চলমান কঠোর লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে
- আপডেট সময় : ০১:৪৩:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১
- / ১৫০৬ বার পড়া হয়েছে
চট্টগ্রামে চলমান কঠোর লকডাউনে কর্মহীন হয়ে পড়া নিম্ন আয়ের সাধারণ মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। করোনার প্রথম প্রাদুর্ভাবের সাধারণ ছুটিতে সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ের বিভিন্ন ব্যাক্তি ও সংগঠনের পক্ষ থেকে এবার তেমন কোন সহযোগীতাই পাচ্ছেনা। পেটের দায়ে অনেকেই বেরিয়ে পড়ছেন রাজপথে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দরিদ্র মানুষের ঘরে খাবার পৌছে দেয়ার ব্যবস্থা না করে লকডাউন ঘোষণায় সুফল আসছে না।
কুমিল্লার এরশাদ আলী। ছোটবেলায় বাবার হাত ধরে এসেছেন এই বন্দরনগরীতে। ঠাঁই হয়েছে নালাপাড়ার বস্তিতে। বৃদ্ধ এই ব্যক্তি আগে রিক্সা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করলেও করোনার প্রথম ধাক্কায় পেশা বদলে এখন দিনমজুর হিসেবে ঘর ছাউনীর কাজ করেন। এবারের লকডাউনে সেই কাজও বন্ধ। তাই পরিবার পরিজন নিয়ে অনিশ্চিত দিন কাটাচ্ছেন তিনি।
এরশাদ আলীর মতো এমন গল্প নালাপাড়া বস্তির ঘরে ঘরে। এখানকার পুরুষ সদস্যরা রিকসা ও অটোরিক্সা চালিয়ে আর নারীরা অন্যের বাড়ি গৃহস্থলীর কাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু লকডাউনে রাস্তায় বেরোতে মানা, আবার বাসা-বাড়িতেও ঢুকতে দিচ্ছে না কেউ। তাই কর্মহীন বস্তির বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগের মধ্যে জীবন-যাপন করছে।
একইচিত্র মতিঝর্ণা, পাহারতলী বিহারী বস্তী, আরফিনগর, আমবাগনসহ নগরীর অধিকাংশ বস্তির। টিভি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে ত্রাণ বিতরণের অসংখ্য খবর শুনলেও তা চোখে দেখেননি কেউ।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশের মতো দরিদ্র দেশগুলোতে লকডাউনের আগে যতটা প্রস্তুতি নেয়ার দরকার ছিলো সরকারের তার কিছুই ছিলো না এবার। তাই এই লকডাউনের সুফল নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
আগামীতে লকডাউনের মতো এমন সিদ্ধান্তে গেলে অর্থনীতিবিদ, ব্যবসায়ী সংগঠন ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে সমন্ময় করে পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নিয়ে সিদ্ধান্ত জানানোর পরামর্শ সংশ্লিষ্টদের। ফুটেজ-৩