০৫:০৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫

প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন হানিফ সংকেত

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৫:২৭:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫
  • / ১৫৩২ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রযুক্তির উৎকর্ষতার এই যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এর ব্যবহার যেমন অভাবনীয় সুবিধা নিয়ে এসেছে, তেমনি এর অপব্যবহারও ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনছে। সাম্প্রতিক সময়ে এমনই এক প্রতারণার শিকার হয়েছেন দেশের জনপ্রিয় উপস্থাপক হানিফ সংকেত।

তিনি তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে জানান- ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে তার উপস্থাপনার ভিডিও ও কণ্ঠ অনুকরণ করে ডায়াবেটিস সংক্রান্ত ভুয়া বিজ্ঞাপন ছড়ানো হচ্ছে। এসব বিজ্ঞাপন তৈরিতে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার মতো কণ্ঠস্বর তৈরি করা হয়েছে, তবে এতে রয়েছে বাংলা উচ্চারণে স্পষ্ট ভিনদেশি টান। বিষয়টি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ায় অনেক দর্শক বিভ্রান্ত হচ্ছেন।

হানিফ সংকেত স্ট্যাটাসে স্পষ্ট করে বলেন, “আমি কখনোই কোনো বিজ্ঞাপনচিত্রে অংশগ্রহণ করিনি। আমাকে ব্যবহার করে এ ধরনের এআই কিংবা প্রযুক্তি নির্ভর কোনো বিজ্ঞাপন দেখে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।”

তিনি আরও জানান, এই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে তিনি খুব শিগগিরই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এআই প্রযুক্তির অপব্যবহার নিয়ে শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বাড়ছে। ব্রিটেনের বেশ কয়েকজন প্রখ্যাত তারকাও কপিরাইট আইন হালনাগাদের দাবি জানিয়েছেন, যাতে তাদের কণ্ঠ, চেহারা ও কাজের কৃত্রিম পুনঃব্যবহার রোধ করা যায়। এই তালিকায় রয়েছেন গায়িকা ডুয়া লিপা, সংগীত কিংবদন্তি এলটন জন, নাট্যকার ডেভিড হেয়ার এবং নোবেলজয়ী সাহিত্যিক কাজুও ইশিগুরোর মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।

এই জনপ্রিয় উপস্থাপকের মতে, “এআই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত এমন কিছু নীতিমালা তৈরি করা, যাতে কেউ এর অপব্যবহার করতে না পারে। নইলে সাধারণ মানুষ আরও বেশি বিভ্রান্ত ও প্রতারণার শিকার হবেন।”

প্রযুক্তির এই যুগে যেখানে উদ্ভাবন আমাদের পথ দেখায়, সেখানেই দায়িত্বশীল ব্যবহার নিশ্চিত করাটা এখন সময়ের দাবি।

লেখা: কাজী মাসুদ, এসএ টিভি ডিজিটাল।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন হানিফ সংকেত

আপডেট সময় : ০৫:২৭:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫

প্রযুক্তির উৎকর্ষতার এই যুগে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এর ব্যবহার যেমন অভাবনীয় সুবিধা নিয়ে এসেছে, তেমনি এর অপব্যবহারও ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনছে। সাম্প্রতিক সময়ে এমনই এক প্রতারণার শিকার হয়েছেন দেশের জনপ্রিয় উপস্থাপক হানিফ সংকেত।

তিনি তাঁর ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে জানান- ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে তার উপস্থাপনার ভিডিও ও কণ্ঠ অনুকরণ করে ডায়াবেটিস সংক্রান্ত ভুয়া বিজ্ঞাপন ছড়ানো হচ্ছে। এসব বিজ্ঞাপন তৈরিতে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার মতো কণ্ঠস্বর তৈরি করা হয়েছে, তবে এতে রয়েছে বাংলা উচ্চারণে স্পষ্ট ভিনদেশি টান। বিষয়টি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ায় অনেক দর্শক বিভ্রান্ত হচ্ছেন।

হানিফ সংকেত স্ট্যাটাসে স্পষ্ট করে বলেন, “আমি কখনোই কোনো বিজ্ঞাপনচিত্রে অংশগ্রহণ করিনি। আমাকে ব্যবহার করে এ ধরনের এআই কিংবা প্রযুক্তি নির্ভর কোনো বিজ্ঞাপন দেখে কেউ বিভ্রান্ত হবেন না। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই।”

তিনি আরও জানান, এই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে তিনি খুব শিগগিরই আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

এআই প্রযুক্তির অপব্যবহার নিয়ে শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বাড়ছে। ব্রিটেনের বেশ কয়েকজন প্রখ্যাত তারকাও কপিরাইট আইন হালনাগাদের দাবি জানিয়েছেন, যাতে তাদের কণ্ঠ, চেহারা ও কাজের কৃত্রিম পুনঃব্যবহার রোধ করা যায়। এই তালিকায় রয়েছেন গায়িকা ডুয়া লিপা, সংগীত কিংবদন্তি এলটন জন, নাট্যকার ডেভিড হেয়ার এবং নোবেলজয়ী সাহিত্যিক কাজুও ইশিগুরোর মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব।

এই জনপ্রিয় উপস্থাপকের মতে, “এআই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত এমন কিছু নীতিমালা তৈরি করা, যাতে কেউ এর অপব্যবহার করতে না পারে। নইলে সাধারণ মানুষ আরও বেশি বিভ্রান্ত ও প্রতারণার শিকার হবেন।”

প্রযুক্তির এই যুগে যেখানে উদ্ভাবন আমাদের পথ দেখায়, সেখানেই দায়িত্বশীল ব্যবহার নিশ্চিত করাটা এখন সময়ের দাবি।

লেখা: কাজী মাসুদ, এসএ টিভি ডিজিটাল।