০৫:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৪ মে ২০২৪

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কারণে বন্ধ চট্টগ্রামের খালগুলোর প্রবেশমুখ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৮:০৩:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মার্চ ২০২১
  • / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে ভরাট করে ফেলা হয়েছে চট্টগ্রামের প্রধান প্রধান খালগুলোর মুখ। এতে আসন্ন বর্ষায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার আশংকা করছেন নগরবিদরা। আর সিডিএর দাবি- খালের আশেপাশে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় খালের ভেতর দিয়ে রাস্তা করে কাজ চালিয়ে নিতেই বন্ধ করা হয়েছে খালগুলোর মুখ। তবে বর্ষায় আগেই তা খুলে দেয়ার চেষ্টা চলছে।

চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গিবাজার এলাকার চাক্তাই খালের চিত্র এটি। শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এখানেই কর্ণফূলীর সঙ্গে মিশেছে খালটি। গুরুত্বপুর্ণ এই খালটির মুখ দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ। কারণ জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় খালের মুখে তৈরী করা হচ্ছে স্লুইচ গেইট।

নগরীর মুরাদপুর এলাকার চশমা খালের দৃশ্য এটি। দুপাড়ে রিটেইনিং ওয়াল করতে ভরাট করা হয়েছে খালের ভেতরটা। একই চিত্র রাজাখালী, বদরখালী, কলাবাগিচা, মরিয়মবিবি কিম্বা হিজরাখালসহ অন্তত ৩৬ টি খালের। সিডিএর দাবি, খালের পাশে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় উপায়ন্তর না পেয়ে খাল ভরাট করেই জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ করতে হচ্ছে।

বিগত বছরগুলোর পরিসংখ্যান বলছে, খালগুলো খোলা থাকা অবস্থায় জোয়ারের সময় মাত্র ১০৩ লিলিমিটার বৃষ্টিপাতেই তলিয়ে যায় চট্টগ্রাম। আর এবার খালগুলো বন্ধ থাকায় ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরীর আশংকা রয়েছে । তাই যে কোন মুল্যে মার্চের মধ্যেই খালগুলোর প্রতিবন্ধকতা নিরসনের তাগিদ এই নগরবিদের।

আর নদী গবেষকরা বলছেন, খালপাড়ে জলাধার নির্মাণ, স্লুইচ গেইট, রিটেইনিং ওয়ালসহ এমন অনেক চটকদার প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে বছর বছর বাণিজ্যে নেমেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। অথচ এসবের কিছুই লাগতো না যদি ১৯৬৮ সালের মাষ্টারপ্লানের রূপে খালগুলো ফিরিয়ে আনা যেত।

সিডিএ’র তত্ত্বাবধানে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প চলমান থাকায় প্রধান প্রধান খালগুলোতে সিটি কর্পোরেশনের নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন্নের কাজও বন্ধ রয়েছে। ফলে শাখা উপশাখা খালগুলোর অবস্থাও শোচনীয়। এসব বিষয়গুলো মাথায় নিয়ে এখন থেকেই কাজ শুরু না করলে বর্ষায় ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে এই বন্দরনগরী-এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্টরা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কারণে বন্ধ চট্টগ্রামের খালগুলোর প্রবেশমুখ

আপডেট সময় : ০৮:০৩:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২২ মার্চ ২০২১

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ করতে গিয়ে ভরাট করে ফেলা হয়েছে চট্টগ্রামের প্রধান প্রধান খালগুলোর মুখ। এতে আসন্ন বর্ষায় ভয়াবহ জলাবদ্ধতার আশংকা করছেন নগরবিদরা। আর সিডিএর দাবি- খালের আশেপাশে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় খালের ভেতর দিয়ে রাস্তা করে কাজ চালিয়ে নিতেই বন্ধ করা হয়েছে খালগুলোর মুখ। তবে বর্ষায় আগেই তা খুলে দেয়ার চেষ্টা চলছে।

চট্টগ্রামের ফিরিঙ্গিবাজার এলাকার চাক্তাই খালের চিত্র এটি। শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এখানেই কর্ণফূলীর সঙ্গে মিশেছে খালটি। গুরুত্বপুর্ণ এই খালটির মুখ দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ। কারণ জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় খালের মুখে তৈরী করা হচ্ছে স্লুইচ গেইট।

নগরীর মুরাদপুর এলাকার চশমা খালের দৃশ্য এটি। দুপাড়ে রিটেইনিং ওয়াল করতে ভরাট করা হয়েছে খালের ভেতরটা। একই চিত্র রাজাখালী, বদরখালী, কলাবাগিচা, মরিয়মবিবি কিম্বা হিজরাখালসহ অন্তত ৩৬ টি খালের। সিডিএর দাবি, খালের পাশে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় উপায়ন্তর না পেয়ে খাল ভরাট করেই জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ করতে হচ্ছে।

বিগত বছরগুলোর পরিসংখ্যান বলছে, খালগুলো খোলা থাকা অবস্থায় জোয়ারের সময় মাত্র ১০৩ লিলিমিটার বৃষ্টিপাতেই তলিয়ে যায় চট্টগ্রাম। আর এবার খালগুলো বন্ধ থাকায় ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরীর আশংকা রয়েছে । তাই যে কোন মুল্যে মার্চের মধ্যেই খালগুলোর প্রতিবন্ধকতা নিরসনের তাগিদ এই নগরবিদের।

আর নদী গবেষকরা বলছেন, খালপাড়ে জলাধার নির্মাণ, স্লুইচ গেইট, রিটেইনিং ওয়ালসহ এমন অনেক চটকদার প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে বছর বছর বাণিজ্যে নেমেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। অথচ এসবের কিছুই লাগতো না যদি ১৯৬৮ সালের মাষ্টারপ্লানের রূপে খালগুলো ফিরিয়ে আনা যেত।

সিডিএ’র তত্ত্বাবধানে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প চলমান থাকায় প্রধান প্রধান খালগুলোতে সিটি কর্পোরেশনের নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন্নের কাজও বন্ধ রয়েছে। ফলে শাখা উপশাখা খালগুলোর অবস্থাও শোচনীয়। এসব বিষয়গুলো মাথায় নিয়ে এখন থেকেই কাজ শুরু না করলে বর্ষায় ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হবে এই বন্দরনগরী-এমনটাই বলছেন সংশ্লিষ্টরা।