১০:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

স্বস্তিতে ঈদ উদযাপন নিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের সংশয়

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৪:১৫:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুন ২০২৩
  • / ১৫৬৪ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এবার স্বস্তিতে ঈদ উদ্‌যাপন করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বমুখীতে উদ্বিগ্ন তারা। ঈদে মিষ্টি মুখ করা নিয়েও রয়েছে দুশ্চিন্তা। কারণ কেজিতে ২৫ টাকা বাড়ানোর পরও বাজারে মিলছে না চিনি। সবজির দামও চড়া। ধরা-ছোঁয়ার বাইরে মাছ-মাংশ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের দাম বৃদ্ধি ও পরিবহণ সংকটে সব কিছুর দাম বেড়েছে। তবে কোরবানি ঘনিয়ে আসায় পোল্ট্রি মুরগির দাম কমে ১৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

কোরবানির ঈদের বাকি ৫ দিন। তার আগে থেকেই বাজারে বাড়তি নিত্যপণ্যসহ সব ধরনের মশলার দাম।

গরম মশলার মধ্যে ২২শ’ টাকা কেজির এলাচির দাম বেড়ে হয়েছে ২৬শ’ টাকা। লবঙ্গ ২ হাজার টাকা, জিরা ৯৫০ টাকা, আর আদা বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩শ’ টাকা কেজিতে। বিক্রেতারা বলছেন, একে তো ডলারের দাম বেড়েছে, তার ওপর ডলার সংকটে চাহিদামতো আমদানি করতে না পারায় সরবরাহ সংকটে বাড়ছে দাম।

এদিকে, আমদানি উন্মুক্ত করার পরও ২০ টাকার ইণ্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। আর দেশী পেঁয়াজ এখনো ৮০ টাকা। রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজিতে।

এদিকে দেড়শ’ টাকা কেজিতেও মিলছে না চিনি। ঈদের পর আরেক ধাপ দাম বৃদ্ধির ঘোষণায় এখনই বেড়েছে ২৫ টাকা। তবুও সিন্ডিকেটের মজুদ থেকে বের হচ্ছে না চিনি। এক বছরের ব্যবধানে পোলাও চালের দাম এখন দ্বিগুণ। প্যাকেট চিনি গুঁড়া চাল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। খোলা পোলাও’র চাল ১৪০ টাকা কেজি।

মাছ-মাংসের দাম অনেক আগেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। আড়াইশ’ টাকার চাষের রুই হয়েছে চারশ’ টাকা। গরুর মাংসের কেজি ৮শ’ টাকায় ওঠায় ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বিক্রি কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। ডিমের হালিও ৫০ টাকা ছুঁই ছুঁই।

কাঁচাবাজারে সবজির দাম এখনো অস্বাভাবিক। ৮০ টাকা কেজির নিচে মিলছে না কোনো সবজি। আলুর কেজি ৪৫ টাকা।

ডলার সংকট, বিদ্যুৎ সংকট, সরকারের বাড়তি কর ও শুল্ক, পরিবহণ ভাড়া বৃদ্ধি, দুর্নীতি আর চাঁদাবাজির ফলে পণ্যের দাম ওলোট-পালোট হয়ে গেছে বলে জানান বিক্রেতারা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

স্বস্তিতে ঈদ উদযাপন নিয়ে সাধারণ ক্রেতাদের সংশয়

আপডেট সময় : ০৪:১৫:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ জুন ২০২৩

এবার স্বস্তিতে ঈদ উদ্‌যাপন করতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন সাধারণ ক্রেতারা। নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বমুখীতে উদ্বিগ্ন তারা। ঈদে মিষ্টি মুখ করা নিয়েও রয়েছে দুশ্চিন্তা। কারণ কেজিতে ২৫ টাকা বাড়ানোর পরও বাজারে মিলছে না চিনি। সবজির দামও চড়া। ধরা-ছোঁয়ার বাইরে মাছ-মাংশ। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের দাম বৃদ্ধি ও পরিবহণ সংকটে সব কিছুর দাম বেড়েছে। তবে কোরবানি ঘনিয়ে আসায় পোল্ট্রি মুরগির দাম কমে ১৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

কোরবানির ঈদের বাকি ৫ দিন। তার আগে থেকেই বাজারে বাড়তি নিত্যপণ্যসহ সব ধরনের মশলার দাম।

গরম মশলার মধ্যে ২২শ’ টাকা কেজির এলাচির দাম বেড়ে হয়েছে ২৬শ’ টাকা। লবঙ্গ ২ হাজার টাকা, জিরা ৯৫০ টাকা, আর আদা বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩শ’ টাকা কেজিতে। বিক্রেতারা বলছেন, একে তো ডলারের দাম বেড়েছে, তার ওপর ডলার সংকটে চাহিদামতো আমদানি করতে না পারায় সরবরাহ সংকটে বাড়ছে দাম।

এদিকে, আমদানি উন্মুক্ত করার পরও ২০ টাকার ইণ্ডিয়ান পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকায়। আর দেশী পেঁয়াজ এখনো ৮০ টাকা। রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজিতে।

এদিকে দেড়শ’ টাকা কেজিতেও মিলছে না চিনি। ঈদের পর আরেক ধাপ দাম বৃদ্ধির ঘোষণায় এখনই বেড়েছে ২৫ টাকা। তবুও সিন্ডিকেটের মজুদ থেকে বের হচ্ছে না চিনি। এক বছরের ব্যবধানে পোলাও চালের দাম এখন দ্বিগুণ। প্যাকেট চিনি গুঁড়া চাল বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি। খোলা পোলাও’র চাল ১৪০ টাকা কেজি।

মাছ-মাংসের দাম অনেক আগেই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। আড়াইশ’ টাকার চাষের রুই হয়েছে চারশ’ টাকা। গরুর মাংসের কেজি ৮শ’ টাকায় ওঠায় ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত বিক্রি কমেছে বলে জানান ব্যবসায়ীরা। ডিমের হালিও ৫০ টাকা ছুঁই ছুঁই।

কাঁচাবাজারে সবজির দাম এখনো অস্বাভাবিক। ৮০ টাকা কেজির নিচে মিলছে না কোনো সবজি। আলুর কেজি ৪৫ টাকা।

ডলার সংকট, বিদ্যুৎ সংকট, সরকারের বাড়তি কর ও শুল্ক, পরিবহণ ভাড়া বৃদ্ধি, দুর্নীতি আর চাঁদাবাজির ফলে পণ্যের দাম ওলোট-পালোট হয়ে গেছে বলে জানান বিক্রেতারা।