০৩:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রামে দিন দিন বেড়েই চলেছে নারীর প্রতি সহিংসতা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৫৭:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ জুলাই ২০২২
  • / ১৫১৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রামে দিন দিন বেড়েই চলেছে নারীর প্রতি সহিংসতা । গেল ৬ মাসে শুধু নগরীতেই অর্ধশতাধিক ধর্ষণ মামলা রেকর্ড হয়েছে। এর বাইরে নির্যাতন, হেনস্তা ও হয়রানীর অভিযোগ রয়েছে অসংখ্য। গার্মেন্টস কর্মী থেকে শুরু করে গৃহবধু এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরাও রেহাই পাচ্ছেন না নিপিড়নের হাত থেকে। সমাজবিজ্ঞানী ও বিশ্লেষকরা বলছেন, বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন না হওয়ার পাশাপাশি ভিনদেশী সংস্কৃতির আগ্রাসন ও সামাজিক সচেতনতা অভাবে এমন ঘটনার লাগাম টানা যাচ্ছে না।

ছাত্রী নিপিড়নের ঘটনায় উত্তাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৭ জুলাই ক্যাম্পাসের বোটানিক্যাল গার্ডেন চত্ত্বরে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গেলে ছাত্রলীগ নামধারী দুবৃত্ত্বরা তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালায়। তবে ৬ দিনের মাথায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে গ্রেফতার করে।

পুলিশের হিসেবে, ২০১৭ সালে বন্দরনগরীর বিভিন্ন থানায় ধর্ষণ মামলা হয়েছিলো ১০৮ টি। পরের বছর তা দাড়ায় ১৩০ টির বেশি । ২০১৯ সালে ১৯৫ টি, ২০২০ সালে ২৪৮ টি, ২০২১-এ ২৫১ টি আর চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৪২ টি ধর্ষণ মামলা রেকর্ড হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

নারী নেত্রীরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিসংখ্যনের চেয়ে বাস্তবতা আরো ভয়ঙ্কর। কিছু কিছু ঘটনা আলোচিত হলে তার সঙ্গে জড়িতরা গ্রেফতার হয় ঠিকই, কিন্তু বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়নি এখনো।

আর সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করেন, নারীর প্রতি সহিংসতা কোন প্রেক্ষাপটে কারা ঘটাচ্ছে ; ভুক্তোভোগীরা কোন শ্রেণীর মানুষ -এসব চিহ্নিত করতে যে পরিমান গবেষণা প্রয়োজন তার কিছুই হচ্ছে না। তাই প্রতিরোধের উপায়ও বের করা সম্ভব হচ্ছে না।

অর্ধশতাধিক ঘটনা পর্যালোচনায় দেখা গেছে নির্যাতনের শিকার অন্তত ৬০ শতাংশ নারীর বয়স ৫ থেকে ২৫ এর মধ্যে। অন্যদিকে নিপীড়কদের অন্তত ৭০ শতাংশের বয়সই ৪০ বছরের ওপরে ও বিবাহিতরাই বেশি।

৫ বছরে বিভিন্ন থানায় রেকর্ড হওয়া ধর্ষন মামলার পরিসংখ্যান (শুধু মহানগর)

সাল- সংখ্যা
২০১৭-১০৮ টি
২০১৮-১৩০ টি
২০১৯- ১৯৫ টি
২০২০-২৪৮ টি
২০২১-২৫১ টি
২০২২ (জুন)- ৪২টি

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চট্টগ্রামে দিন দিন বেড়েই চলেছে নারীর প্রতি সহিংসতা

আপডেট সময় : ০১:৫৭:৫৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ জুলাই ২০২২

চট্টগ্রামে দিন দিন বেড়েই চলেছে নারীর প্রতি সহিংসতা । গেল ৬ মাসে শুধু নগরীতেই অর্ধশতাধিক ধর্ষণ মামলা রেকর্ড হয়েছে। এর বাইরে নির্যাতন, হেনস্তা ও হয়রানীর অভিযোগ রয়েছে অসংখ্য। গার্মেন্টস কর্মী থেকে শুরু করে গৃহবধু এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরাও রেহাই পাচ্ছেন না নিপিড়নের হাত থেকে। সমাজবিজ্ঞানী ও বিশ্লেষকরা বলছেন, বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন না হওয়ার পাশাপাশি ভিনদেশী সংস্কৃতির আগ্রাসন ও সামাজিক সচেতনতা অভাবে এমন ঘটনার লাগাম টানা যাচ্ছে না।

ছাত্রী নিপিড়নের ঘটনায় উত্তাল চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। ১৭ জুলাই ক্যাম্পাসের বোটানিক্যাল গার্ডেন চত্ত্বরে এক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে গেলে ছাত্রলীগ নামধারী দুবৃত্ত্বরা তাকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন চালায়। তবে ৬ দিনের মাথায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘটনার সঙ্গে জড়িত কয়েকজনকে গ্রেফতার করে।

পুলিশের হিসেবে, ২০১৭ সালে বন্দরনগরীর বিভিন্ন থানায় ধর্ষণ মামলা হয়েছিলো ১০৮ টি। পরের বছর তা দাড়ায় ১৩০ টির বেশি । ২০১৯ সালে ১৯৫ টি, ২০২০ সালে ২৪৮ টি, ২০২১-এ ২৫১ টি আর চলতি বছরে এ পর্যন্ত ৪২ টি ধর্ষণ মামলা রেকর্ড হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বলছে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে।

নারী নেত্রীরা বলছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিসংখ্যনের চেয়ে বাস্তবতা আরো ভয়ঙ্কর। কিছু কিছু ঘটনা আলোচিত হলে তার সঙ্গে জড়িতরা গ্রেফতার হয় ঠিকই, কিন্তু বিচারের দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়নি এখনো।

আর সমাজবিজ্ঞানীরা মনে করেন, নারীর প্রতি সহিংসতা কোন প্রেক্ষাপটে কারা ঘটাচ্ছে ; ভুক্তোভোগীরা কোন শ্রেণীর মানুষ -এসব চিহ্নিত করতে যে পরিমান গবেষণা প্রয়োজন তার কিছুই হচ্ছে না। তাই প্রতিরোধের উপায়ও বের করা সম্ভব হচ্ছে না।

অর্ধশতাধিক ঘটনা পর্যালোচনায় দেখা গেছে নির্যাতনের শিকার অন্তত ৬০ শতাংশ নারীর বয়স ৫ থেকে ২৫ এর মধ্যে। অন্যদিকে নিপীড়কদের অন্তত ৭০ শতাংশের বয়সই ৪০ বছরের ওপরে ও বিবাহিতরাই বেশি।

৫ বছরে বিভিন্ন থানায় রেকর্ড হওয়া ধর্ষন মামলার পরিসংখ্যান (শুধু মহানগর)

সাল- সংখ্যা
২০১৭-১০৮ টি
২০১৮-১৩০ টি
২০১৯- ১৯৫ টি
২০২০-২৪৮ টি
২০২১-২৫১ টি
২০২২ (জুন)- ৪২টি