অবৈধ দখলদাররা গিলে খাচ্ছে পাবনার বড়াল নদী
- আপডেট সময় : ০২:৫৬:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মে ২০২১
- / ১৫০৮ বার পড়া হয়েছে
বাঁধ অপসারণ করে ব্রিজ নির্মাণ হলেও, চিহ্নিত করা হয়নি বড়াল নদীর দুই পাড়ের অবৈধ দখলদারদের। নির্ধারণ করা হয়নি নদীর সীমানা। ফলে থামছে না নদী দখল করে অবৈধ দখলদারদের স্থাপনা নির্মাণ। দাবি উঠেছে, শ্রেণীভুক্ত নৌপথে অন্তর্ভুক্ত করে বড়াল নদীর প্রাণ ফেরানোর।
এখানে একটি নদী ছিল তা বোঝার উপায় নেই। যে নদীর সাথে জড়িয়ে ছিল লাখো মানুষের জীবন-জীবিকা। এক সময়ের খর-স্রোতের বড়াল নদীর বুক জুড়ে এখন শুধুই কচুরিপানা, আর হাহাকার। ২০০৮ সালে বড়াল নদী উদ্ধারে আন্দোলন শুরু করে নদীপাড়ের কয়েক লাখ মানুষ। আন্দোলনের ফলে পাবনার চাটমোহর অংশে ইতিমধ্যে অপসারণ করা হয়েছে তিনটি ক্রসবাধ, সেখানে তৈরী করা হয়েছে ব্রীজ। যখন চলছে মরা বড়াল নদীর বুকে প্রাণ ফেরানোর চেষ্টা, তখনও থেমে নেই নদী দখল এবং দূষণ।। আজও হয়নি নদীর সীমানা নির্ধারণ। আর দখলদারদের দাবী তারা নদীর কোন জায়গা দখল করেনি।
কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির স্বার্থে ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের হটকারী সিদ্ধান্তের কারনে বড়ান মরা খালে পরিণত হয়েছে বলে দাবী বড়াল রক্ষা আন্দোলনের এই নেতার। বড়াল রক্ষা আন্দোলন নেতাদের অভিযোগ, আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে আজ অবদি অবৈধ দখলদার চিহ্নিত ও নদীর সীমানা নির্ধারণের কাজ হয়নি। যে কারলে বন্ধ হচ্ছে না বরাল নদী দখল ও দূষণ।
বড়াল নদী ফিরে পাবে তার হারানো গতি, ফিরবে এ অঞ্চলের জীববৈচিত্র আর প্রসার ঘটবে ব্যবসা বাণিজ্যে-এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।