দ্বিতীয়বার উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জিতলো চেলসি। পর্তুগালের পোর্তোতে অল ইংলিশ ফাইনালে ম্যানচেস্টার সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়ে ইউরোপ সেরা ব্লুজরা। গত আসরে পিএসজিকে ফাইনালে তুলেও যে স্বপ্ন বাস্তবে রূপ পায়নি এবার চেলসিকে নিয়ে তা পূরণ করলেন কোচ থমাস টাচেল।আগুয়েরো, কেভিন ডি ব্রুইনা, গুন্দোয়ানদের নিয়ে পুরো ম্যাচে ৫৮ শতাংশ বল দখলে রেখেও গোলের দেখা পায়নি গার্দিওলার ম্যান সিটি।

একজন মানুষ কতটা বদলে দিতে পারে একটি দলকে। শুধু বদলে দেয়া নয় রাতারাতি পরিবর্তনও বটে। মৌসুম শেষে ফলটাও দৃশ্যমান। বলছি থমাস টাচেলের কথা। যার হাতে ধরে দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোপ সেরা মুকুট উঠেছে চেলসির হাতে। পিএসজিকে গত আসরে ফাইনালে তুললেও শিরোপা জেতা হয়নি। তবে, এবার খালি হাতে ফেরেননি। ফাইনালে ম্যান সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়ে চেলসিতে টাচেল অধ্যায় শুরু।

টাচেল দায়িত্ব নেয়ার পর এ যেন এক অন্য চেলসি। প্রিমিয়ার লিগে চতুর্থ। এফএ কাপে রানার্সআপ। একবারে শেষে ইউরোপ সেরার স্বীকৃতি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনালটা টাচেলের অধীনের ৩০তম ম্যাচ ছিল চেলসির। অথচ বার্সেলোনাকে দুই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানো পেপ গার্দিওলার সুযোগ ছিল ম্যানচেস্টার সিটিকে প্রথম শিরোপা এনে দিয়ে নিজের তৃতীয় সাফল্য পাবার।

পোর্তোতে গার্দিওলার ৪-৩-৩ ফর্মেশনে আক্রমণভাগে জায়গা হয়নি ক্লাব পরিবর্তনের আলোচনায় থাকা সার্জিও আগুয়েরোর। তবুও আক্রমণ আর বল পজিশনে শুরু থেকে এগিয়ে ম্যান সিটি।

দ্বিতীয় শিরোপার মিশনে প্রথমার্ধেই দুই সুযোগ নষ্ট হয় চেলসির। পারেননি টিমো ভের্নার। তবে ৪২ মিনিটে মধ্যমাঠ থেকে দেয়া মেসন মাউন্টের পাসকে ঠিকই গোলে রূপ দেন কাই হাভার্টজ। বৃহৎ মঞ্চে প্রমাণ করেছেন কেন ক্লাবের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ট্রান্সফার ফিতে এ মৌসুমে তাকে দলে ভিড়িয়েছে চেলসি।

বিরতির পর সিটিজেনরা আক্রমণের ধার বাড়িয়েছে আগুয়েরোকে নামিয়েছেন গার্দিওলা। তবে ধাক্কা হয়েছিল আঘাত পেয়ে কেভিন ডি ব্রুইনার মাঠ ছাড়া। আর চেলসির ছিল জাল অক্ষত রাখার তাড়া। প্রথমার্ধে দুদল লক্ষ্যে যে তিন শট নিয়েছিল দ্বিতীয়ার্ধে তা আর বাড়েনি। যদিও শেষ ৭ মিনিটের ইনজুরি টাইমে বেশ চেষ্টা চালিয়েছে সিটিজেনরা।

শেষ পর্যন্ত আর আলোর মুখ দেখেনি ম্যান সিটি। টাচেল চেলসির দায়িত্ব নেয়ার পর তিন মুখোমুখিতে শতভাগ হার গার্দিওলার ম্যান সিটির।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড লিভারপুলের পর তৃতীয় ইংলিশ ক্লাব হিসেবে দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা চেলসির। আরও সমৃদ্ধ স্ট্যামফোর্ড ব্রিজের শোকেস।