০৭:২৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

অর্থের বিনিময়ে বদলে যাচ্ছে গোপালগঞ্জের অনেক জমির খতিয়ান

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৫:৩০:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১
  • / ১৫০২ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গোপালগঞ্জে অর্থের বিনিময়ে জমির দাগ নাম্বার বদলের অভিযোগ উঠেছে জেলা রেজিষ্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। আর এমন ঘটনা শিকার হয়েছেন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার আকদিয়া গ্রামের মোহাম্মদ অলিউর রহমান। জমি বাচাঁতে দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর।

গোপালগঞ্জ জেলার রেজিষ্ট্রি অফিসে প্রতিদিন জমি বেচা কেনার ২’শ থেকে ৩’শ দলিল করা হয়। ফলে জেলার ৫ উপজেলা থেকে কয়েক হাজার মানুষ ভীড় জমায় এ অফিসে।কিন্তু রেজিষ্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে জমির দাগ নাম্বার পাল্টে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।

মুকসুদপুর উপজেলার আকদিয়া গ্রামের মো: অলিউর রহমান মিয়ার পূর্বপুরুষ ১৯২৩ মুকসুদপুরের ছোট বনগ্রাম মৌজার ৬৪ দাগের ১ একর জমি ক্রয় করেন। এরপর থেকে তারা দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছিলেন। কিন্তু অর্থের বিনিময়ে জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সহযোগিতায় মুল ভলুম বইসহ অন্যান্য ডকুমেন্টে জমির ৬৪ নং দাগ পরিবর্তন করে সেখানে ১০৮ নং দাগ বসিয়ে নকল কাগজপত্র তৈরি করে নেন প্রদ্যুৎ কুমার শিকদার ও ভাইরা। এরপর থেকে ওই নকল কাগজ পত্র দিয়ে জমি দখলের জন্য নানাভাবে হুমিকি দিয়ে আসছেন।

এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হলে পিবিআই ও সিআইডির তদন্তে দাগ নাম্বার পরিবর্তনের সত্যতা উঠে আসে। জেলা রেজিষ্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের এমন কর্মকান্ডে নিজেদের জমি রক্ষায় আতংকিত এলাকাবাসী। দ্রুত দোষীদের শাস্তির দাবী জানিয়েছে তারা। তবে অভিযুক্ত প্রদ্যুৎ কুমার শিকদার ও ভাইদের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

কাগজ পত্রে জমির দাগ নাম্বার পাল্টে যাবার বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পরেননি রেকর্ড কিপার। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন, জেলা রেজিষ্ট্রার।

জমি রক্ষায় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

অর্থের বিনিময়ে বদলে যাচ্ছে গোপালগঞ্জের অনেক জমির খতিয়ান

আপডেট সময় : ০৫:৩০:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ অক্টোবর ২০২১

গোপালগঞ্জে অর্থের বিনিময়ে জমির দাগ নাম্বার বদলের অভিযোগ উঠেছে জেলা রেজিষ্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে। আর এমন ঘটনা শিকার হয়েছেন গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার আকদিয়া গ্রামের মোহাম্মদ অলিউর রহমান। জমি বাচাঁতে দ্রুত দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী ভুক্তভোগী ও এলাকাবাসীর।

গোপালগঞ্জ জেলার রেজিষ্ট্রি অফিসে প্রতিদিন জমি বেচা কেনার ২’শ থেকে ৩’শ দলিল করা হয়। ফলে জেলার ৫ উপজেলা থেকে কয়েক হাজার মানুষ ভীড় জমায় এ অফিসে।কিন্তু রেজিষ্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে অর্থের বিনিময়ে জমির দাগ নাম্বার পাল্টে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।

মুকসুদপুর উপজেলার আকদিয়া গ্রামের মো: অলিউর রহমান মিয়ার পূর্বপুরুষ ১৯২৩ মুকসুদপুরের ছোট বনগ্রাম মৌজার ৬৪ দাগের ১ একর জমি ক্রয় করেন। এরপর থেকে তারা দীর্ঘদিন ধরে ভোগ দখল করে আসছিলেন। কিন্তু অর্থের বিনিময়ে জেলা রেজিস্ট্রি অফিসের অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর সহযোগিতায় মুল ভলুম বইসহ অন্যান্য ডকুমেন্টে জমির ৬৪ নং দাগ পরিবর্তন করে সেখানে ১০৮ নং দাগ বসিয়ে নকল কাগজপত্র তৈরি করে নেন প্রদ্যুৎ কুমার শিকদার ও ভাইরা। এরপর থেকে ওই নকল কাগজ পত্র দিয়ে জমি দখলের জন্য নানাভাবে হুমিকি দিয়ে আসছেন।

এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হলে পিবিআই ও সিআইডির তদন্তে দাগ নাম্বার পরিবর্তনের সত্যতা উঠে আসে। জেলা রেজিষ্ট্রি অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীদের এমন কর্মকান্ডে নিজেদের জমি রক্ষায় আতংকিত এলাকাবাসী। দ্রুত দোষীদের শাস্তির দাবী জানিয়েছে তারা। তবে অভিযুক্ত প্রদ্যুৎ কুমার শিকদার ও ভাইদের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

কাগজ পত্রে জমির দাগ নাম্বার পাল্টে যাবার বিষয়ে কোন সদুত্তর দিতে পরেননি রেকর্ড কিপার। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন, জেলা রেজিষ্ট্রার।

জমি রক্ষায় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছে ভুক্তভোগীরা।