০৫:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪

করোনার টিকা হতে হবে সার্বজনীন : প্রধানমন্ত্রী

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৭:১৩:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১
  • / ১৫৩৪ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী

এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

করোনা ভাইরাসের টিকা প্রাপ্তি সবার জন্যই সমানভাবে উন্মুক্ত করে একে সার্বজনীন করতে হবে। কাউকেই বাদ রাখা যাবে না এই টিকা থেকে। তাই উৎপাদনকারী দেশগুলোর প্রতি সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি করোনা ভ্যাকসিনকে বৈশ্বিক পণ্য আখ্যায়িত করে বলেছেন, বাংলাদেশ ন্যায্যতার ভিত্তিতে প্রত্যেকের টিকা এবং চিকিৎসা নিশ্চিত করতে চায়। এ নিয়ে বাণিজ্য করা চলবে না। আর টিকার চাহিদা মেটাতে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে জোরালো ভুমিকা রাখার উপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

‘এ ওয়াল্ড ইন চেঞ্জ : জয়েন হ্যান্ডস টু স্ট্রেংদেন গ্লোবাল গভর্নেন্স এন্ড অ্যাডভান্স বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ কোঅপারেশন- প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হয়েছে, বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া সম্মেলন। মঙ্গলবার সকালে ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রচারিত হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রেকর্ড করা ভাষণ। পুরো ভাষণে বিশ্বজুড়ে চলমান করোনা সংকট মোকাবিলা ও বৈশ্বিক পারষ্পারিক সহযোগিতার উপরে জোর দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় পারস্পরিক শক্তিশালী অংশীদারিত্ব প্রয়োজন।আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে বিশ্বজনীন পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা উচিত। সার্বজনীন ভ্যাকসিন কাভারেজ অর্জনের লক্ষ্যে ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দেশগুলোর উচিত অন্য দেশগুলোকে ভ্যাকসিন উৎপাদনে সহায়তা করা। সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন, বৈশ্বিক এ সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে আরো শক্তিশালী ভুমিকা রাখতে হবে।

সবার জন্য ভ্যাকসিন এবং অন্যান্য চিকিৎসা উপকরণের চাহিদা মেটাতে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে কার্যকর করতে সব দেশের এক সঙ্গে কাজ করা দরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জিএভিআই এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাগুলোকে অবশ্যই সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অধিকার, সাম্য এবং ন্যায় নিশ্চিত করতে হবে। কোভিড-১৯ মহামারি আমাদেরকে ইতিহাসের এক চূড়ান্ত পথে নিয়ে এসেছে এবং সম্ভবত আমাদের সময়ের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। মহামারির আর্থ-সামাজিক প্রভাব ব্যাপক এবং এই প্রভাব এখনো বাড়ছে

সরকার প্রধান বলেন, এই সংকটময় সময়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তাও আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।উন্নয়নশীল দেশগুলোর আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বহুজাতিক উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর তহবিলগুলিতে আরো বেশি প্রবেশাধিকার প্রয়োজন। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে হবে। এশিয়া মহাদেশটিতে বিপুল জনসংখ্যা, বিশাল বাজার এবং প্রযুক্তিগত সুবিধা রয়েছে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হই, আমরা একসঙ্গে দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারি। এটি আমাদের প্রতিশ্রুতি এসডিজি অর্জনেও সহায়তা করবে।

জীবন ও জীবিকার মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ মহামারীর বিরূপ প্রভাব কমানোর চেষ্টা করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

করোনার টিকা হতে হবে সার্বজনীন : প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৭:১৩:৪৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১

করোনা ভাইরাসের টিকা প্রাপ্তি সবার জন্যই সমানভাবে উন্মুক্ত করে একে সার্বজনীন করতে হবে। কাউকেই বাদ রাখা যাবে না এই টিকা থেকে। তাই উৎপাদনকারী দেশগুলোর প্রতি সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি করোনা ভ্যাকসিনকে বৈশ্বিক পণ্য আখ্যায়িত করে বলেছেন, বাংলাদেশ ন্যায্যতার ভিত্তিতে প্রত্যেকের টিকা এবং চিকিৎসা নিশ্চিত করতে চায়। এ নিয়ে বাণিজ্য করা চলবে না। আর টিকার চাহিদা মেটাতে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে জোরালো ভুমিকা রাখার উপরও জোর দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

‘এ ওয়াল্ড ইন চেঞ্জ : জয়েন হ্যান্ডস টু স্ট্রেংদেন গ্লোবাল গভর্নেন্স এন্ড অ্যাডভান্স বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ কোঅপারেশন- প্রতিপাদ্য নিয়ে শুরু হয়েছে, বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া সম্মেলন। মঙ্গলবার সকালে ভার্চুয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রচারিত হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রেকর্ড করা ভাষণ। পুরো ভাষণে বিশ্বজুড়ে চলমান করোনা সংকট মোকাবিলা ও বৈশ্বিক পারষ্পারিক সহযোগিতার উপরে জোর দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মহামারি মোকাবিলায় পারস্পরিক শক্তিশালী অংশীদারিত্ব প্রয়োজন।আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে বিশ্বজনীন পণ্য হিসেবে ঘোষণা করা উচিত। সার্বজনীন ভ্যাকসিন কাভারেজ অর্জনের লক্ষ্যে ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী দেশগুলোর উচিত অন্য দেশগুলোকে ভ্যাকসিন উৎপাদনে সহায়তা করা। সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক অংশীদারিত্ব খুবই গুরুত্বপূর্ণ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন, বৈশ্বিক এ সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে আরো শক্তিশালী ভুমিকা রাখতে হবে।

সবার জন্য ভ্যাকসিন এবং অন্যান্য চিকিৎসা উপকরণের চাহিদা মেটাতে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে কার্যকর করতে সব দেশের এক সঙ্গে কাজ করা দরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, জিএভিআই এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থাগুলোকে অবশ্যই সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অধিকার, সাম্য এবং ন্যায় নিশ্চিত করতে হবে। কোভিড-১৯ মহামারি আমাদেরকে ইতিহাসের এক চূড়ান্ত পথে নিয়ে এসেছে এবং সম্ভবত আমাদের সময়ের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। মহামারির আর্থ-সামাজিক প্রভাব ব্যাপক এবং এই প্রভাব এখনো বাড়ছে

সরকার প্রধান বলেন, এই সংকটময় সময়ে উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তাও আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।উন্নয়নশীল দেশগুলোর আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বহুজাতিক উন্নয়ন ব্যাংকগুলোর তহবিলগুলিতে আরো বেশি প্রবেশাধিকার প্রয়োজন। আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে হবে। এশিয়া মহাদেশটিতে বিপুল জনসংখ্যা, বিশাল বাজার এবং প্রযুক্তিগত সুবিধা রয়েছে। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ হই, আমরা একসঙ্গে দ্রুত প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারি। এটি আমাদের প্রতিশ্রুতি এসডিজি অর্জনেও সহায়তা করবে।

জীবন ও জীবিকার মধ্যে ভারসাম্যপূর্ণ ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ মহামারীর বিরূপ প্রভাব কমানোর চেষ্টা করছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।