০৯:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪

আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ভার্চুয়াল কোর্টের কোন বিকল্প নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:১০:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুন ২০২০
  • / ১৫৩৩ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ভার্চুয়াল কোর্টের কোন বিকল্প নেই। এমন পর্যবেক্ষণ দিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, করোনার বর্তমান অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আদালতকে আরো বেশী ডিজিটালাইজড করার সুযোগ রয়েছে। আর প্রাণঘাতী করোনার থাবা থেকে বাঁচতে, বিচার বিভাগের সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমদ এবং দুদকের সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

সময় যত গড়াচ্ছে বিচার বিভাগে ততই বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এরই মাঝে মারা গেছেন একজন বিচারক ও জেষ্ঠ্য আইনজীবী। ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে কোর্ট পরিচালনা করেও ঠেকানো যাচ্ছে না করোনা সংক্রমণ। করোনা রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশজুড়ে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মৃত্যু ও সংক্রমণের সংখ্যা। বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ দশে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। এই মহাসংকটের মধ্যেও বিভিন্ন সেক্টরের অনিয়ম-দুরনীতি, লুট-পাটসহ সব ধরণের অপকরম ঘটেই যাচ্ছে। জনপ্রতিনিধির নামেও ত্রাণ বিতরণের অভিযোগের শেষ নেই। পৈশাচিক লালসায় ধর্ষণের শিকারও হচ্ছেন অসংখ্য অসহায় শিশু ও গৃহবধু । এসবের ফলে প্রধানমন্ত্রীর ভাল সব উদ্যোগগুলো ম্লান হয়ে যাচ্ছে।সকল বাস্তবতা উপলব্ধি করে মানবাধিকার ও আইনের শাসন রক্ষায় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে কোর্ট চালু করে বিচার বিভাগ।

এতকিছুর পরও শেষ রক্ষা হচ্ছেনা। প্রতিদিনই উচ্চ বিত্ত থেকে শুরু করে নিম্ন বিত্তরা প্রাণ হারাচ্ছেন করোনায় আত্রান্ত হয়ে। বিচারিক কার্যক্রম চালানো সময় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান লাল মনিরহাটের জেলা জজ ফেরদৌস আহমেদ। করোনার থাবায় প্রাণ হারান সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ ইদ্রিসুর রহমান। সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসনের দেয়া সবশেষ তথ্য অনুযায়ী অধস্তন আদালতের ২৬ জন বিচারক, ৭১ জন কর্মচারী ও সুপ্রিমকোর্টের ২৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।আইনজীবীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভার্চুয়াল কোর্ট বলা হলেও এখনো কোন কোন ক্ষেত্রে পুরোনো পদ্ধতিতেই বিচারিক কার্যক্রম চলছে। ওকালত নামা, বেইল বণ্ড ও কোর্ট ফি জমা দিতে হচ্ছে সেই আগের নিয়মেই। নথি খোঁজা, ডিক্টেশন নেয়া, রায়ের টাইপ কারেকশন সবই হচ্ছে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। এসব সেক্টরে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই না থাকায় করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশংকা থাকছেই।

এমন পরিস্থিতিতে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে বিচারক ও আইনজীবীদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন আইন বিশেষজ্ঞরা। মুঠোফোনে এসএ টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, নতুন এই ভার্চুয়াল কোর্টের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বিচার বিভাগকে আরো বেশী ডিজিটালাইজড করা সম্ভব। আইনজীবীরা মনে করেন, মানবাধিকার রক্ষায় আদালতের যেমন প্রয়োজন রয়েছে তেমনি ভাবে আদালতের ম্যানুয়াল পদ্ধতিগুলোর ডিজিটালাইজেশনও অতীব জরুরী প্রয়োজন।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ভার্চুয়াল কোর্টের কোন বিকল্প নেই: অ্যাটর্নি জেনারেল

আপডেট সময় : ০২:১০:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুন ২০২০

আইনের শাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় ভার্চুয়াল কোর্টের কোন বিকল্প নেই। এমন পর্যবেক্ষণ দিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, করোনার বর্তমান অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে আদালতকে আরো বেশী ডিজিটালাইজড করার সুযোগ রয়েছে। আর প্রাণঘাতী করোনার থাবা থেকে বাঁচতে, বিচার বিভাগের সবাইকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানিয়েছেন সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমদ এবং দুদকের সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।

সময় যত গড়াচ্ছে বিচার বিভাগে ততই বাড়ছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এরই মাঝে মারা গেছেন একজন বিচারক ও জেষ্ঠ্য আইনজীবী। ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে কোর্ট পরিচালনা করেও ঠেকানো যাচ্ছে না করোনা সংক্রমণ। করোনা রোগে আক্রান্ত হয়ে দেশজুড়ে প্রতিনিয়ত বাড়ছে মৃত্যু ও সংক্রমণের সংখ্যা। বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ দশে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। এই মহাসংকটের মধ্যেও বিভিন্ন সেক্টরের অনিয়ম-দুরনীতি, লুট-পাটসহ সব ধরণের অপকরম ঘটেই যাচ্ছে। জনপ্রতিনিধির নামেও ত্রাণ বিতরণের অভিযোগের শেষ নেই। পৈশাচিক লালসায় ধর্ষণের শিকারও হচ্ছেন অসংখ্য অসহায় শিশু ও গৃহবধু । এসবের ফলে প্রধানমন্ত্রীর ভাল সব উদ্যোগগুলো ম্লান হয়ে যাচ্ছে।সকল বাস্তবতা উপলব্ধি করে মানবাধিকার ও আইনের শাসন রক্ষায় ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে কোর্ট চালু করে বিচার বিভাগ।

এতকিছুর পরও শেষ রক্ষা হচ্ছেনা। প্রতিদিনই উচ্চ বিত্ত থেকে শুরু করে নিম্ন বিত্তরা প্রাণ হারাচ্ছেন করোনায় আত্রান্ত হয়ে। বিচারিক কার্যক্রম চালানো সময় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান লাল মনিরহাটের জেলা জজ ফেরদৌস আহমেদ। করোনার থাবায় প্রাণ হারান সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ ইদ্রিসুর রহমান। সুপ্রিমকোর্ট প্রশাসনের দেয়া সবশেষ তথ্য অনুযায়ী অধস্তন আদালতের ২৬ জন বিচারক, ৭১ জন কর্মচারী ও সুপ্রিমকোর্টের ২৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।আইনজীবীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভার্চুয়াল কোর্ট বলা হলেও এখনো কোন কোন ক্ষেত্রে পুরোনো পদ্ধতিতেই বিচারিক কার্যক্রম চলছে। ওকালত নামা, বেইল বণ্ড ও কোর্ট ফি জমা দিতে হচ্ছে সেই আগের নিয়মেই। নথি খোঁজা, ডিক্টেশন নেয়া, রায়ের টাইপ কারেকশন সবই হচ্ছে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে। এসব সেক্টরে স্বাস্থ্যবিধি মানার বালাই না থাকায় করোনা সংক্রমণ বাড়ার আশংকা থাকছেই।

এমন পরিস্থিতিতে নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে বিচারক ও আইনজীবীদের সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেন আইন বিশেষজ্ঞরা। মুঠোফোনে এসএ টিভিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, নতুন এই ভার্চুয়াল কোর্টের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বিচার বিভাগকে আরো বেশী ডিজিটালাইজড করা সম্ভব। আইনজীবীরা মনে করেন, মানবাধিকার রক্ষায় আদালতের যেমন প্রয়োজন রয়েছে তেমনি ভাবে আদালতের ম্যানুয়াল পদ্ধতিগুলোর ডিজিটালাইজেশনও অতীব জরুরী প্রয়োজন।