০৩:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

স্কুলে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ১২:১৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
  • / ১৭৯৮ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে একটি বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ একাধিক পদে অর্ধকোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি মাধ্যমিক শিক্ষা নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়েছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি। নিকটাত্বীয় ও গ্রামের কিছু অযোগ্যদের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন তারা। এমন দুর্নীতির তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী স্থানীয়দের।

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার কন্যাদহ মনির উদ্দিন বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়। গত বছরের ১৫ই জুন বিদ্যালয়টির শুণ্য পদে ১ জন সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ চতুর্থ শ্রেণীর মোট ৫ টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ম্যানেজিং কমিটি। এ আবেদনে ৫টি শূণ্য পদের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নেন ২১ প্রার্থী ।

নিয়ম ভেঙে ৩০শে নভেম্বর নিয়োগ পরীক্ষা হয় পার্শ্ববর্তী মকিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। পরদিন পহেলা ডিসেম্বর বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের শ্যালক আমিরুল ইসলামকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যালয়টি।

একই সময় তাছলিমা খাতুনকে ৩৫ বছর বয়স দেখিয়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ দিয়েছেন । যার বিনিময়ে নিয়েছেন ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এছাড়াও অন্যান্য পদে সব মিলিয়ে নিয়েছেন প্রায় ৪৫ লাখ টাকা।

তাছলিমা খাতুনের টাকা নেয়ার বিষয়টির প্রমাণ মিলেছে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও চাকুরী প্রত্যাশী একজনের মোবাইল কল রেকর্ডে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসেবে সভাপতি বছির উদ্দিন টাকা না রেখে রেখেছন তার ছেলে সঞ্জুর কাছে। তার হিসেবে ১৫ই জুন থেকে ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত কয়েক লাখ টাকা রেখেছেন।

নাম সংশোধনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন নিয়োগ প্রাপ্ত পরিচ্ছন্নকর্মী তাছলিমা খাতুন।

অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক বলেন, নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।তবে সভাপতি বছির উদ্দিনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার করেছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হরিনাকুন্ডুর এই বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩’শ।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

স্কুলে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ

আপডেট সময় : ১২:১৮:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে একটি বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ একাধিক পদে অর্ধকোটি টাকার নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি মাধ্যমিক শিক্ষা নীতিমালাকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়েছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক ও সভাপতি। নিকটাত্বীয় ও গ্রামের কিছু অযোগ্যদের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দিয়েছেন তারা। এমন দুর্নীতির তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী স্থানীয়দের।

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার কন্যাদহ মনির উদ্দিন বিশ্বাস মাধ্যমিক বিদ্যালয়। গত বছরের ১৫ই জুন বিদ্যালয়টির শুণ্য পদে ১ জন সহকারী প্রধান শিক্ষকসহ চতুর্থ শ্রেণীর মোট ৫ টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে ম্যানেজিং কমিটি। এ আবেদনে ৫টি শূণ্য পদের বিপরীতে পরীক্ষায় অংশ নেন ২১ প্রার্থী ।

নিয়ম ভেঙে ৩০শে নভেম্বর নিয়োগ পরীক্ষা হয় পার্শ্ববর্তী মকিমপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। পরদিন পহেলা ডিসেম্বর বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের শ্যালক আমিরুল ইসলামকে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যালয়টি।

একই সময় তাছলিমা খাতুনকে ৩৫ বছর বয়স দেখিয়ে পরিচ্ছন্নতা কর্মী নিয়োগ দিয়েছেন । যার বিনিময়ে নিয়েছেন ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা। এছাড়াও অন্যান্য পদে সব মিলিয়ে নিয়েছেন প্রায় ৪৫ লাখ টাকা।

তাছলিমা খাতুনের টাকা নেয়ার বিষয়টির প্রমাণ মিলেছে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও চাকুরী প্রত্যাশী একজনের মোবাইল কল রেকর্ডে। এছাড়াও বিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসেবে সভাপতি বছির উদ্দিন টাকা না রেখে রেখেছন তার ছেলে সঞ্জুর কাছে। তার হিসেবে ১৫ই জুন থেকে ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত কয়েক লাখ টাকা রেখেছেন।

নাম সংশোধনের বিষয়টি স্বীকার করেছেন নিয়োগ প্রাপ্ত পরিচ্ছন্নকর্মী তাছলিমা খাতুন।

অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক বলেন, নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ দেয়া হয়েছে।তবে সভাপতি বছির উদ্দিনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। অনিয়মের বিষয়টি স্বীকার করেছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।

২০০০ সালে প্রতিষ্ঠিত হরিনাকুন্ডুর এই বিদ্যালয়ে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় সাড়ে ৩’শ।