টোকিও অলিম্পিক শুরু হতে আর মাত্র কয়েক ঘন্টা বাকি। শুক্রবার থেকে নিজেদের শ্রেষ্ঠতো প্রমাণে লড়াই নামবেন ২০৬ দেশের ১১ হাজারেরও বেশি অ্যাথলেট। নতুন স্বপ্নে অলিম্পিকে গেছে বাংলাদেশও।করোনায় এলোমেলো সব। করোনা সংক্রমণের কারণে অ্যাথলেট ও কর্মকর্তাদের নামতে হবে মাস্ক পরে। পদক দেয়ার নিয়মেও পরিবর্তন এনেছে কর্তপক্ষ। নানা বিধিনিষেধ আর দর্শকশূণ্য অলিম্পিক আয়োজনের পরও বিশ্বের কাছে উদাহরণ তৈরি করতে মরিয়া জামান।

নানা জল্পনা কল্পনার অবসান। অবশেষে মাঠের গড়ানোর অপেক্ষায় বিশ্ব স্পোর্টসের বিগেস্ট ইভেন্ট টোকিও অলিম্পিকের।

সময় যত ঘনিয়ে এসেছে জাপানে ততোই বেড়েছে অ্যাথলেটদের আনাগোনা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণও। নতুন নতুন বিধিনিষেধ আর নিয়মের বেড়াজালে বন্দী হচ্ছে টোকিওবাসী।

এমন বাস্তবতায় প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহারে সতর্কতার চূড়ান্ত প্রদশর্নী জাপানের রাজধানী টোকিওতে। বিমানবন্দরে নামলেই মিলছে না টোকিওতে প্রবেশের অনুমতি। আগে থেকে নেয়া অনুমতির প্রমাণ দেখিয়ে, করোনা নেগেটিভ হয়ে মোবাইল ফোনে এক্টিভেট করতে হচ্ছে ওচা অ্যাপ। যা জাপানে থাকাকালীন পুরোটা সময় অনুসরণ করবে আপনাকে।

দর্শক প্রবেশের অনুমতি নেই। সাংবাদিক, সম্প্রচারকর্মী আর গেমসের সাথে জড়িতের প্রথম তিনদিন করোনা পরীক্ষা করতে হচ্ছে। পরবর্তীতে চারদিন পর পর একবার। তবে অ্যাথলেটদের ক্ষেত্রে নিয়মটা আরো কড়াকড়ি। প্রতিদিন করোনা পরীক্ষা। আর যারাই এই সময়টায় টোকিওতে অবস্থান করবেন কেউই ব্যবহার করতে পারবেন না পাবলিক ট্রান্সপোর্ট, যেতে পারবেন না কোনো পর্যটন কেন্দ্র, শপিংমল বা রেস্টুরেন্টে। অন্তত প্রথম ১৪দিন।

তবে, এতোসব কড়াকড়ির মাঝেও হারাচ্ছে না জৌলুস। উত্তেজনা আর রোমঞ্চ নিয়ে প্রস্তুত ৩২তম আসর।যেখানে নিজেদের শ্রেষ্ঠতো প্রমাণে মাঠ মাতাবেন ২০৬ দেশের ১১ হাজারেরও বেশি অ্যাথলেট। যার মধ্যে আছে বাংলাদেশও। স্বপ্ন যাত্রায় এর মধ্যে টোকিও গেছেন রোমান সানা-আবদুল্লাহ হেল বাকিসহ ৬ অ্যাথলেট।

করোনার ভয়, ইনজুরি, কোয়ালিফাই করতে না পারাসহ বিভিন্ন কারণে অংশ নিতে পারছেন না বহু বড় তারকা। মাইকেল ফেলপস ও উসাইন বোল্টের মতো গ্রেট অলিম্পিয়ানকে মিস করবে টোকিও অলিম্পিক।অ্যাথলেটিক্সে ফারাহ, জাস্টিন গ্যাটলিন, টেনিসে রজার ফেদেরার, রাফায়েল নাদাল, সেরেনা উইলিয়ামসদের ছাড়াই হচ্ছে এবারের আসর।