০৫:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২১ মে ২০২৫

রেলসেতুতে বগি রেখেই স্টেশনে চলে এলো ইঞ্জিন

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৩:১১:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫
  • / ১৫৫০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসা ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি ১৩টি বগি রেখেই চলে গেছে নেত্রকোণা রেলওয়ে স্টেশনে। এতে মাঝপথে অন্ধকারাচ্ছন্ন রেল ব্রিজের ওপর অপেক্ষায় রয়েছেন যাত্রীরা। শনিবার (১৭ মে) রাত ৮টার দিকে নেত্রকোণার শ্যামগঞ্জ স্টেশন থেকে ট্রেনটি মোহনগঞ্জের উদ্দেশে ছাড়ার পর চল্লিশা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরে ইঞ্জিনটি একটি বগিসহ নেত্রকোণা স্টেশনে গিয়ে পৌঁছায়।

নেত্রকোণার স্টেশন মাস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে আসা মোহনগঞ্জগামী আন্তঃনগর ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি শ্যামগঞ্জ স্টেশনে এসে পৌঁছে। যাত্রাবিরতি শেষে ছাড়ার কয়েক মিনিট চল্লিশা এলাকায় আসার পর বগির সংযোগ হুক ভেঙে যায়। আর বাকি বগিগুলো চল্লিশা রেল সেতুর ওপর থেকে যায়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ট্রেনটি উদ্ধারে ময়মনসিংহ থেকে একটি ইঞ্জিন ও লোকজন এসে সমস্যা সমাধান করেছেন।

যাত্রীরা অভিযোগ করে বলছিলেন, বগি রেখে ইঞ্জিন চলে যাওয়ার প্রায় ৩ ঘণ্টা হতে চলল, কিন্তু এখন পর্যন্ত রিলিফ ট্রেন আসার কোনো খবর নাই। এমন একটা জায়গায় আমরা আটকে আছি, যেখানে ট্রেন থেকে নামতেও পারছি না, কোথাও যেতেও পারছি না। অন্ধকারের মধ্যে এভাবে বসে থাকতে অনিরাপদ বোধ করছি।
এদিকে এমন ঘটনার পর ঢাকা থেকে আসা নেত্রকোণার বারহাট্টা ও মোহনগঞ্জগামী যাত্রীরা বেশ বিপাকে পড়েছিলেন। যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে বাস ও অন্যান্য যানবাহনে গন্তব্যে পৌঁছেছেন।

ট্রেনের যাত্রী মোহনগঞ্জ শহরের বাসিন্দা রফিকুজ্জামান ইদ্রিসী বলেন, ময়মনসিংহ থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠেছিলাম। পথে শ্যামগঞ্জ স্টেশন থেকে ছাড়ার কিছু সময় পর হঠাৎ করে ট্রেনের গতি কমতে থাকে। পরে জানা গেছে যে ট্রেনের ইঞ্জিন চলে গেছে বগি ফেলে। শেষে বাধ্য হয়ে যাত্রীরা ট্রেন নেমে বাস ও সিএনজি করে গন্তব্যে রওনা হয়েছিলেন। আমি নিজেও বাসে করে গন্তব্যে রওনা দেই।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

রেলসেতুতে বগি রেখেই স্টেশনে চলে এলো ইঞ্জিন

আপডেট সময় : ০৩:১১:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৮ মে ২০২৫

কমলাপুর থেকে ছেড়ে আসা ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি ১৩টি বগি রেখেই চলে গেছে নেত্রকোণা রেলওয়ে স্টেশনে। এতে মাঝপথে অন্ধকারাচ্ছন্ন রেল ব্রিজের ওপর অপেক্ষায় রয়েছেন যাত্রীরা। শনিবার (১৭ মে) রাত ৮টার দিকে নেত্রকোণার শ্যামগঞ্জ স্টেশন থেকে ট্রেনটি মোহনগঞ্জের উদ্দেশে ছাড়ার পর চল্লিশা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। তবে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। পরে ইঞ্জিনটি একটি বগিসহ নেত্রকোণা স্টেশনে গিয়ে পৌঁছায়।

নেত্রকোণার স্টেশন মাস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে আসা মোহনগঞ্জগামী আন্তঃনগর ‘মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি শ্যামগঞ্জ স্টেশনে এসে পৌঁছে। যাত্রাবিরতি শেষে ছাড়ার কয়েক মিনিট চল্লিশা এলাকায় আসার পর বগির সংযোগ হুক ভেঙে যায়। আর বাকি বগিগুলো চল্লিশা রেল সেতুর ওপর থেকে যায়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ট্রেনটি উদ্ধারে ময়মনসিংহ থেকে একটি ইঞ্জিন ও লোকজন এসে সমস্যা সমাধান করেছেন।

যাত্রীরা অভিযোগ করে বলছিলেন, বগি রেখে ইঞ্জিন চলে যাওয়ার প্রায় ৩ ঘণ্টা হতে চলল, কিন্তু এখন পর্যন্ত রিলিফ ট্রেন আসার কোনো খবর নাই। এমন একটা জায়গায় আমরা আটকে আছি, যেখানে ট্রেন থেকে নামতেও পারছি না, কোথাও যেতেও পারছি না। অন্ধকারের মধ্যে এভাবে বসে থাকতে অনিরাপদ বোধ করছি।
এদিকে এমন ঘটনার পর ঢাকা থেকে আসা নেত্রকোণার বারহাট্টা ও মোহনগঞ্জগামী যাত্রীরা বেশ বিপাকে পড়েছিলেন। যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে বাস ও অন্যান্য যানবাহনে গন্তব্যে পৌঁছেছেন।

ট্রেনের যাত্রী মোহনগঞ্জ শহরের বাসিন্দা রফিকুজ্জামান ইদ্রিসী বলেন, ময়মনসিংহ থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে উঠেছিলাম। পথে শ্যামগঞ্জ স্টেশন থেকে ছাড়ার কিছু সময় পর হঠাৎ করে ট্রেনের গতি কমতে থাকে। পরে জানা গেছে যে ট্রেনের ইঞ্জিন চলে গেছে বগি ফেলে। শেষে বাধ্য হয়ে যাত্রীরা ট্রেন নেমে বাস ও সিএনজি করে গন্তব্যে রওনা হয়েছিলেন। আমি নিজেও বাসে করে গন্তব্যে রওনা দেই।