০১:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্লান্টে বিস্ফোরণে চলছে ধ্বংসস্তুপ সরানোর কাজ

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৩:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩
  • / ১৫৫০ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্লান্টের বিস্ফোরনের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। তবে নতুন করে কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ জানায় আটকে পড়া কাউকে দেখা যাচ্ছে না কিন্তু ধ্বংসস্তুপ পুরোপুরে না সরানো পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চলবে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আলামত সংগ্রহ শেষে কার্বনডাই অক্সাইড সিলিন্ডারে অক্সিজেন রিফিল করাসহ নানা অসঙ্গতির কারণে সেপারেশন কলামে বিস্ফোরণ ঘটার কথা জানিয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে মালিক পক্ষের দাবি নিছক দুর্ঘটনা থেকেই ঘটেছে ধ্বংসযজ্ঞ।

সীমা স্টীলের অক্সিজেন প্লান্টের পুরো এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অবিস্ফোরিত অক্সিজেন ও এ্যাসিটিলিংয়ের সিলিন্ডার। আগুনে ভষ্মিভুত সিলিন্ডার পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাকগুলোও পড়ে আছে বিভিন্ন পয়েন্টে। সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার অভিযানও শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস। ধ্বসে পড়া স্থাপনার ভেতরে হতাহত কারো আটকে থাকার আশংকা না থাকলেও ধ্বংসস্তুপ পুরোপুরি অপসারন না করা পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে আলামত সংগ্রহ করে তদন্ত কমিটির সদস্য ও বিস্ফোরক অধিদফতরের একটি টিম। প্লান্ট পরিচালনায় বেশ কিছু অসংগতি পাওয়ার কথা বললেও পরীক্ষা নিরিক্ষা ছাড়া আনুষ্ঠানিকভাবে বলা যাবে না বলে জানান এই কর্মকর্তা।

আশপাশের কয়েকশো মিটার এলাকা জুড়ে এখনো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিস্ফোরনের ভয়াবহতার চিহ্ন। সীমা অক্সিজেন প্লান্টের পাশের এইচ স্টীল রি-রোলিং মিলের একটি তিনতলা ভবনের প্রতিটি দেয়াল ধ্বসে পড়েছে। এছাড়া রোবাইয়া অক্সিজেন, রোবাইয়া প্লাস্টিক, অক্সিকো অক্সিজেন প্লান্টের স্থাপনাগুলোর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যাপকভাবে।

এদিকে দুর্ঘটনার ১৪ ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে আসে মালিক পক্ষের একটি প্রতিনিধি দল। তাদের দাবি, অবহেলা কিম্বা কোন ধরনের ত্রুটি ছিলো প্লান্টটিতে। কি কারণে ঘটলো এতবড় দুর্ঘটনা তাও জানেন না তারা।

শনিবার বিকেলে হঠাত করে ঘটা এই বিস্ফোরনে ৬ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হন। কতৃপক্ষ জানায়, মুলত রাতে প্রডাকশন বেশি হওয়ায় দিনের বেলায় প্লান্টে শ্রমিক কম থাকে। ফলে বিস্ফোরনের ভয়াবহতা অনেক বেশি হলেও হতাহতের সংখ্যা তুলনামুলক কম হয়েছে।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্লান্টে বিস্ফোরণে চলছে ধ্বংসস্তুপ সরানোর কাজ

আপডেট সময় : ০৬:৫৩:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ মার্চ ২০২৩

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সীমা অক্সিজেন প্লান্টের বিস্ফোরনের ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। তবে নতুন করে কাউকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ জানায় আটকে পড়া কাউকে দেখা যাচ্ছে না কিন্তু ধ্বংসস্তুপ পুরোপুরে না সরানো পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চলবে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও আলামত সংগ্রহ শেষে কার্বনডাই অক্সাইড সিলিন্ডারে অক্সিজেন রিফিল করাসহ নানা অসঙ্গতির কারণে সেপারেশন কলামে বিস্ফোরণ ঘটার কথা জানিয়েছে তদন্ত কমিটি। তবে মালিক পক্ষের দাবি নিছক দুর্ঘটনা থেকেই ঘটেছে ধ্বংসযজ্ঞ।

সীমা স্টীলের অক্সিজেন প্লান্টের পুরো এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অবিস্ফোরিত অক্সিজেন ও এ্যাসিটিলিংয়ের সিলিন্ডার। আগুনে ভষ্মিভুত সিলিন্ডার পরিবহনে নিয়োজিত ট্রাকগুলোও পড়ে আছে বিভিন্ন পয়েন্টে। সকাল থেকে দ্বিতীয় দিনের মতো ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার অভিযানও শুরু করেছে ফায়ার সার্ভিস। ধ্বসে পড়া স্থাপনার ভেতরে হতাহত কারো আটকে থাকার আশংকা না থাকলেও ধ্বংসস্তুপ পুরোপুরি অপসারন না করা পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে আলামত সংগ্রহ করে তদন্ত কমিটির সদস্য ও বিস্ফোরক অধিদফতরের একটি টিম। প্লান্ট পরিচালনায় বেশ কিছু অসংগতি পাওয়ার কথা বললেও পরীক্ষা নিরিক্ষা ছাড়া আনুষ্ঠানিকভাবে বলা যাবে না বলে জানান এই কর্মকর্তা।

আশপাশের কয়েকশো মিটার এলাকা জুড়ে এখনো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বিস্ফোরনের ভয়াবহতার চিহ্ন। সীমা অক্সিজেন প্লান্টের পাশের এইচ স্টীল রি-রোলিং মিলের একটি তিনতলা ভবনের প্রতিটি দেয়াল ধ্বসে পড়েছে। এছাড়া রোবাইয়া অক্সিজেন, রোবাইয়া প্লাস্টিক, অক্সিকো অক্সিজেন প্লান্টের স্থাপনাগুলোর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্যাপকভাবে।

এদিকে দুর্ঘটনার ১৪ ঘন্টা পর ঘটনাস্থলে আসে মালিক পক্ষের একটি প্রতিনিধি দল। তাদের দাবি, অবহেলা কিম্বা কোন ধরনের ত্রুটি ছিলো প্লান্টটিতে। কি কারণে ঘটলো এতবড় দুর্ঘটনা তাও জানেন না তারা।

শনিবার বিকেলে হঠাত করে ঘটা এই বিস্ফোরনে ৬ জন নিহত ও ৩০ জন আহত হন। কতৃপক্ষ জানায়, মুলত রাতে প্রডাকশন বেশি হওয়ায় দিনের বেলায় প্লান্টে শ্রমিক কম থাকে। ফলে বিস্ফোরনের ভয়াবহতা অনেক বেশি হলেও হতাহতের সংখ্যা তুলনামুলক কম হয়েছে।