আশাশুনিতে টেকসই বেঁড়িবাঁধ নির্মাণ না করায় রিংবাঁধ ভেঙে প্লাবিত চারটি গ্রাম
- আপডেট সময় : ০৫:৪৬:৫২ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ এপ্রিল ২০২১
- / ১৫০৫ বার পড়া হয়েছে
ঘূর্ণিঝড় আম্পানের দীর্ঘ ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও সাতক্ষীরার উপকুলীয় উপজেলা আশাশুনি সদর ইউনিয়নের দয়ারঘাটে টেকসই কোন বেঁড়িবাঁধ নির্মাণ না করায় খোলপেটুয়া নদীর দয়ারঘাট-জেলেখালি বিকল্প রিংবাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে চারটি গ্রাম। বেড়িবাঁধ প্রথম দফায় স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামতের পর দ্বিতীয় দফায় আবারও ভেঙে তলিয়ে যায়-চার গ্রামের মৎস্য ঘেরসহ শত শত বিঘা ফসলি জমি। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, স্বেচ্ছাশ্রমে এলাকাবাসির মাধ্যমে রিং বাঁধ দ্রতই মেরামত করা হবে।
ঘূর্নিঝড় আম্পানের পর, ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতা আর পূর্নিমার প্রভাবে অস্বাভাবিকহারে নদীর পানি বেড়ে যায়। আঘাত হানে দয়ারঘাট-জেলেখালি বিকল্প বেড়িবাঁধে। চারটি পয়েন্ট ভেঙ্গে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়।
ভেসে গেছে মাছের ঘের। তলিয়ে গেছে ক্ষেতের ফসল। আশাশুনি সদর ইউনিয়নের চার গ্রামের শতাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। তবে জোড়া-তালি দিয়ে স্বেচ্ছা শ্রমে বিকল্প বেড়িবাঁধ মেরামত করা হয়েছে।
এলাকাবাসীর মাধ্যমে মেরামতের কাজ করা হয়েছে বলে জানান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান।
নয় মাসেও দয়ারঘাটের দুটি পয়েন্টে, বাঁধ নির্মান না হওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে দায়ি করেন স্থানীয় এই জনপ্রতিনিধি।
দেরিতে হলেও মূল বাঁধ মেরামত শুরু হয়েছে বলে জানায়, পানি উন্নয়ন বোর্ড।
টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণে এক কোটি ৩৮ লাখ টাকার টেন্ডার হয়েছে। স্থানীয়রা মনে করছেন এখন হয়তো স্থায়ীভাবে বেড়িবাঁধ নির্মাণ হবে।