কেমন হলো বাংলাদেশের বিশ্বকাপ প্রস্তুতি? নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতে প্রাপ্তির খাতায় সফল হলেও, হতাশ টাইগারদের ব্যাটিং ডিপার্টমেন্ট। বিশ্বকাপে যা কিনা নতুন করে ভাবাচ্ছে বাংলাদেশকে। অথচ বিরুদ্ধ কন্ডিশনকে কাজে লাগিয়ে অনন্য উচ্চতায় কিউই অধিনায়ক টম লাথাম, হয়েছেন সিরিজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তবে, মোস্তাফিজ আর নাসুমদের ধারাবাহিক বোলিং পারফরম্যান্সে আশায় বুক বাঁধতেই পারে বাংলাদেশ।

বিশ্বকাপের আগে অনেক প্রত্যাশার এক সিরিজ। যে সিরিজে হোম কন্ডিশনকে কাজে লাগিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর কাজটা হতে চেয়েছিল বাংলাদেশ। সে যাত্রায় সিরিজ জয়ে প্রাপ্তির খাতায় সফল টাইগাররা। তবে, সিরিজ জয়ের ব্যবধানটা যখন ৩-২, তখন প্রশ্ন থেকে যায়, বিশ্বকাপ প্রস্তুতিতে কতটা সফল বাংলাদেশ?

ব্যাটিং দিয়েই শুরু করা যাক। দেখে নিবো কেমন ছিলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের পারফরম্যান্স। পাঁচ ম্যাচে ১২০ রান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের। রান সংগ্রহকের তালিকায় দুইয়ে বাংলাদেশ অধিনায়ক। ১০৫ রানে পরের স্থানে নাঈম। যার আউটের ধরন নিয়ে আছে প্রশ্ন।

বাকীদের অবস্থা আরও নাজুক। সাকিব-মুশফিক যাদের কেউই নেই সেরা পাঁচে। ৫ ম্যাচে ৬৫ রান করা লিটন, সাকিবের ৪২ আর ৩৯ করা মুশফিকের সার্ভিস না পাওয়াটা বড্ড ভুগিয়েছে বাংলাদেশকে।

অন্যদিকে সিরিজের সর্বোচ্চ স্কোরার সেই লাথাম যিনি গেল ৪ বছরে খেলেননি কোনো আন্তর্জাতিক টি-টুয়েন্টি। এমনকি সুযোগ পাননি আসন্ন বিশ্বকাপেও। অথচ তিনিই কিনা ভিন্ন এক কন্ডিশনে নিজের জাত চিনালেন। সর্বোচ্চ ১৫৯ রানের সঙ্গে সিরিজে একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে দুই ফিফটি লাথামের।

নিজেদের কন্ডিশনে বোলিংয়েও সেরা হতে পারেনি কোনো বাংলাদেশি। ৩.৬৫ ইকোনমিতে ১০ উইকেট নিয়ে সিরিজের সেরা বোলার এ্যাজাজ প্যাটেল।

৮ উইকেট নেয়া নাসুম আছেন দ্বিতীয় অবস্থানে। রেকর্ডটা আরেকটু সমৃদ্ধশালী হতে পারতো যদি না শেষ ম্যাচে শুরুর দিকে অযথা কিছু শর্ট বলে রান খরচ না করতেন।

তবে, সিরিজের শেষ ম্যাচে বিশ্রাম পাওয়া মোস্তাফিজ ছিলেন সব দিক থেকে দুর্দান্ত। ৫ম ম্যাচটি খেললে হয়তোবা তিনিই হতেন সিরিজের সেরা বোলার। স্লোয়ার আর কাটারে বিভ্রান্তিতে ফেলেছেন কিউই ব্যাটসম্যানদের; বিশেষ করে ডেথ ওভারে মুস্তাফিজ ছিলেন অনন্য। নাসুমের সমান ৮ উইকেট কাটার মাস্টারের।

বিশ্বকাপের আগে সাকিম-মুশফিকদের ব্যাটিং ব্যর্থ ভাবাচ্ছে তবে, মোস্তাফিজ-নাসুমদের বৈচিত্রতায় আশার পালে হাওয়া বাংলাদেশের