০২:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

এক সময় ছিলেন ছিচকে মাস্তান, মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা হয়ে লুটপাট করেছেন কোটি টাকা

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:০০:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩
  • / ১৬৩২ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এক সময় ছিলেন ছিচকে মাস্তান। তারপর মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা হয়ে দু’হাতে লুটপাট করেছেন কোটি কোটি টাকা। নিজের নামে করেছেন পাঁচতলা বাড়ি। চড়েন দামী গাড়িতে। মালিক হয়েছে অন্তত ১০টি বাসের। শ্রমিকদের অভিযোগ, ইউনিয়নের টাকা মেরেই এসব করেছেন মাহাতাব হোসেন চৌধুরী।

রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী। আগে ঢাকায় বাসের শ্রমিক ছিলেন। পরে রাজশাহী ফিরে শুরু করেন ছিচকে মাস্তানী। শ্রমিকদের ধরে ধরে পেটানোই ছিল তার কাজ। ২০১৩ সালে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হন।

মাত্র ১০ বছরেই অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন এই মাতাহাব। শ্রমিক ইউনিয়নের জমি বিক্রি, ভবন বিক্রি, দৈনিক চাঁদা, দুইটি শাখা কার্যালয় বিক্রিসহ বিভিন্ন খাত থেকে ১০ কোটি টাকা টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মাহাতাব চৌধুরীর বিরুদ্ধে। শ্রমিক নেতা হওয়ার পর বানিয়েছেন পাঁচতলা বাড়ি, শ্রাবন্তী পরিবহন নামে চলে তার অন্তত ১০টি বিলাসবহুল বাস। নিজেও চড়ে বেড়ান দামি গাড়িতে। এসব তত্য জানান শ্রমিকরাই।

মাহাতাবের মাস্তানী ও লুটপাটের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই করা হয় হামলা-মামলা, নির্যাতন। মহানগরীর শিরোইলে ঢাকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মাহাতাবের নানা লুটপাটের কথা বলছিলেন সাধারণ শ্রমিকরা। এসময় তার ক্যাডারবাহিনী এভাবেই হামলে পড়ে টিম এসএটিভির ওপর।

শ্রমিককরা বলছেন, মৃত্যুকালীন ও কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার অনুদান, শিক্ষাভাতা, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা-কোনো কিছুই পরিশোধ করেন না মাহাতাব। অডিটেও নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি ধরা পড়েছে তার বিরুদ্ধে। তার মতের বাইরে গেলে রক্ষা পায় না কেউ। নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী দিয়ে পেটানো হয়।

তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে মাহাতাব বলছেন, তিনি কারো ওপর অন্যায় করেননি। এসময় নিজের নানা সম্পদের কথাও স্বীকার করেন।

 

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

এক সময় ছিলেন ছিচকে মাস্তান, মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা হয়ে লুটপাট করেছেন কোটি টাকা

আপডেট সময় : ০২:০০:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল ২০২৩

এক সময় ছিলেন ছিচকে মাস্তান। তারপর মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা হয়ে দু’হাতে লুটপাট করেছেন কোটি কোটি টাকা। নিজের নামে করেছেন পাঁচতলা বাড়ি। চড়েন দামী গাড়িতে। মালিক হয়েছে অন্তত ১০টি বাসের। শ্রমিকদের অভিযোগ, ইউনিয়নের টাকা মেরেই এসব করেছেন মাহাতাব হোসেন চৌধুরী।

রাজশাহী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাতাব হোসেন চৌধুরী। আগে ঢাকায় বাসের শ্রমিক ছিলেন। পরে রাজশাহী ফিরে শুরু করেন ছিচকে মাস্তানী। শ্রমিকদের ধরে ধরে পেটানোই ছিল তার কাজ। ২০১৩ সালে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হন।

মাত্র ১০ বছরেই অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন এই মাতাহাব। শ্রমিক ইউনিয়নের জমি বিক্রি, ভবন বিক্রি, দৈনিক চাঁদা, দুইটি শাখা কার্যালয় বিক্রিসহ বিভিন্ন খাত থেকে ১০ কোটি টাকা টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মাহাতাব চৌধুরীর বিরুদ্ধে। শ্রমিক নেতা হওয়ার পর বানিয়েছেন পাঁচতলা বাড়ি, শ্রাবন্তী পরিবহন নামে চলে তার অন্তত ১০টি বিলাসবহুল বাস। নিজেও চড়ে বেড়ান দামি গাড়িতে। এসব তত্য জানান শ্রমিকরাই।

মাহাতাবের মাস্তানী ও লুটপাটের বিরুদ্ধে মুখ খুললেই করা হয় হামলা-মামলা, নির্যাতন। মহানগরীর শিরোইলে ঢাকা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মাহাতাবের নানা লুটপাটের কথা বলছিলেন সাধারণ শ্রমিকরা। এসময় তার ক্যাডারবাহিনী এভাবেই হামলে পড়ে টিম এসএটিভির ওপর।

শ্রমিককরা বলছেন, মৃত্যুকালীন ও কন্যাদায়গ্রস্ত পিতার অনুদান, শিক্ষাভাতা, কর্মচারীদের বেতন-ভাতা-কোনো কিছুই পরিশোধ করেন না মাহাতাব। অডিটেও নানা অনিয়ম ও দুর্নীতি ধরা পড়েছে তার বিরুদ্ধে। তার মতের বাইরে গেলে রক্ষা পায় না কেউ। নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী দিয়ে পেটানো হয়।

তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে মাহাতাব বলছেন, তিনি কারো ওপর অন্যায় করেননি। এসময় নিজের নানা সম্পদের কথাও স্বীকার করেন।