খুলনা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের ময়ূরী প্রকল্পে ৩২টি প্লট ভাগবাটোয়ার অভিযোগ উঠেছে। এসব প্লট বরাদ্দ পাওয়ার তালিকায় রয়েছে কেডিএর ১২ কর্মকর্তা কর্মচারী ও তাদের আত্মীয় স্বজন, সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, স্থানীয় কয়েকজন সংসদ সদস্য। কেডিএর চেয়ারম্যানের বিদায়ের মাত্র ১০দিন আগে এসব বরাদ্দ দেয়ায় কেডিএ’র ভেতরে-বাইরে বিরাজ করছে চাপা ক্ষোভ। সুজন বলছে, এটা অনিয়মতান্ত্রিক ও বিধি বহিভূত কর্মকান্ড। তবে কেডিএ বলছেন, মন্ত্রনালয়ের সিদ্ধান্তে করেছেন তারা।

২০১২ সালে নগরীর পশ্চিম প্রান্তে সিটি বাইপাস সংলগ্ন আহসানাবাদ মৌজায় ৯০ একর জমির উপর ময়ূরী নামে একটি আবাসিক এলাকা নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সংস্থাটি। বর্তমানে ৬৫৩টি প্লটের আবাসিক এলাকার নির্মাণ কাজ চলছে। এর মধ্যে তিন কাঠার ৩৮৪টি ও পাঁচ কাঠার ২৬৯টি প্লট।

প্লটের ৭২ ভাগ বিভিন্ন কোটার মাধ্যমে বিনা লটারিতে ২০১৬ সালে বরাদ্দ দেয়া হয়। লটারির মাধ্যমে মাত্র ১৮২টি প্লট বন্টন হয়। তবে নানা জটিলতায় আবেদন বাতিল হওয়া অবশিষ্ট ৩২টি প্লট অনিয়মতান্ত্রিক ও বিধি বহির্ভূত বলে অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, কেডিএ’র গেলো ২০ ডিসেম্বরের সভায় প্রতিষ্ঠানের কমকর্তা ও প্রভাবশালীদের মধ্যে বন্টন করা হয়েছে।

তবে কেডিএ বলছে, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে ও বোর্ড সভায় অনুমোদনের পর প্লটগুলি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। অন্যদিকে পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা বলছেন, বোর্ড মিটিং-বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা ছিলেন এ ক্ষেত্রে তাদের মতামত আমলে নেয়া হয়নি।  প্রতিকাঠা ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা করে জমা দিয়ে সাধারণ মানুষ এই প্লটের মালিক হয়েছেন। সেখানে কেডিএ’র সদস্যরা ৫ লাখ টাকায় বুঝে পেয়েছেন।