রায় দেয়ার আগেই তিনি রায় বলে দিতে পারেন
- আপডেট সময় : ০৭:৩১:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ৭ অক্টোবর ২০২০
- / ১৫১০ বার পড়া হয়েছে
রায় দেয়ার আগেই তিনি রায় বলে দিতে পারেন, তার কাছ থেকেই খোয়া যায় মামলার গুরুত্বপূর্ণ নথি এবং প্রার্থিত সাজা না পেলেও তিনি খুশী থাকেন রায়ে। এতসব অভিযোগ যার বিরুদ্ধে তিনি ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২ এর স্পেশাল পিপি মো: আলী আকবর। বুধবার লালবাগ থানার ছয় বছরের শিশু রিফাত হত্যা মামলার রায়ের প্রতিক্রিয়ায় সন্তোষ প্রকাশের পর রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর বিরুদ্ধে এতসব অভিযোগ করেন রিফাতের বাবা ও মা। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে আলী আকবর বলেন, তিনি নন নথি গায়েবে সঙ্গে জড়িত ছিল তার মুহুরী। এর আগে চাঞ্চল্যকর এই মামলায় প্রধান আসামী জুয়েলকে যাবজ্জীবন সাজা এবং অপর দুই আসামী খালাস দিয়ে রায় দেন বিচারক মো; রবিউল আলমের আদালত।
অপহরণের পর মুক্তিপনের ১০ লাখ টাকা চেয়ে এভাবেই ক্ষুদ্র মাছ ব্যবসায়ী রফিকুলের উপর চাপ সৃষ্টি করেন অপহরণকারি দলের প্রধান হোতা জুয়েল।
পরে মুক্তিপনের টাকা আনতে গিয়ে গ্রেফতার হয় জুয়েল। জুয়েলের কথার সুত্র ধরে গ্রেফতার করা হয় মামলার অপর দুই আসামী জুয়েলের বাবা হাবিবুর রহমান এবং সহযোগী ইকবালকে। পরে দুই আসামীর দেখানো জায়গা থেকে বস্তাবন্দী অবস্থায় ৬ বছরের শিশু রিফাতের লাশ উদ্ধার করে রেব।
২০১৫ সালের ৯ থেকে ১১ জুন সংগঠিত ওই অপরাধের তদন্ত শেষে বিচার শুরু হয় একই বছর ৬ ডিসেম্বর। দুই বছর পর বিচার যখন শেষ পর্যায়ে তখন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর কাছ থেকে হারিয়ে যায় তদন্তের বিস্তারিত তথ্য সম্বলিত সিডি।
সবশেষ ৭ অক্টোবর রায়ের দিনি ধার্য্য করে আদালত। আদালতে আসেন নিহত রিফাতের মা ও বাবাসহ আসামীদের স্বজনরাও। সংক্ষিপ্ত রায়ে প্রধান আসামী জুয়েলকে যাজ্জীবন এবং অপর দুই আসামীকে খালাস দেয় আদালত।
তবে দুই আসামী খালাসের পরও রাষ্ট্রপক্ষের এই সন্তুষ্টিতে ক্ষোভে ফুসে উঠেন রিফাতের বাবা ও মা। আসামীদের সঙ্গে রাষ্ট্রপক্ষের যোগসাজশের অভিযোগ ছিল তাদের কণ্ঠে।
কণ্ঠে তেমন জোর না থাকলেও অভিযোগ অস্বীকার করেন আলী আকবর।
এতসব প্রমাণ থাকার পরও সর্বোচ্চ সাজা না হওয়ায় হতাশা ছিল বাদীপক্ষের আইনজীবী কণ্ঠে।
এদিকে খালাস পেয়ে জুয়েলের পিতা হাবিবুর রহমান আসামীদের দেখা নেবার হুমকি দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন সন্তান হারা এই বাবা মা।