০৪:০৯ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৬ মে ২০২৪

১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশ এখন প্রতিবেশী দেশগুলোর মাদকের বড় বাজার হয়ে উঠেছে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:৩২:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অক্টোবর ২০২১
  • / ১৫০৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশ এখন প্রতিবেশী দেশগুলোর মাদকের বড় বাজার হয়ে উঠেছে। এদেশের তরুণ সমাজই তাদের প্রধান টার্গেট। সীমান্ত রক্ষীদের সহযোগিতায় খুব সহজেই মাদকের চালান ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশে। মাদক সরবরাহে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে মাদক ব্যবসায়ীরা। মাদক নির্মূলে নতুন পরিকল্পনার কথা জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়ায় বাংলাদেশকে ভালো বাজার হিসেবে বেছে নিয়েছে মাদক সিন্ডিকেটগুলো । এ সব মাদক দেশে প্রবেশ করছে ভারতের সঙ্গে ৪ হাজার ১৫৬ কিলোমিটার আর মিয়ানমারের সাথে ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত দিয়ে।
সীমান্ত রক্ষীদের সহযোগিতায় খুব সহজেই মাদকের চালান ঢুকছে বাংলাদেশে

প্রতিবেশী রাষ্ট্র দু’টি থেকে মাদকদ্রব্য দেশে প্রবেশে নানা কৌশল অবলম্বন করে আন্তর্জাতিক মাদককারবারীরা। মাদক চোরাচালানে আর্ন্তজাতিক রুট- মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-লাওস-এর “গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল” এবং পাকিস্তান আফগানিস্তান-ভারতের “গোল্ডেন ক্রিসেন্ট’ এর কেন্দ্রে অবস্থান বাংলাদেশের।

সীমান্তবর্তী ৩২ টি জেলার ২৫০টি পয়েন্ট মাদকের প্রবেশ পথ। মিয়ানমারের সাবাইগন, তমব্রু, মুয়াংডুর মতো ১৫টি পয়েন্টে টেকনাফের সেন্টমার্টিন, শাহপরীর দ্বীপ, কক্সবাজার হাইওয়ে, উখিয়া, কাটাপাহাড়, বালুখালি, বান্দরবানের অর্ধশত স্পট দিয়ে দেশে ঢোকে মরণঘাতি ইয়াবা।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হিসেবে , বিভিন্ন সংস্থা ২০০৯ থেকে ২১ সালের জুলাই পর্যন্ত সাড়ে ৮ লাখ মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ লাখ । এ সময় ২৫ কোটি ইয়াবা, প্রায় ৩ হাজার কেজি হিরোইন, ৬০ লাখ কেজি গাজা ও সোয়া কোটি বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।

তবে,বেসরকারী সংস্থার হিসেবে এ সংখ্যা আরো বেশি। সীমান্তে প্রবেশের পর মাদকের চালান দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌছে দিতে অভিনব কৌশল অবলম্বন করে কারবারীরা। উপকূলীয় অঞ্চলে মাদকের চোরাচালান প্রতিরোধে নজরদারী বাড়াতে সীমান্তে সিসিটিভি/ভিডিও স্থাপনের পরামর্শ দেন কোস্ট গার্ডের উপ-পরিচালক। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে মহাপরিচালক জানান, মাদক নির্মূলে চলমান কর্মকান্ডের পাশাপাশি নতুন কৌশলও প্রনয়ন করা হচ্ছে।
মাদক নির্মূলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদিচ্ছার অভাবকে দায়ী করেন বিশেষজ্ঞরা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশ এখন প্রতিবেশী দেশগুলোর মাদকের বড় বাজার হয়ে উঠেছে

আপডেট সময় : ০২:৩২:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ৪ অক্টোবর ২০২১

১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশ এখন প্রতিবেশী দেশগুলোর মাদকের বড় বাজার হয়ে উঠেছে। এদেশের তরুণ সমাজই তাদের প্রধান টার্গেট। সীমান্ত রক্ষীদের সহযোগিতায় খুব সহজেই মাদকের চালান ঢুকে পড়ছে বাংলাদেশে। মাদক সরবরাহে নতুন নতুন কৌশল অবলম্বন করছে মাদক ব্যবসায়ীরা। মাদক নির্মূলে নতুন পরিকল্পনার কথা জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

ঘনবসতিপূর্ণ দেশ হওয়ায় বাংলাদেশকে ভালো বাজার হিসেবে বেছে নিয়েছে মাদক সিন্ডিকেটগুলো । এ সব মাদক দেশে প্রবেশ করছে ভারতের সঙ্গে ৪ হাজার ১৫৬ কিলোমিটার আর মিয়ানমারের সাথে ২৭১ কিলোমিটার সীমান্ত দিয়ে।
সীমান্ত রক্ষীদের সহযোগিতায় খুব সহজেই মাদকের চালান ঢুকছে বাংলাদেশে

প্রতিবেশী রাষ্ট্র দু’টি থেকে মাদকদ্রব্য দেশে প্রবেশে নানা কৌশল অবলম্বন করে আন্তর্জাতিক মাদককারবারীরা। মাদক চোরাচালানে আর্ন্তজাতিক রুট- মিয়ানমার-থাইল্যান্ড-লাওস-এর “গোল্ডেন ট্রায়াঙ্গল” এবং পাকিস্তান আফগানিস্তান-ভারতের “গোল্ডেন ক্রিসেন্ট’ এর কেন্দ্রে অবস্থান বাংলাদেশের।

সীমান্তবর্তী ৩২ টি জেলার ২৫০টি পয়েন্ট মাদকের প্রবেশ পথ। মিয়ানমারের সাবাইগন, তমব্রু, মুয়াংডুর মতো ১৫টি পয়েন্টে টেকনাফের সেন্টমার্টিন, শাহপরীর দ্বীপ, কক্সবাজার হাইওয়ে, উখিয়া, কাটাপাহাড়, বালুখালি, বান্দরবানের অর্ধশত স্পট দিয়ে দেশে ঢোকে মরণঘাতি ইয়াবা।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের হিসেবে , বিভিন্ন সংস্থা ২০০৯ থেকে ২১ সালের জুলাই পর্যন্ত সাড়ে ৮ লাখ মামলায় অভিযুক্ত প্রায় ১১ লাখ । এ সময় ২৫ কোটি ইয়াবা, প্রায় ৩ হাজার কেজি হিরোইন, ৬০ লাখ কেজি গাজা ও সোয়া কোটি বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়।

তবে,বেসরকারী সংস্থার হিসেবে এ সংখ্যা আরো বেশি। সীমান্তে প্রবেশের পর মাদকের চালান দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌছে দিতে অভিনব কৌশল অবলম্বন করে কারবারীরা। উপকূলীয় অঞ্চলে মাদকের চোরাচালান প্রতিরোধে নজরদারী বাড়াতে সীমান্তে সিসিটিভি/ভিডিও স্থাপনের পরামর্শ দেন কোস্ট গার্ডের উপ-পরিচালক। মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে মহাপরিচালক জানান, মাদক নির্মূলে চলমান কর্মকান্ডের পাশাপাশি নতুন কৌশলও প্রনয়ন করা হচ্ছে।
মাদক নির্মূলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদিচ্ছার অভাবকে দায়ী করেন বিশেষজ্ঞরা।