১০:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

১১৩টি বিলাসবহুল গাড়ি অবশেষে ১০ বছর পর নিলামে তুলতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:১৬:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১
  • / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কারনেট সুবিধায় আনা ১১৩টি বিলাসবহুল গাড়ি অবশেষে ১০ বছর পর নিলামে তুলতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ। এর আগেও খন্ড খন্ডভাবে একাধিকবার এসব গাড়ি নিলামে তুললেও কাঙ্খিত দাম না পাওয়ায় তা বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। তবে এবার যে কোন মূল্যে বিষয়টি নিস্পত্তি করার ঘোষণা দিয়েছেন কাস্টমস কমিশনার। আর গাড়ি ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় গাড়িগুলোর অধিকাংশ যন্ত্রাংশই এখন অকেজো হয়ে গেছে। তাই কালক্ষেপণ না করে নিলাম প্রক্রিয়া দ্রুত নিষ্পত্তি করার তাগিদ দিয়েছেন তারা।

চট্টগ্রাম বন্দরের অকশন শেডে এভাবেই পড়ে আছে বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জ, ল্যান্ড ক্রুজার, ল্যান্ড রোভারসহ বিশ্বের নামিদামি ব্রান্ডের ১১৩টি বিলাসবহুল গাড়ি। ২০১১ ও ২০১২ সালে কারনেট সুবিধা ব্যবহার করে গাড়িগুলো এনেছিলো বাংলাদেশে অবস্থান করা বিদেশী নাগরিকরা। যা বাংলাদেশে কিছুদিন ব্যবহার করে ফিরিয়ে নেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু খালাসের সময়ে হঠাৎ করেই এনবিআর কঠোর হওয়ায় গাড়িগুলোর আর খোঁজ নেননি মালিকরা। ফুটেজ-১

আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে গত ৫ বছর ধরেই গাড়িগুলো নিলামে বিক্রির চেষ্টা করছে কাস্টমস। কিন্তু কাঙ্খিত মুল্য না পাওয়ায় তা বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। তাই ১০ বছর ধরেই বন্দরের জায়গা দখল করে আছে পরিত্যক্ত এই বিলাসবহুল গাড়িগুলো। তবে এবার বিষয়টির সুরাহা চায় কাস্টমস।

গাড়ি ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১০ বছর ধরে কন্টেইনারবন্দী থাকায় যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে এখন এসব গাড়ি রাস্তায় চলাচলের উপযোগিতা হারিয়েছে। এছাড়া কাস্টমসের সিডিউলে সংরক্ষিত মূল্যও ধরা হয়েছে অনেক বেশি। এই বাস্তবতায় এবারের অকশনের সাফল্য নিয়েও সন্দিহান সবাই।

আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, আইনগত জটিলতা আর কাস্টমস কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার অভাবে অধিকাংশ নিলাম পণ্যই ব্যবহার উপযোগী থাকে না। তাই প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারায় সরকার। এ অবস্থার উত্তরণে তিন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয় জরুরী।

কারনেট সুবিধার ১১৩টি গাড়ি ছাড়াও নিলামযোগ্য আরো দুই শতাধিক গাড়ির পাশাপাশি পণ্যভর্তি প্রায় ৭ হাজার নিলামযোগ্য কন্টেইনার বছরের পর বছর ধরে পড়ে আছে চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

১১৩টি বিলাসবহুল গাড়ি অবশেষে ১০ বছর পর নিলামে তুলতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ

আপডেট সময় : ০২:১৬:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অক্টোবর ২০২১

কারনেট সুবিধায় আনা ১১৩টি বিলাসবহুল গাড়ি অবশেষে ১০ বছর পর নিলামে তুলতে যাচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ। এর আগেও খন্ড খন্ডভাবে একাধিকবার এসব গাড়ি নিলামে তুললেও কাঙ্খিত দাম না পাওয়ায় তা বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। তবে এবার যে কোন মূল্যে বিষয়টি নিস্পত্তি করার ঘোষণা দিয়েছেন কাস্টমস কমিশনার। আর গাড়ি ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় গাড়িগুলোর অধিকাংশ যন্ত্রাংশই এখন অকেজো হয়ে গেছে। তাই কালক্ষেপণ না করে নিলাম প্রক্রিয়া দ্রুত নিষ্পত্তি করার তাগিদ দিয়েছেন তারা।

চট্টগ্রাম বন্দরের অকশন শেডে এভাবেই পড়ে আছে বিএমডব্লিউ, মার্সিডিজ বেঞ্জ, ল্যান্ড ক্রুজার, ল্যান্ড রোভারসহ বিশ্বের নামিদামি ব্রান্ডের ১১৩টি বিলাসবহুল গাড়ি। ২০১১ ও ২০১২ সালে কারনেট সুবিধা ব্যবহার করে গাড়িগুলো এনেছিলো বাংলাদেশে অবস্থান করা বিদেশী নাগরিকরা। যা বাংলাদেশে কিছুদিন ব্যবহার করে ফিরিয়ে নেয়ার কথা ছিলো। কিন্তু খালাসের সময়ে হঠাৎ করেই এনবিআর কঠোর হওয়ায় গাড়িগুলোর আর খোঁজ নেননি মালিকরা। ফুটেজ-১

আইনি প্রক্রিয়া শেষ করে গত ৫ বছর ধরেই গাড়িগুলো নিলামে বিক্রির চেষ্টা করছে কাস্টমস। কিন্তু কাঙ্খিত মুল্য না পাওয়ায় তা বিক্রি করা সম্ভব হয়নি। তাই ১০ বছর ধরেই বন্দরের জায়গা দখল করে আছে পরিত্যক্ত এই বিলাসবহুল গাড়িগুলো। তবে এবার বিষয়টির সুরাহা চায় কাস্টমস।

গাড়ি ব্যবসার সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ১০ বছর ধরে কন্টেইনারবন্দী থাকায় যন্ত্রাংশ নষ্ট হয়ে এখন এসব গাড়ি রাস্তায় চলাচলের উপযোগিতা হারিয়েছে। এছাড়া কাস্টমসের সিডিউলে সংরক্ষিত মূল্যও ধরা হয়েছে অনেক বেশি। এই বাস্তবতায় এবারের অকশনের সাফল্য নিয়েও সন্দিহান সবাই।

আর ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, আইনগত জটিলতা আর কাস্টমস কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার অভাবে অধিকাংশ নিলাম পণ্যই ব্যবহার উপযোগী থাকে না। তাই প্রতিবছর কোটি কোটি টাকার রাজস্ব হারায় সরকার। এ অবস্থার উত্তরণে তিন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সমন্বয় জরুরী।

কারনেট সুবিধার ১১৩টি গাড়ি ছাড়াও নিলামযোগ্য আরো দুই শতাধিক গাড়ির পাশাপাশি পণ্যভর্তি প্রায় ৭ হাজার নিলামযোগ্য কন্টেইনার বছরের পর বছর ধরে পড়ে আছে চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন ইয়ার্ডে।