০৮:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

শক্তিশালী সিন্ডিকেটের খপ্পরে রংপুরের ভূমি অফিস

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১০:৩২:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪
  • / ১৬৪৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জমির বৈধ দলিলের কোনো তোয়াক্কাই করে না রংপুরের ভূমি অফিসগুলো। কারণ এই অফিসগুলোতে ওঁৎ পেতে বসে আছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। আর এই সিন্ডিকেটের ওপরই অনেকটা ভর করেছে জেলা প্রশাসনও। ফলে সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরোটলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে খোদ প্রশাসনেরই কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী।

ঢাকার বাইরেও শিল্পায়নে জোর দিচ্ছে সরকার। সে অনুযায়ী শিল্পবান্ধব পরিবেশও সৃষ্টিতে জোর দেয়া হচ্ছে। অথচ রংপুরের মিঠাপুকুরে গড়ে ওঠা দেশের সর্ববৃহৎ এসএ অ্যাগ্রো ফিড লিমিটেডকে হয়রানিতে ফেলতে
মরিয়া ভূমি জালিয়াতি সিন্ডিকেট। ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে এসএ অ্যাগ্রো ফিডের মালিকানাধীন জমিকে খাস বানানোর চক্রান্ত করেছে এই সিন্ডিকেট।

এসএ ফিডের জমিকে কোন কাগজের ভিত্তিতে জালিয়াতি চক্র খাস খতিয়ানে দেখানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে-তা অনুসন্ধানে টিম এসএটিভি।

মিঠাপুকুরের জায়গীরহাট ইউনিয়ন ভূমি অফিস। সাবেক হিসাব তত্বাবধায়ক আমজাদ হোসেনের কল্পিত অডিট আপত্তি অনুযায়ী এসএ অ্যাগ্রো ফিডের জমি কোন প্রক্রিয়ায় খাস খতিয়ানে গেল তার প্রমাণ হিসেবে সকল কাগজপত্র এ অফিসেই থাকার কথা। কিন্তু নেই।

 

ইউনিয়ন ভূমি অফিস ছাড়াও এসএ খতিয়ানের ডকুমেন্ট মিঠাপুকুর উপজেলা ভূমি অফিসেও সংরক্ষিত থাকার কথা। কিন্তু এখানেও কোনো ডকুমেন্ট নেই-তা অকপটে স্বীকার করলেন এসি ল্যান্ড।

এসএটিভির অনুসন্ধানী টিমের হানা এবার জেলা সেটেলমেন্ট অফিসে। এই অফিস থেকেই করা হয়েছিলো এস রেকর্ডের ভুমি জরিপ। কিন্তু সেখানেও কোনো ডকুমেন্ট দেখাতে পারেন নি কর্মকর্তারা।

 

সেটেলমেন্ট অফিস থেকে পাঠানো হয় জেলা রেকর্ডরুমে। ভুমি সংক্রান্ত সব কাগজপত্রের প্রধান সংরক্ষণাগার এটি। কিন্তু এখানকার কর্মকর্তারাও দিতে পারলেন না সরকার পক্ষের দাবি করা কোন কাগজের হদিস।

 

তাহলে কোন ডকুমেন্টের বলে এসএ অ্যাগ্রো ফিডের নিজস্ব সম্পত্তি খাস খতিয়ানের অন্তর্ভূক্ত দেখানোর চেষ্টা চলছে- তা জানতে জেলা প্রশাসকের কক্ষে এসএ টিভির ক্যামেরা। কিন্তু তিনিও দিতে পারেননি সদুত্তর।

ভূয়া অডিট আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে ভূমি অফিসের কল্পিত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে রংপুর জজ কোর্টে মামলা করেছে এসএ অ্যাগ্রো ফিড কর্তৃপক্ষ। যা বিচারাধীন।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

শক্তিশালী সিন্ডিকেটের খপ্পরে রংপুরের ভূমি অফিস

আপডেট সময় : ১০:৩২:৫৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

জমির বৈধ দলিলের কোনো তোয়াক্কাই করে না রংপুরের ভূমি অফিসগুলো। কারণ এই অফিসগুলোতে ওঁৎ পেতে বসে আছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। আর এই সিন্ডিকেটের ওপরই অনেকটা ভর করেছে জেলা প্রশাসনও। ফলে সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরোটলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে খোদ প্রশাসনেরই কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারী।

ঢাকার বাইরেও শিল্পায়নে জোর দিচ্ছে সরকার। সে অনুযায়ী শিল্পবান্ধব পরিবেশও সৃষ্টিতে জোর দেয়া হচ্ছে। অথচ রংপুরের মিঠাপুকুরে গড়ে ওঠা দেশের সর্ববৃহৎ এসএ অ্যাগ্রো ফিড লিমিটেডকে হয়রানিতে ফেলতে
মরিয়া ভূমি জালিয়াতি সিন্ডিকেট। ভূয়া কাগজপত্র তৈরি করে এসএ অ্যাগ্রো ফিডের মালিকানাধীন জমিকে খাস বানানোর চক্রান্ত করেছে এই সিন্ডিকেট।

এসএ ফিডের জমিকে কোন কাগজের ভিত্তিতে জালিয়াতি চক্র খাস খতিয়ানে দেখানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে-তা অনুসন্ধানে টিম এসএটিভি।

মিঠাপুকুরের জায়গীরহাট ইউনিয়ন ভূমি অফিস। সাবেক হিসাব তত্বাবধায়ক আমজাদ হোসেনের কল্পিত অডিট আপত্তি অনুযায়ী এসএ অ্যাগ্রো ফিডের জমি কোন প্রক্রিয়ায় খাস খতিয়ানে গেল তার প্রমাণ হিসেবে সকল কাগজপত্র এ অফিসেই থাকার কথা। কিন্তু নেই।

 

ইউনিয়ন ভূমি অফিস ছাড়াও এসএ খতিয়ানের ডকুমেন্ট মিঠাপুকুর উপজেলা ভূমি অফিসেও সংরক্ষিত থাকার কথা। কিন্তু এখানেও কোনো ডকুমেন্ট নেই-তা অকপটে স্বীকার করলেন এসি ল্যান্ড।

এসএটিভির অনুসন্ধানী টিমের হানা এবার জেলা সেটেলমেন্ট অফিসে। এই অফিস থেকেই করা হয়েছিলো এস রেকর্ডের ভুমি জরিপ। কিন্তু সেখানেও কোনো ডকুমেন্ট দেখাতে পারেন নি কর্মকর্তারা।

 

সেটেলমেন্ট অফিস থেকে পাঠানো হয় জেলা রেকর্ডরুমে। ভুমি সংক্রান্ত সব কাগজপত্রের প্রধান সংরক্ষণাগার এটি। কিন্তু এখানকার কর্মকর্তারাও দিতে পারলেন না সরকার পক্ষের দাবি করা কোন কাগজের হদিস।

 

তাহলে কোন ডকুমেন্টের বলে এসএ অ্যাগ্রো ফিডের নিজস্ব সম্পত্তি খাস খতিয়ানের অন্তর্ভূক্ত দেখানোর চেষ্টা চলছে- তা জানতে জেলা প্রশাসকের কক্ষে এসএ টিভির ক্যামেরা। কিন্তু তিনিও দিতে পারেননি সদুত্তর।

ভূয়া অডিট আপত্তির পরিপ্রেক্ষিতে ভূমি অফিসের কল্পিত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে রংপুর জজ কোর্টে মামলা করেছে এসএ অ্যাগ্রো ফিড কর্তৃপক্ষ। যা বিচারাধীন।