পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সবকটিসহ দেশের ৫২ উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের যুক্ত হয়ে এ ঘোষণা দেন সরকার প্রধান। দেশবাসীকে বিদ্যুৎ, পানি ও জ্বালানী ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহবান জানান তিনি। দেশের সব ভূমিহীনকেই ঘর দেয়া হবে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। এদিন আরো ২৬ হাজার ২২৯টি পরিবারকে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় তৃতীয় পর্যায়ে লক্ষ্মীপুরের রামগতি, বাগেরহাটের রামপাল, ময়মনসিংহের নান্দাইল, পঞ্চগড় সদর এবং মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। এ অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, দেশের মানুষের জীবনকে অর্থবহ করতেই এই প্রকল্প নেয়া হয়েছে। দেশের একটি মানুষও গৃহহীন থাকবে না।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে সারা বিশ্বেই এখন অর্থনৈতিক সংকট সৃষ্টি হচ্ছে। সবাইকে সাশ্রয়ী হওয়ার পাশাপাশি সঞ্চয় বাড়ানোর তাগিদও দেন প্রধানমন্ত্রী।

জমিসহ ঘর হস্তান্তরের পাশাপাশি সারাদেশের ৫২ উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন সরকার প্রধান।

অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে যুক্ত উপকারভোগীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বর্তমান সরকার দেশের প্রান্তিক মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে বদ্ধপরিকর।

দেশের কোন মানুষ গৃহহীন থাকবে না..এমন প্রত্যয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার’ কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন হুইপ ইকবালুর রহিম।

সকালে দিনাজপুর শিল্পকলা একাডেমিতে ভূমি ও গৃহহীনদের মাঝে দলিল হস্তান্তর অনুষ্ঠানে হুইপ আরো বলেন, বিএনপি ও তাদের দোসররা বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড দেখে আনন্দিত না হয়ে আত্মদংশনে ভুগছে। এটি তাদের রাজনীতির দৃশ্যমান অবক্ষয়।

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া ও ঘিওর উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা ও জেলায় আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় ৩৭৩টি ঘর ও দলিল হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই কার্যক্রমে যুক্ত হন।

এদিকে, ফেনী জেলার ৪৩৩টি গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমি ও ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। সকালে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনের সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এসময় জেলার ৪ উপজেলাকে ভূমি ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষণা করা হয়।