১২:০২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪

কুষ্টিয়ায় ৬ ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রণে তরমুজ আর আনারস ব্যবসা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০১:৪৮:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মে ২০২১
  • / ১৫১৫ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কুষ্টিয়ায় ৬ ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রণে তরমুজ আর আনারস ব্যবসা। সিন্ডিকেট গঠন করে এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করায় চলতি বছর পিসের বদলে কেজিতে অধিক মুল্যে বিক্রি করা হচ্ছে-তরমুজ এবং আনারস। ১শ’ তরমুজ ১৫’শ আর ১শ’ আনারসের ৬শ’ টাকায় কিনে দুইতিন গুণ বেশি দাম নেয়া হচ্ছে। হটাৎ এ লাগামহীনতার ফলের বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের নির্দিষ্ট কোন আইন নেই। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ আয়ের মানুষ।

কুষ্টিয়ার আড়তে তরমুজ, আনারস এখন কোন ঘাটতি নেই। এবার আম-লিচুসহ অন্যকোন মৌসুমী ফল না থাকায় তরমুজ, আনারসই এক মাত্র ভরসা রোজাদার মানুষের। আগে একটি বড় সাইজের তরমুজ ৮০ থেকে ১শ’ ২০ টাকা আর মাঝারি আকারের ৬০ থেকে ৭০ টাকা এবং ১০ থেকে ১৫ টাকায় একটি আনারস পাওয়া যেত। কিন্তু হালে অধিক মুনাফা পেতে সিন্ডিকেট করে তরমুজ ও আনারসের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে পৌরবাজারের সাদেক-মহিদুল-জালাল-সামাদ-খালেক আর মজমপুর গেটের জামাল। এর পর থেকেই পিস নয়, কেজিতে বিক্রি শুরু হয়েছে তরমুজ ও আনারস। এখন একটি বড় সাইজের তরমুজ ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা এবং ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আনারস। বিক্রয় বিপণন বিধি লংঘিত হলেও পিসে নয়, কেজিতেই তারা কিনে আনছেন দাবী এসব পাইকারী ব্যবসায়ীদের।

পাইকারী বাজারে কেজিতে কিনতে হচ্ছে,তাই খুচরাও কেজিতে বিক্রি করতে হচ্ছে দাবী এই খুচরা বিক্রেতার। পবিত্র রমজান মাসে প্রতি বছর কুষ্টিয়ার বাজারে এসব ফল ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট গঠন করে গত কয়েক বছর যাবত অবৈধ ভাবে মুনাফা অর্জন করে চলেছেন। কারো কোন বাধা নেই। গেল বছরও সাধ্যের মধ্যে ছিলো ফলের বাজার। দুয়েকটি ফল কিনে খেতে পেরেছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু এবার কেজি পদ্ধতি করায় দাম হয়ে যায় কয়েকগুণ। এমন ব্যবস্থায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতাসাধারণ।

ফলের বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিভাগের নির্ধারিত কোন আইন নেই। এটা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের দেখার বিষয় জানালেন কুষ্টিয়া জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দপ্তরের সহকারী পরিচালক।

চাল, পিয়াঁজ, আদা, রসুনের পর এবার তরমুজ, আনারস সিন্ডিকেট চক্রের খবর উঠে আসলো। আগামীতে আর কোন পণ্যের এমন সিন্ডিকেট চক্র গঠন হলে পুরো বাজার ব্যবস্থায় তথাকথিত সিন্ডিকেট চক্রের নিয়ন্ত্রণে যেয়ে সাধারণ মানুষের জীবন কৃত্তিম দুর্বিসহে ভরে উঠবে। এ থেকে মুক্তি পেতে এখুনি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী সচেতন মহলের।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কুষ্টিয়ায় ৬ ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রণে তরমুজ আর আনারস ব্যবসা

আপডেট সময় : ০১:৪৮:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মে ২০২১

কুষ্টিয়ায় ৬ ব্যবসায়ীর নিয়ন্ত্রণে তরমুজ আর আনারস ব্যবসা। সিন্ডিকেট গঠন করে এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করায় চলতি বছর পিসের বদলে কেজিতে অধিক মুল্যে বিক্রি করা হচ্ছে-তরমুজ এবং আনারস। ১শ’ তরমুজ ১৫’শ আর ১শ’ আনারসের ৬শ’ টাকায় কিনে দুইতিন গুণ বেশি দাম নেয়া হচ্ছে। হটাৎ এ লাগামহীনতার ফলের বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের নির্দিষ্ট কোন আইন নেই। এতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ আয়ের মানুষ।

কুষ্টিয়ার আড়তে তরমুজ, আনারস এখন কোন ঘাটতি নেই। এবার আম-লিচুসহ অন্যকোন মৌসুমী ফল না থাকায় তরমুজ, আনারসই এক মাত্র ভরসা রোজাদার মানুষের। আগে একটি বড় সাইজের তরমুজ ৮০ থেকে ১শ’ ২০ টাকা আর মাঝারি আকারের ৬০ থেকে ৭০ টাকা এবং ১০ থেকে ১৫ টাকায় একটি আনারস পাওয়া যেত। কিন্তু হালে অধিক মুনাফা পেতে সিন্ডিকেট করে তরমুজ ও আনারসের বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে পৌরবাজারের সাদেক-মহিদুল-জালাল-সামাদ-খালেক আর মজমপুর গেটের জামাল। এর পর থেকেই পিস নয়, কেজিতে বিক্রি শুরু হয়েছে তরমুজ ও আনারস। এখন একটি বড় সাইজের তরমুজ ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকা এবং ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে আনারস। বিক্রয় বিপণন বিধি লংঘিত হলেও পিসে নয়, কেজিতেই তারা কিনে আনছেন দাবী এসব পাইকারী ব্যবসায়ীদের।

পাইকারী বাজারে কেজিতে কিনতে হচ্ছে,তাই খুচরাও কেজিতে বিক্রি করতে হচ্ছে দাবী এই খুচরা বিক্রেতার। পবিত্র রমজান মাসে প্রতি বছর কুষ্টিয়ার বাজারে এসব ফল ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট গঠন করে গত কয়েক বছর যাবত অবৈধ ভাবে মুনাফা অর্জন করে চলেছেন। কারো কোন বাধা নেই। গেল বছরও সাধ্যের মধ্যে ছিলো ফলের বাজার। দুয়েকটি ফল কিনে খেতে পেরেছেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু এবার কেজি পদ্ধতি করায় দাম হয়ে যায় কয়েকগুণ। এমন ব্যবস্থায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতাসাধারণ।

ফলের বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিভাগের নির্ধারিত কোন আইন নেই। এটা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের দেখার বিষয় জানালেন কুষ্টিয়া জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ দপ্তরের সহকারী পরিচালক।

চাল, পিয়াঁজ, আদা, রসুনের পর এবার তরমুজ, আনারস সিন্ডিকেট চক্রের খবর উঠে আসলো। আগামীতে আর কোন পণ্যের এমন সিন্ডিকেট চক্র গঠন হলে পুরো বাজার ব্যবস্থায় তথাকথিত সিন্ডিকেট চক্রের নিয়ন্ত্রণে যেয়ে সাধারণ মানুষের জীবন কৃত্তিম দুর্বিসহে ভরে উঠবে। এ থেকে মুক্তি পেতে এখুনি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনের দাবী সচেতন মহলের।