মেট্রোরেলের কাজ শেষ হয়েছে প্রায় ৭০ ভাগ। সিংহভাগ কাজ এগিয়েছে রাজধানীর উত্তরা-আগারগাঁও অংশের। ২০ কিলোমিটার ভায়াডাক্টের ইরেকশনের কাজও শেষ পর্যায়ে । বেশকয়েক ধাপ টেস্টের পর আগামী বছরের শেষে বাণিজ্যিকভাবে চালু হবে মেট্রোরেল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমআরটি লাইন সিক্স এর পুরোটা চালু হলে, এর কার্যকারিতা বোঝা যাবে।

দেশের প্রথম মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালে। পাঁচ বছর পেরিয়ে এখন শেষ পর্যায়ে রাজধানীর উত্তরা-আগারগাঁও অংশের কাজ। এখন পর্যন্ত এ অংশের অগ্রগতি হয়েছে ৮৮ দশমিক পাঁচ আট শতাংশ। আর, আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ৬৭ দশমিক নয় এক শতাংশ এগিয়েছে।২০ কিলোমিটার ভায়াডাক্টের মধ্যে ১৭ দশমিক দুই নয় কিলোমিটার ইরেকশন শেষ হয়েছে।
আপস:

মেট্রোরেল চলাচলের ক্ষেত্রে ১৯টি ধাপ সম্পন্ন করতে হবে। প্রথম ধাপে পারফর্মেন্স দেখার পর ইন্টিগ্রেটেড টেস্ট করা হবে। এরপর হবে যাত্রীবিহীন ড্রাইরান। এসব পরীক্ষায় সব স্টেশনে ঠিক মতো থামছে কিনা, বৈদ্যুতিক সংকেত ও যোগাযোগ ব্যবস্থা কাজ করছে কিনা, তা যাচাই করে দেখা হবে।

মেট্রোরেলে ঘন্টায় ৬০ হাজার যাত্রী যাতায়াত করতে পারবে। টিকেটে থাকবে রেপিড ও এমআরটি পাসের ব্যবস্থা। অ্যাপসের মাধ্যমেও টাকা পরিশোধ করা যাবে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন,এমআরটি লাইন সিক্স পুরোপুরি শেষ হলে, এর সুফল দেখে মুল্যায়ণ করা যাবে।

২০৩০ সালের মধ্যে উত্তরা-মতিঝিল রোডের পাশাপাশি ঢাকায় আরো পাঁচটি মেট্রোরেল গড়ে তুলবে সরকার।