১১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

আজ ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১১:৩১:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুন ২০২০
  • / ১৫০৫ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আজ ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন তখনকার পূর্ব পাকিস্তানের বৈষম্য অবসানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ‘মুক্তির সনদ’ ৬ দফা নিয়ে রাজপথে নেমেছিল বাঙালি। বাঙালির অধিকার বিমূর্ত হয়েছিল ৬ দফার দাবিতে।

সেবে স্বাধিকার আদায়, পশ্চিম পাকিস্তানের শোষনের অবসান আর মুক্তির দিশা নিয়ে বাংলার ইতিহাসে নিজ মহিমায় উঠে আসে ৬ দফা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পেশ করা এ ৬টি দফা কেবল স্বাধীনতার বারতা দিয়েছিল তাই নয়, পশ্চিমা শাসকরা বিদায় ঘন্টা শুনতে পেয়েছিল। ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী লাহোরে পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলোর সম্মেলনে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আধিপত্য হারানোর ভয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের প্রাদেশিক নেতারা ৬ দফা দাবিকে সমর্থন করেনি। তারা ৬ দফাকে পাকিস্তানকে ভেঙে দেওয়ার ষড়যন্ত্র মনে করে তীব্র বিরোধিতা করে। ৬ দফার প্রথমেই ছিল লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে সংবিধান রচনা করে পাকিস্তানকে একটি ফেডারেশনে পরিণত করা। দ্বিতীয় দফায় কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা দেয়া। মুদ্রা ও অর্থ ক্ষমতার দাবির পাশাপাশি রাজস্ব ও কর আদায়ের ক্ষমতা দেয়া। ৫ম ও ৬ষ্ঠ দফায় ছিল বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা। ২১ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির অনুমোদন পায় ছয় দফা। ১৮ মার্চ দলের কাউন্সিল অধিবেশনে ‘আমাদের বাঁচার দাবি : ৬ দফা কর্মসূচি’ প্রচার করা হয়।

৬ দফার প্রতি জনসমর্থন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে সামরিক জান্তা আইয়ুব খানের নির্দেশে ৮ মে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। প্রতিবাদে ৭ জুন সারাদেশে হরতালের ডাক দেয় আওয়ামী লীগ। হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। টঙ্গী, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জে গুলিতে মনু মিয়া, শফিক, শামসুল হকসহ শহীদ হন ১১ জন। আন্দোলন স্ফুলিঙ্গের মতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, রাজপথে নেমে আসে বাংলার মুক্তিকামী জনগণ। ৬-দফা স্বীকৃতি পায় বাঙালির মুক্তির সনদ হিসেবে। ৫ বছরের ব্যবধানে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আজ ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস

আপডেট সময় : ১১:৩১:১২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৭ জুন ২০২০

আজ ঐতিহাসিক ৬ দফা দিবস। ১৯৬৬ সালের ৭ জুন তখনকার পূর্ব পাকিস্তানের বৈষম্য অবসানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেয়া ‘মুক্তির সনদ’ ৬ দফা নিয়ে রাজপথে নেমেছিল বাঙালি। বাঙালির অধিকার বিমূর্ত হয়েছিল ৬ দফার দাবিতে।

সেবে স্বাধিকার আদায়, পশ্চিম পাকিস্তানের শোষনের অবসান আর মুক্তির দিশা নিয়ে বাংলার ইতিহাসে নিজ মহিমায় উঠে আসে ৬ দফা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পেশ করা এ ৬টি দফা কেবল স্বাধীনতার বারতা দিয়েছিল তাই নয়, পশ্চিমা শাসকরা বিদায় ঘন্টা শুনতে পেয়েছিল। ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারী লাহোরে পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলোর সম্মেলনে ৬ দফা দাবি উত্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আধিপত্য হারানোর ভয়ে পশ্চিম পাকিস্তানের প্রাদেশিক নেতারা ৬ দফা দাবিকে সমর্থন করেনি। তারা ৬ দফাকে পাকিস্তানকে ভেঙে দেওয়ার ষড়যন্ত্র মনে করে তীব্র বিরোধিতা করে। ৬ দফার প্রথমেই ছিল লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে সংবিধান রচনা করে পাকিস্তানকে একটি ফেডারেশনে পরিণত করা। দ্বিতীয় দফায় কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা দেয়া। মুদ্রা ও অর্থ ক্ষমতার দাবির পাশাপাশি রাজস্ব ও কর আদায়ের ক্ষমতা দেয়া। ৫ম ও ৬ষ্ঠ দফায় ছিল বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক সেনাবাহিনী গঠনের ক্ষমতা। ২১ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির অনুমোদন পায় ছয় দফা। ১৮ মার্চ দলের কাউন্সিল অধিবেশনে ‘আমাদের বাঁচার দাবি : ৬ দফা কর্মসূচি’ প্রচার করা হয়।

৬ দফার প্রতি জনসমর্থন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে সামরিক জান্তা আইয়ুব খানের নির্দেশে ৮ মে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়। প্রতিবাদে ৭ জুন সারাদেশে হরতালের ডাক দেয় আওয়ামী লীগ। হরতাল চলাকালে নিরস্ত্র জনতার ওপর পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর গুলিবর্ষণ করে। টঙ্গী, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জে গুলিতে মনু মিয়া, শফিক, শামসুল হকসহ শহীদ হন ১১ জন। আন্দোলন স্ফুলিঙ্গের মতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, রাজপথে নেমে আসে বাংলার মুক্তিকামী জনগণ। ৬-দফা স্বীকৃতি পায় বাঙালির মুক্তির সনদ হিসেবে। ৫ বছরের ব্যবধানে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।