সিলেটে নতুন বৈদ্যুতিক খুটি স্থাপনের জন্য সাধারন মানুষের কাছ থেকে বিপুল অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি দালাল চক্র। অভিযোগ উঠেছে এর সাথে জড়িত বিদ্যুৎ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও। ২ হাজার ৫২ কোটি টাকার সরকারি এ প্রকল্পে চলছে গোপন চাঁদাবাজী। তবে প্রকল্প পরিচালক জানিয়েছেন, ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে প্রমান পেলেই নেয়া হবে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মানুষের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছেঁ দেয়ার। কিন্তু অসাধু ব্যক্তিদের কারণে তা ভেস্তে যাচ্ছে। সিলেট থেকে আবু বকর আল আমিনের প্রতিবেদন,ক্যামেরায় ছিলেন শ্যামানন্দ শ্যামল।

সিলেটে বিদ্যুৎ বিতরণ এবং উন্নয়নের একটি মেগা প্রকল্পের কাজ শুরু হয় গত বছর থেকে। দুই হাজার বায়ান্ন কোটি টাকা ব্যায়ে এ প্রকল্পের আওতায় সিলেট বিভাগে জরাজীর্ণ বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তনের জন্য নানামুখী উন্নয়ন কাজ চলছে। এর মধ্যে রয়েছে পুরনো বৈদ্যূতিক খুঁটি অপসারণ করে ৭১ হাজার নতুন খুঁটি স্থাপন করা।

কিন্তু সিলেটের সদর উপজেলার সোনাতলা,ধনরায়ের চক,চরুগাও সহ বেশ কয়েকটি গ্রামে খুঁটি স্থাপনের কথা বলে মানুষের কাছ থেকে খুঁটি প্রতি ৩ থেকে ৫ হাজার টাকা করে নেয়া হচ্ছে। সাবেক ইউপি মেম্বার মনির মিয়াকে ব্যবহার করে মানুষের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছেন প্রকৌশলীরা,এমন অভিযোগ স্থানীয়দের। টাকা না দিলে মিলছে না নতুন খুটি,বাদ যায়নি মসজিদ মাদ্রাসাও।এলাকায় আন্দোলনের মুখে মসজিদের টাকা ফিরিয়ে দিয়েছে বলেও জানান অসংখ্য মানুষ।তবে অভিযুক্ত সাবেক ইউপি সদস্য মো: মনির আলী এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

প্রকল্প পরিচালক জানান,এমন ঘটনার প্রেক্ষিতে ইতিমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের কেউ জড়িত থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।সরকারি এমন কাজে তদারকি বাড়ানো হলে দুর্নীতি অনেকটাই কমবে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।