১১ বছর পর সচল হলো দেশের প্রথম ‘বুড়িতিস্তা সেচ প্রকল্প’
- আপডেট সময় : ০৮:২৩:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫১১ বার পড়া হয়েছে
মামলার কারণে দীর্ঘ ১১ বছর বন্ধ থাকার পর নীলফামারীতে আবার সচল হলো দেশের প্রথম ‘বুড়িতিস্তা সেচ প্রকল্প’। এর ফলে জেলায় বছরে প্রায় ২শ’ কোটি টাকার অতিরিক্ত ফসল উৎপাদন সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে বছরজুড়ে নিরবচ্ছিন্ন সেচ সুবিধার দাবী জানিয়েছেন কৃষকরা। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, সেচ সুবিধা নিশ্চিত করতে প্রকল্পটি সংস্কারে ইতিমধ্যে ১২০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
১৯৬৮ সালে দেশে প্রথম চালু করা হয় ব্যারেজ ভিত্তিক সেচ প্রকল্প- বুড়িতিস্তা।মডেল এই প্রকল্পের আওতায় নির্মাণ করা হয় ৩শ ফুটের একটি ব্যারেজ; সাড়ে ৮৮ লাখ ঘনফুট ধারণ ক্ষমতার জলাধার ও প্রায় ৩০ কিলোমিটার সেচ খাল। উদ্দেশ্য প্রকল্প এলাকার প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা নিশ্চিত করা।
২০১০ সালে জলাধারটি একটি কোম্পানীকে মাছ চাষের জন্য লিজ দেয়া হলে স্থানীয় মৎসজীবীদের সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়ায়। জলাধারটির ইজারা বন্ধের পাশাপাশি সেচ কার্যক্রমও স্থগিতের নির্দেশ দেয় আদালত। দীর্ঘ ১০ বছর পর মামলটি খারিজ করে সেচ প্রকল্পের স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে আদালত।আবারও সচল হয় সেচ প্রকল্প। চলতি আমন মৌসুমে ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার প্রায় ১২ হাজার কৃষক বুড়িতিস্তা থেকে সেচ সুবিধা পাচ্ছেন
কৃষকরা জানান, প্রকল্পটি চালু থাকলে পানি সংকট সমাধানের পাশাপাশি পতিত থাকা অনেক জমি চাষাবাদের উপযোগী হবে। ফলে একদিকে যেমন খরচ কমবে, উৎপাদনও বাড়বে কয়েক গুণ।
সট : প্রভাষক শফিক সাদিক, সভাপতি, সেচ ব্যবস্থাপনা কমিটি, বুড়িতিস্তা সেচ প্রকল্প, নীলফামারী।
বুড়ি তিস্তা প্রকল্পের জলাধার পূণঃখনন ও সেচখাল মেরামতসহ কমান্ড এলাকা বাড়াতে দ্রুতই সংস্কার কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।সট: আব্দুল্লাহ আল মামুন, নির্বাহী প্রকৌশলী, পাউবো, নীলফামারী।