১০:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ মে ২০২৪

দুর্ঘটনার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক যেন মৃত্যুফাঁদে পরিণত

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৪:০১:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২০
  • / ১৫১৩ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

একের পর এক দুর্ঘটনার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক যেন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। গেল এক বছরে শুধু এই দুই মহাসড়কে ৪শোর বেশী সড়ক দুর্ঘটনায় দেড়শো মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছে আরো কয়েকশো মানুষ। ফায়ার সার্ভিস বলছে, অতিরিক্ত বাক, অসংখ্য ইউটার্ণ, ধীরগতির যান চলাচলসহ অন্তত ১০টি কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে। আর সড়ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবহন সংশ্লিষ্টরা ছাড়াও সাধারণ মানুষের অসচেতনতার পাশাপাশি রোড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ত্রুটির কারনেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে মহাসড়কগুলো।

গেল ২৮ ডিসেম্বর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের এই টার্নিংয়ে কন্টেইনারবাহী লরির ধাক্কায় দুই কন্যাসহ নিহত হন বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক সাইফুজ্জামান। একই জায়গায় পরদিন ট্রাক চাপায় আরেক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। এই মহাসড়কে এমন মৃত্যুর গল্প নিত্য দিনের ঘটনা।

দেশের সবচেয়ে বেশী বাক সমৃদ্ধ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক। ছোট-বড় দুর্ঘটনার জন্য প্রায় সময়ই খবরের শিরোনাম হয় এই মহাসড়কটিও। পরিবহণ চালকরা বলছেন, মহাসড়কের পাশে বাজার, অপরিকল্পিত সংযোগসড়ক ও ইউটার্ন, ধীরগতির যান চলাচল বৃদ্ধিসহ বেহাল সড়ক ব্যবস্থার কারণে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না যানবাহন।

ফায়ার সার্ভিসের পরিসংখ্যন বলছে, ২০১৯ সালে এই দুই মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪২৮টি। আর এতে প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ১৬১ জন মানুষ। আহতের পরিমাণ প্রায় ৯ শতাধিক। সংস্থাটি দুর্ঘটনার ১০টি কারণ চিহ্নিত করে তা রোধে কতিপয় সুপারিশ করলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি আজো।

আর সড়ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোড ক্যাপাসিটির চেয়ে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি, অদক্ষ চালক, সাধারণ মানুষের অসচেতনতার চেয়েও রোড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ত্রুটিই দুর্ঘটনা বাড়ার মুল কারণ।

চট্টগ্রাম সিটি গেইট থেকে মিরসরাই পর্যন্ত ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘেষে কয়েকটি অফডকসহ গড়ে উঠেছে অসংখ্য ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের ভারি যানবাহনগুলোর বেপরোয়া চলাচলও সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম অনুসঙ্গ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। ফুটেজ-১ ও ২

 

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

দুর্ঘটনার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক যেন মৃত্যুফাঁদে পরিণত

আপডেট সময় : ০৪:০১:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ জানুয়ারী ২০২০

একের পর এক দুর্ঘটনার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক যেন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। গেল এক বছরে শুধু এই দুই মহাসড়কে ৪শোর বেশী সড়ক দুর্ঘটনায় দেড়শো মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। চিরতরে পঙ্গু হয়ে গেছে আরো কয়েকশো মানুষ। ফায়ার সার্ভিস বলছে, অতিরিক্ত বাক, অসংখ্য ইউটার্ণ, ধীরগতির যান চলাচলসহ অন্তত ১০টি কারণে দুর্ঘটনা বাড়ছে। আর সড়ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিবহন সংশ্লিষ্টরা ছাড়াও সাধারণ মানুষের অসচেতনতার পাশাপাশি রোড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ত্রুটির কারনেই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠছে মহাসড়কগুলো।

গেল ২৮ ডিসেম্বর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের এই টার্নিংয়ে কন্টেইনারবাহী লরির ধাক্কায় দুই কন্যাসহ নিহত হন বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক সাইফুজ্জামান। একই জায়গায় পরদিন ট্রাক চাপায় আরেক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়। এই মহাসড়কে এমন মৃত্যুর গল্প নিত্য দিনের ঘটনা।

দেশের সবচেয়ে বেশী বাক সমৃদ্ধ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক। ছোট-বড় দুর্ঘটনার জন্য প্রায় সময়ই খবরের শিরোনাম হয় এই মহাসড়কটিও। পরিবহণ চালকরা বলছেন, মহাসড়কের পাশে বাজার, অপরিকল্পিত সংযোগসড়ক ও ইউটার্ন, ধীরগতির যান চলাচল বৃদ্ধিসহ বেহাল সড়ক ব্যবস্থার কারণে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না যানবাহন।

ফায়ার সার্ভিসের পরিসংখ্যন বলছে, ২০১৯ সালে এই দুই মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪২৮টি। আর এতে প্রাণ হারিয়েছে কমপক্ষে ১৬১ জন মানুষ। আহতের পরিমাণ প্রায় ৯ শতাধিক। সংস্থাটি দুর্ঘটনার ১০টি কারণ চিহ্নিত করে তা রোধে কতিপয় সুপারিশ করলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি আজো।

আর সড়ক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোড ক্যাপাসিটির চেয়ে যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি, অদক্ষ চালক, সাধারণ মানুষের অসচেতনতার চেয়েও রোড ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ত্রুটিই দুর্ঘটনা বাড়ার মুল কারণ।

চট্টগ্রাম সিটি গেইট থেকে মিরসরাই পর্যন্ত ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক ঘেষে কয়েকটি অফডকসহ গড়ে উঠেছে অসংখ্য ভারি শিল্প প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানের ভারি যানবাহনগুলোর বেপরোয়া চলাচলও সড়ক দুর্ঘটনার অন্যতম অনুসঙ্গ হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। ফুটেজ-১ ও ২