উজানের ঢলে নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে দেশের বিভিন্ন জেলায়। নদীতীরের অনেক এলাকায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।রোপা-আমনসহ তলিয়ে গেছে সবজি ক্ষেত। অন্যদিকে দুর্গত এলাকায় দেখা দিয়েছে খাবারের তীব্র সংকট।

নেমে আসা ঢল আর অবিরাম বর্ষণে সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে গাইবান্ধায়। গত ১২ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি পয়েন্টে ৬ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি আরো বেড়েছে। সারিয়াকান্দি উপজেলায় মথুরাপাড়া পয়েন্টে যমুনার পানি বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে যমুনা, ব্রহ্মপুত্রসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জামালপুরের বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হয়েছে।

কুড়িগ্রামে ধরলার নদীর পানি ১৩ সেন্টিমিটার ও ব্রহ্মপুত্রের নদের পানি বিপদসীমার ৪২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে করে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার চর ও দ্বীপ চরের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি জীবন-যাপন করছে।

গত ২৪ ঘন্টায় সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি আরো বেড়ে বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার এবং সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ পয়েন্টে ৪৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

মানিকগঞ্জের যমুনা নদীর পানি আরিচা পয়েন্টে ৮ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদ সীমার ১৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ফরিদপুরেও অবনতি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। পদ্মা নদীর পানি ৩ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপদ সীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

মাদারীপুরে পদ্মা ও আড়িয়াল খাঁ নদে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে বসতবাড়ি ও ফসলি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। ভিটে মাটি ও ফসলি জমি হারিয়ে খোলা আকাশের নীচে মানবেতর জীবন যাপন করছে ভাঙ্গন কবলিতরা।

আবারও পদ্মার পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মা নদীর রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ পয়েন্টে ৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে পানি বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।