০১:০৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নতুন ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১০:৩৩:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২০
  • / ১৫০৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নতুন ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। ফাইনালে ভারতকে হারিয়েছে টাইগার যুবারা। ৩ উইকেটের জয়ে প্রথমবারের মতো আইসিসির কোন ইভেন্টের শিরোপা জিতলো বাংলাদেশ। এর আগে, পচেফস্ট্রুমে আগে ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৪৭ দশমিক ২ ওভারে ১৭৭ রানে অলআউট হয় ভারত। অভিষেক ৩টি ও দুটি করে উইকেট নেন শরিফুল ও তানজিম হাসান। বাংলাদেশের বিজয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রথমবারের মতো কোন আন্তর্জাতিক কোন টুর্নামেন্ট জয়ের সাক্ষী হলো বাংলাদেশ। ফাইনালে ভারত হারিয়ে এই কৃতিত্ব অর্জন করলো লাল সবুজ জার্সিধারীরা। সাকিব-মিরাজরা যা করতে পারেননি তাই করে দেখালো আকবর আলীর দল।
অথচ স্বপ্নপূরনে ১৭৮ রানের ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কি তালঘোলটাই না পাকিয়েছিলো বাংলাদেশ। দুই ওপেনার পারভেজ ইমন ও তানজিদ হাসানের ৫০ রানের উদ্বোধনী জুটির পরও খেই হারায় টাইগার টপঅর্ডার। তানজিদ হাসানকে দিয়ে যার শুরু। ব্যক্তিগত ১৭ রানে রভি বিষ্ণইয়ের ঘুর্ণিতে কাটা পরেন এই ওপেনার।

বাংলাদেশকে ফাইনালে উঠনো মাহমুদু হাসান জয়, দিতে পারেননি আস্থার প্রতিদান। যার পথ অনুসরন করেছেন তৌহিদ হৃদয়। তার আগে, রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠে ছেড়ে দলকে আরো বিপদে ফেলে গেছেন পারভেজ ইমন। দিন উইকেট হারিয়ে যখন বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। তখন আবারো লাল সবুজদের হতাশ করেন শাহাদাত হোসাইন। রভি বিষ্ণইয়ের চতুর্থ শিকার শাহাদের সংগ্রহ মাত্র ১ রান।

৫০ থেকে ৬৫ এ ১৫ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ টেনে তোলোর দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ শামিম হোসাইন ও অভিষেক দাস। ১৭ রানের ব্যবধানে এই দুই ব্যাটসম্যানও ফিরেছেন সাজঘরে। সপ্তম উইকেটে আকবর আলীকে সঙ্গ দিতে ক্রিসে আসেন রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়া পারভেজ ইমন। তাদের ৪১ রানের জুটি সম্ভাবনা জাগালেও, ইমনের বিদায়ে আবারো তৈরী হয় শঙ্ক। তবে, রকিবুল হাসানকে নিয়ে আর কোন ভুল অধিনায়ক আকবর আলী। পরে বৃষ্টি আইনে জয় উল্লাসে মাতে বাংলাদেশ। ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন আকবর আলী।

তার আগে, পচেফস্ট্রুমে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক আকবর আলী টুর্নামেন্টে ভারতের ভয়ঙ্কর দুই ওপেনার জ্যাসওয়াল ও সাক্সেনা জুটিকে শুরু থেকে চাপে রাখেন বাংলাদেশর দুই বোলার শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। তবে প্রথম উইকেট অভিষেক দাসের। সাক্সেনাকে ২ রানে ফেরান এই পেসার। তবে, দ্বিতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। শুরুর চাপ সামলে দলকে এগিয়ে নেন জ্যাসওয়াল ও তিলক ভার্মা। এই দুয়ের ৯৪ রানের প্রতিরোধ ভাঙে ২৯তম ওভারে।তানজিম সাকিবের শিকার হয়ে ভার্মা যখন ফিরেছেন দলের স্কোর তখন ১০৩। অপর প্রান্তে ফিফটি করা জ্যাসওয়াল ধ্বংস্তুপে দাঁড়িয়ে একাই লড়াই করেছেন দলের হয়ে। কিন্তু পরের সময়টা শুধুই টাইগার বোলাদের জয়জয়কার।

সেঞ্চরি থেকে যখন ১২ রান দুরত্বে জ্যাসওয়াল; তখনই স্পটলাইটে পেসার শরিফুল ইসালাম। একই ওভারে জ্যাসওয়াল ও শিদ্বেশ ভিরকে ফিরিয়ে ম্যাচকে এক পেশে করে তোলেন শরিফুল। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। পরের ২১ রান যোগ করতে শেষ পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারায় চারবারের চ্যাম্পিয়নরা। তিন উইকেট নিয়ে সেরা বোলার অভিষেক দাস। এছাড়া এ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। তাতেই প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনো ইভেন্টের ট্রফি জিতলো বাংলাদেশ।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নতুন ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ

আপডেট সময় : ১০:৩৩:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২০

অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে নতুন ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ। ফাইনালে ভারতকে হারিয়েছে টাইগার যুবারা। ৩ উইকেটের জয়ে প্রথমবারের মতো আইসিসির কোন ইভেন্টের শিরোপা জিতলো বাংলাদেশ। এর আগে, পচেফস্ট্রুমে আগে ব্যাট করতে নেমে টাইগার বোলাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৪৭ দশমিক ২ ওভারে ১৭৭ রানে অলআউট হয় ভারত। অভিষেক ৩টি ও দুটি করে উইকেট নেন শরিফুল ও তানজিম হাসান। বাংলাদেশের বিজয়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।

প্রথমবারের মতো কোন আন্তর্জাতিক কোন টুর্নামেন্ট জয়ের সাক্ষী হলো বাংলাদেশ। ফাইনালে ভারত হারিয়ে এই কৃতিত্ব অর্জন করলো লাল সবুজ জার্সিধারীরা। সাকিব-মিরাজরা যা করতে পারেননি তাই করে দেখালো আকবর আলীর দল।
অথচ স্বপ্নপূরনে ১৭৮ রানের ছোট লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে কি তালঘোলটাই না পাকিয়েছিলো বাংলাদেশ। দুই ওপেনার পারভেজ ইমন ও তানজিদ হাসানের ৫০ রানের উদ্বোধনী জুটির পরও খেই হারায় টাইগার টপঅর্ডার। তানজিদ হাসানকে দিয়ে যার শুরু। ব্যক্তিগত ১৭ রানে রভি বিষ্ণইয়ের ঘুর্ণিতে কাটা পরেন এই ওপেনার।

বাংলাদেশকে ফাইনালে উঠনো মাহমুদু হাসান জয়, দিতে পারেননি আস্থার প্রতিদান। যার পথ অনুসরন করেছেন তৌহিদ হৃদয়। তার আগে, রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠে ছেড়ে দলকে আরো বিপদে ফেলে গেছেন পারভেজ ইমন। দিন উইকেট হারিয়ে যখন বিপর্যস্ত বাংলাদেশ। তখন আবারো লাল সবুজদের হতাশ করেন শাহাদাত হোসাইন। রভি বিষ্ণইয়ের চতুর্থ শিকার শাহাদের সংগ্রহ মাত্র ১ রান।

৫০ থেকে ৬৫ এ ১৫ রানে ৪ উইকেট হারানো বাংলাদেশ টেনে তোলোর দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ শামিম হোসাইন ও অভিষেক দাস। ১৭ রানের ব্যবধানে এই দুই ব্যাটসম্যানও ফিরেছেন সাজঘরে। সপ্তম উইকেটে আকবর আলীকে সঙ্গ দিতে ক্রিসে আসেন রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়া পারভেজ ইমন। তাদের ৪১ রানের জুটি সম্ভাবনা জাগালেও, ইমনের বিদায়ে আবারো তৈরী হয় শঙ্ক। তবে, রকিবুল হাসানকে নিয়ে আর কোন ভুল অধিনায়ক আকবর আলী। পরে বৃষ্টি আইনে জয় উল্লাসে মাতে বাংলাদেশ। ৪২ রানে অপরাজিত ছিলেন আকবর আলী।

তার আগে, পচেফস্ট্রুমে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক আকবর আলী টুর্নামেন্টে ভারতের ভয়ঙ্কর দুই ওপেনার জ্যাসওয়াল ও সাক্সেনা জুটিকে শুরু থেকে চাপে রাখেন বাংলাদেশর দুই বোলার শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। তবে প্রথম উইকেট অভিষেক দাসের। সাক্সেনাকে ২ রানে ফেরান এই পেসার। তবে, দ্বিতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়ায় ভারত। শুরুর চাপ সামলে দলকে এগিয়ে নেন জ্যাসওয়াল ও তিলক ভার্মা। এই দুয়ের ৯৪ রানের প্রতিরোধ ভাঙে ২৯তম ওভারে।তানজিম সাকিবের শিকার হয়ে ভার্মা যখন ফিরেছেন দলের স্কোর তখন ১০৩। অপর প্রান্তে ফিফটি করা জ্যাসওয়াল ধ্বংস্তুপে দাঁড়িয়ে একাই লড়াই করেছেন দলের হয়ে। কিন্তু পরের সময়টা শুধুই টাইগার বোলাদের জয়জয়কার।

সেঞ্চরি থেকে যখন ১২ রান দুরত্বে জ্যাসওয়াল; তখনই স্পটলাইটে পেসার শরিফুল ইসালাম। একই ওভারে জ্যাসওয়াল ও শিদ্বেশ ভিরকে ফিরিয়ে ম্যাচকে এক পেশে করে তোলেন শরিফুল। এরপর আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা। পরের ২১ রান যোগ করতে শেষ পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারায় চারবারের চ্যাম্পিয়নরা। তিন উইকেট নিয়ে সেরা বোলার অভিষেক দাস। এছাড়া এ দুটি করে উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও তানজিম হাসান সাকিব। তাতেই প্রথমবারের মতো আইসিসির কোনো ইভেন্টের ট্রফি জিতলো বাংলাদেশ।