০৯:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

চট্টগ্রামের কর্ণফূলী নদীর ক্যাপিটাল ড্রেজিং ৬০ শতাংশ ছাড়িয়েছে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৪৪:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১
  • / ১৫০৬ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রামের কর্ণফূলী নদীর ক্যাপিটাল ড্রেজিং ৬০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এরই মধ্যে পলিতে পরিত্যক্ত হয়ে পড়া চারটি লাইটার জেটিতে অপারেশনও শুরু করেছে বন্দর। নদীতে জাহাজ চলাচলও আগের চেয়ে বেড়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে প্রথমবারের মতো এই ক্যাপিটাল ড্রেজিং সম্পন্ন হলে সক্ষমতা বাড়বে বন্দরের। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, চলমান এই ড্রেজিং প্রক্রিয়া অব্যহত না রাখলে শিগগিরি আগের অবস্থায় ফিরবে জাতীয় অর্থনীতির মেরুদণ্ড এই কর্ণফূলী নদী।

লাইটার জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের জন্য ২০১১ সালে নগরীর অভয়মিত্র ঘাটে এই জেটিটি নির্মান করে চট্টগ্রাম বন্দর। কিন্তু এখানে জাহাজ ভিড়তে সময় লাগলো ১০ বছর। কারণ জেটিটির সামনে নদীর অংশ এতদিন ভরাট ছিলো পলিতে। সাম্প্রতি কর্ণফূলী নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কারণে জোয়ারে ৯ মিটার আর ভাটার সময় ৫ মিটার গভিরতা আছে এখানে। তাই জেটিতে জাহাজ নোঙ্গর করছে অনায়াসে।

সড়রঘাট থেকে বাকুলিয়ার চড় পর্যন্ত চলমান এই ড্রেজিং প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে। আগামী বছরের মে মাস পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ থাকলেও তার আগেই শেষ করার আশা জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, পলির কারনে ৪ টি লাইটার জেটি ছাড়াও নদীর দু-পাড়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে স্থবীরতা নেমেছিলো। এছাড়া ভাটার সময় বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল বন্দরের কার্যক্রমও। ড্রেজিং সম্পন্ন হলে দুর হবে এসব প্রতিবন্ধকতা।

নদী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন খাল থেকে আসা শহরের বর্জ্যের পাশাপাশি নদীতে অপরিকল্পিতভাবে হাজার হাজার লাইটার জাহাজ নোঙ্গর করে রাখাও নদীতে পলি জমার অন্যতম কারন।

আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, বন্দরকে বাচিয়ে রাখতে হলে কর্ণফূলী নদীর নাব্যতার প্রশ্নে আপোশ করার সুযোগ নেই। তাই উর্দ্ধমুখী আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যের চাপ সামলাতে কর্ণফূলী নদীর ড্রেজিং প্রক্রিয়ার এই ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখার বিকল্প নেই।

এরআগে ২০১১ সালেও ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছিলো বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নদীর তলদেশে পলিথিন আর প্লাস্টিকের আবরণ ও তখনকার ঠিকাদারের অদুরদর্শিতার কারণে সে দফায় ব্যর্থ হয় নদী খননের প্রক্রিয়া। পড়ে নৌবাহিনীর সহায়তায় অত্যাধুনিক যন্ত্রাংশের ব্যবহার করে চলমান রয়েছে কাঙ্খিত ক্যাপিটাল ড্রেজিং।ফুটেজ-৫

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চট্টগ্রামের কর্ণফূলী নদীর ক্যাপিটাল ড্রেজিং ৬০ শতাংশ ছাড়িয়েছে

আপডেট সময় : ০১:৪৪:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ জুলাই ২০২১

চট্টগ্রামের কর্ণফূলী নদীর ক্যাপিটাল ড্রেজিং ৬০ শতাংশ ছাড়িয়েছে। এরই মধ্যে পলিতে পরিত্যক্ত হয়ে পড়া চারটি লাইটার জেটিতে অপারেশনও শুরু করেছে বন্দর। নদীতে জাহাজ চলাচলও আগের চেয়ে বেড়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে প্রথমবারের মতো এই ক্যাপিটাল ড্রেজিং সম্পন্ন হলে সক্ষমতা বাড়বে বন্দরের। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, চলমান এই ড্রেজিং প্রক্রিয়া অব্যহত না রাখলে শিগগিরি আগের অবস্থায় ফিরবে জাতীয় অর্থনীতির মেরুদণ্ড এই কর্ণফূলী নদী।

লাইটার জাহাজ থেকে পণ্য খালাসের জন্য ২০১১ সালে নগরীর অভয়মিত্র ঘাটে এই জেটিটি নির্মান করে চট্টগ্রাম বন্দর। কিন্তু এখানে জাহাজ ভিড়তে সময় লাগলো ১০ বছর। কারণ জেটিটির সামনে নদীর অংশ এতদিন ভরাট ছিলো পলিতে। সাম্প্রতি কর্ণফূলী নদীতে ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের কারণে জোয়ারে ৯ মিটার আর ভাটার সময় ৫ মিটার গভিরতা আছে এখানে। তাই জেটিতে জাহাজ নোঙ্গর করছে অনায়াসে।

সড়রঘাট থেকে বাকুলিয়ার চড় পর্যন্ত চলমান এই ড্রেজিং প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে ৬০ শতাংশ শেষ হয়েছে। আগামী বছরের মে মাস পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদ থাকলেও তার আগেই শেষ করার আশা জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

বন্দর কর্তৃপক্ষ বলছে, পলির কারনে ৪ টি লাইটার জেটি ছাড়াও নদীর দু-পাড়ে গড়ে ওঠা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ডে স্থবীরতা নেমেছিলো। এছাড়া ভাটার সময় বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল বন্দরের কার্যক্রমও। ড্রেজিং সম্পন্ন হলে দুর হবে এসব প্রতিবন্ধকতা।

নদী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিভিন্ন খাল থেকে আসা শহরের বর্জ্যের পাশাপাশি নদীতে অপরিকল্পিতভাবে হাজার হাজার লাইটার জাহাজ নোঙ্গর করে রাখাও নদীতে পলি জমার অন্যতম কারন।

আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, বন্দরকে বাচিয়ে রাখতে হলে কর্ণফূলী নদীর নাব্যতার প্রশ্নে আপোশ করার সুযোগ নেই। তাই উর্দ্ধমুখী আমদানী-রপ্তানী বাণিজ্যের চাপ সামলাতে কর্ণফূলী নদীর ড্রেজিং প্রক্রিয়ার এই ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখার বিকল্প নেই।

এরআগে ২০১১ সালেও ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের উদ্যোগ নিয়েছিলো বন্দর কর্তৃপক্ষ। কিন্তু নদীর তলদেশে পলিথিন আর প্লাস্টিকের আবরণ ও তখনকার ঠিকাদারের অদুরদর্শিতার কারণে সে দফায় ব্যর্থ হয় নদী খননের প্রক্রিয়া। পড়ে নৌবাহিনীর সহায়তায় অত্যাধুনিক যন্ত্রাংশের ব্যবহার করে চলমান রয়েছে কাঙ্খিত ক্যাপিটাল ড্রেজিং।ফুটেজ-৫