনভিজ্ঞ নাইম শেখ।

একাদশে প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়ে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি মেহেদী হাসান। ১২ বলে ৯ রান করে বিদায় নেনে এ ডান-হাতি।

বিপিএলের ফর্মকে পাকিস্তান পর্যন্ত টেনে নিতে পারেননি লিটন দাস। এ ম্যাচেও ব্যর্থ এই উইকেট রক্ষক। ব্যক্তিগত ৮ রানে লিটন যখন ফিরেছেন দলের স্কোর তখন ৩ উইকেটে ৪১।

পঞ্চম উইকেটে বিপর্যয় কাটানোর চেস্টায় তামিম ইকবাল ও আফিফ হোসাইন। এ দুয়ের ৪৫ রানের প্রতিরোধ ভাঙে আফিফের ২১ রানের বিদায়ে।

একপ্রান্তে অবিচল তামিম ইকবাল। তবে, তার সর্বোচ্চ ৬৫ ইনিংসটি যতটা উজ্জ্বল, স্ট্রাইকরেট ছিলো ততটাই বিবর্ন। ৫৩ বলে তার ইনিংসটি সাজানো ছিলো ৭ বাউন্ডারি আর ১ ওভার বাউন্ডারিতে।

পরিকল্পনাহীন ব্যাটিং অর্ডারে শেষে দিকেও বিশৃঙ্খলার ছাপ ছিলো স্পষ্ট। মাহমুদউল্লাহ নেমেছেন ৬ নম্বরে। নামের পাশে ১২ বল ১২ রান বড্ড বেমানান।

টপঅর্ডারের সৌম্য সরকার ৭ তে নেমে অপরাজিত ছিলেন ৫ রানে। সঙ্গে আমিনুলের অবদান ৮ রান। তাতে ৬ উইকেটে ১৩৬ রানের পূজিঁ পায় বাংলাদেশ।

তিন ম্যাচের সিরিজে টানা দুই হারের সিরিজ হারলেও, হোয়াইটওয়াশ এড়ানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টিতেও পাকিস্তানের কাছে বড় ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ০৮:০৯:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২০

দ্বিতীয় টি-টুয়েন্টিতেও পাকিস্তানের কাছে বড় ব্যবধানে হারলো বাংলাদেশ। ৯ উইকেটের জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জিতলো স্বাগতিক শিবির। লাহোরে টস জিতে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ১৩৬ রানের পূঁজি পায় বাংলাদেশ। ফিফটি পেরিয়েছেন একমাত্র তামিম ইকবাল। সাত চার ও এক ছক্কায় ৫৩ বলে করেছেন ৬৫ রান। জবাবে বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজের তাণ্ডবে ২০ বল হাতে রেখে লক্ষ্যে পৌঁছায় পাকিস্তান।

বহুল আলোচিত পাকিস্তান সফরে আরো একবার ধরাশয়ী বাংলাদেশ। এ সিরিজের আগে যে দলটা ৭ টি-টুয়েন্টি ম্যাচে জয়হীন, সে দলটার কাছেই কিনা এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ হারলো মাহমুদউল্লাহরা।

অথচ ছোট লক্ষ্য দিয়েও আহসান আলীকে শূন্য রানে ফিরিয়ে স্বাগতিকদের সতর্ক বার্তা দিয়েছিলেন শফিউল ইসলাম, নিজের প্রথম ওভারে।

বোলাদের লড়াই অবশ্য ওখানেই শেষ। বাবর আজম ও মোহাম্মদ হাফিজের বেপোরোয়া ব্যাটিংয়ে আর ফিরে তাকাতে হয়নি পাকিস্তানকে। এদুয়ের অবিচ্ছিন্ন ১৩১ রানের জুটিতে লক্ষ্যে পৌঁছায় স্বাগতিকরা। বাবর আজম ৬৬ ও ৬৭ রানে অপরাজিত ছিলেন মোহাম্মদ হাফিজ।

প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও টস জয়ই ছিলো একমাত্র পাওয়া টাইগারদের। লাহোরে এ ম্যাচে উইকেটের ধীরগতি ছিলো স্পস্ট। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে হোঁচট খায় বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন অনভিজ্ঞ নাইম শেখ।

একাদশে প্রথমবারের মতো সুযোগ পেয়ে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি মেহেদী হাসান। ১২ বলে ৯ রান করে বিদায় নেনে এ ডান-হাতি।

বিপিএলের ফর্মকে পাকিস্তান পর্যন্ত টেনে নিতে পারেননি লিটন দাস। এ ম্যাচেও ব্যর্থ এই উইকেট রক্ষক। ব্যক্তিগত ৮ রানে লিটন যখন ফিরেছেন দলের স্কোর তখন ৩ উইকেটে ৪১।

পঞ্চম উইকেটে বিপর্যয় কাটানোর চেস্টায় তামিম ইকবাল ও আফিফ হোসাইন। এ দুয়ের ৪৫ রানের প্রতিরোধ ভাঙে আফিফের ২১ রানের বিদায়ে।

একপ্রান্তে অবিচল তামিম ইকবাল। তবে, তার সর্বোচ্চ ৬৫ ইনিংসটি যতটা উজ্জ্বল, স্ট্রাইকরেট ছিলো ততটাই বিবর্ন। ৫৩ বলে তার ইনিংসটি সাজানো ছিলো ৭ বাউন্ডারি আর ১ ওভার বাউন্ডারিতে।

পরিকল্পনাহীন ব্যাটিং অর্ডারে শেষে দিকেও বিশৃঙ্খলার ছাপ ছিলো স্পষ্ট। মাহমুদউল্লাহ নেমেছেন ৬ নম্বরে। নামের পাশে ১২ বল ১২ রান বড্ড বেমানান।

টপঅর্ডারের সৌম্য সরকার ৭ তে নেমে অপরাজিত ছিলেন ৫ রানে। সঙ্গে আমিনুলের অবদান ৮ রান। তাতে ৬ উইকেটে ১৩৬ রানের পূজিঁ পায় বাংলাদেশ।

তিন ম্যাচের সিরিজে টানা দুই হারের সিরিজ হারলেও, হোয়াইটওয়াশ এড়ানোই এখন বড় চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের।