০৩:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

খাস জমির নামে পদ্মা সেতু প্রকল্পের ৩০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া দালাল চক্র শনাক্ত

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৩:১৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২
  • / ১৫৫৩ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরকারি খাস খতিয়ান ভুক্ত জমির ভূয়া কাগজপত্র দিয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পের ৩০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দালাল চক্র। ইতোমধ্যেই হাতিয়ে নেয়া টাকার সাড়ে ৭ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে জেলা প্রশাসন। বিল উত্তোলনকারী ১৯ জনের নামে মামলার পর দালালসহ সংশ্লিষ্টদের ধরতে চলছে

অভিযান। অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভূয়া বিল উত্তোলনকারী মতি শেখের নামে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিল উত্তোলন করলেও, দালাল ও অফিসের লোকজন তাকে দেয় মাত্র ২২ লাখ টাকা।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের অধীন মাদারীপুরের শিবচরে ৩৮.৭৩ একর সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জমি অধিগ্রহন করা হয়। অধিগ্রহনকৃত জমির জাল কবুলিয়তনামা ও খতিয়ান তৈরি করে নিজেদের দাবী করে এক শ্রেনীর দালালচক্র জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভুল তথ্য দিয়ে ২০টি চেকের মাধ্যমে ৩০ কোটি ৮০ লাখ ২৩ হাজার ৩শ ১৭ টাকা গ্রহণ করে।

বিলগুলো ভূয়া–জানার পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেন জেলা প্রশাসক। কমিটি তদন্তকালে ভয়াবহ দুর্নীতির প্রমাণ পায়।

মতি শেখ, রমিজ উদ্দিন হাওলাদার, হাকিম শেখ, মোঃ রাজ্জাক মোল্লা ও মোহাম্মদ শাওন আত্মসাৎকৃত প্রায় ৭ কোটি টাকা ফেরৎ দেন। বিল উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছ দোষী কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। গ্রেফতার করা হয় বিল উত্তোলনকারী ইউপি সদস্য সুধাংশ মন্ডলকে।

অধিগ্রহন প্রক্রিয়ায় নজরদারি ও তদন্ত না হওয়ায় স্থানীয়রা ক্ষোভ জানান।

কৃষক মতি শেখের নামে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা তোলা হলেও, দালাল ও অফিসের লোকজন তাকে দেয় মাত্র ২২ লাখ টাকা।

দালাল জাহাঙ্গীর মোল্লা স্বীকার করেন, তার বাবার নামে ভূয়া বিল তুলতে অর্ধেক টাকা খরচ হয়েছে।

আজিজ মৃধা নামের ভূয়া বিল উত্তোলনকারীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সে পলাতক।

তদন্ত কমিটির প্রধান তুলে ধরেন তদন্ত কার্যকক্রের ভয়াবহ তথ্য।

দোষীদের বিরুদ্ধে গৃহিত পদক্ষেপ জানান ও আত্মসাৎকৃত টাকা উদ্ধারের ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক।

দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেন চিফ হুইপ।

গুরুত্বপূর্ন প্রকল্পের বিল ব্যাপক তদন্ত করলে আরো সরকারি অর্থ সাশ্রয় সম্ভব বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

খাস জমির নামে পদ্মা সেতু প্রকল্পের ৩০ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া দালাল চক্র শনাক্ত

আপডেট সময় : ০৩:১৯:১৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২

সরকারি খাস খতিয়ান ভুক্ত জমির ভূয়া কাগজপত্র দিয়ে পদ্মা সেতু প্রকল্পের ৩০ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দালাল চক্র। ইতোমধ্যেই হাতিয়ে নেয়া টাকার সাড়ে ৭ কোটি টাকা উদ্ধার করেছে জেলা প্রশাসন। বিল উত্তোলনকারী ১৯ জনের নামে মামলার পর দালালসহ সংশ্লিষ্টদের ধরতে চলছে

অভিযান। অনুসন্ধানে দেখা যায়, ভূয়া বিল উত্তোলনকারী মতি শেখের নামে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা বিল উত্তোলন করলেও, দালাল ও অফিসের লোকজন তাকে দেয় মাত্র ২২ লাখ টাকা।

পদ্মা সেতু প্রকল্পের অধীন মাদারীপুরের শিবচরে ৩৮.৭৩ একর সরকারি খাস খতিয়ানভুক্ত জমি অধিগ্রহন করা হয়। অধিগ্রহনকৃত জমির জাল কবুলিয়তনামা ও খতিয়ান তৈরি করে নিজেদের দাবী করে এক শ্রেনীর দালালচক্র জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ভুল তথ্য দিয়ে ২০টি চেকের মাধ্যমে ৩০ কোটি ৮০ লাখ ২৩ হাজার ৩শ ১৭ টাকা গ্রহণ করে।

বিলগুলো ভূয়া–জানার পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি করেন জেলা প্রশাসক। কমিটি তদন্তকালে ভয়াবহ দুর্নীতির প্রমাণ পায়।

মতি শেখ, রমিজ উদ্দিন হাওলাদার, হাকিম শেখ, মোঃ রাজ্জাক মোল্লা ও মোহাম্মদ শাওন আত্মসাৎকৃত প্রায় ৭ কোটি টাকা ফেরৎ দেন। বিল উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছ দোষী কর্মকর্তা কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। গ্রেফতার করা হয় বিল উত্তোলনকারী ইউপি সদস্য সুধাংশ মন্ডলকে।

অধিগ্রহন প্রক্রিয়ায় নজরদারি ও তদন্ত না হওয়ায় স্থানীয়রা ক্ষোভ জানান।

কৃষক মতি শেখের নামে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকা তোলা হলেও, দালাল ও অফিসের লোকজন তাকে দেয় মাত্র ২২ লাখ টাকা।

দালাল জাহাঙ্গীর মোল্লা স্বীকার করেন, তার বাবার নামে ভূয়া বিল তুলতে অর্ধেক টাকা খরচ হয়েছে।

আজিজ মৃধা নামের ভূয়া বিল উত্তোলনকারীর বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সে পলাতক।

তদন্ত কমিটির প্রধান তুলে ধরেন তদন্ত কার্যকক্রের ভয়াবহ তথ্য।

দোষীদের বিরুদ্ধে গৃহিত পদক্ষেপ জানান ও আত্মসাৎকৃত টাকা উদ্ধারের ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসক।

দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেন চিফ হুইপ।

গুরুত্বপূর্ন প্রকল্পের বিল ব্যাপক তদন্ত করলে আরো সরকারি অর্থ সাশ্রয় সম্ভব বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।