সারাদেশে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ হাজার। সর্বাত্মক লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে সারাদেশে আরো ৯৪ জনসহ মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ৮১ জনে। গত বছরের ১৮ মার্চ থেকে চলতি বছরের ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত সময়কালে মৃতের এই পরিসংখ্যান উঠে এসেছে। আর ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৪ হাজার ১৯২ জনসহ দেশে এ পর্যন্ত মোট করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ৭ লাখ ৭ হাজার ৩৬২ জন।

গেল বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের ঘোষণা দেয় সরকার। এরপর প্রথম মৃত্যু ঘটে ১৮ মার্চ। মে মাসের মাঝামাঝি থেকে বাড়তে শুরু করে সংক্রমণ। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ শতাংশের উপরে থাকলেও এরপর থেকে আবার কমতে শুরু করে শনাক্তের হার।

এবছর মার্চে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হওয়ার পর আবারো বাড়তে শুরু করে শনাক্তের হার, একই সঙ্গে বাড়ে মৃত্যুর সংখ্যাও।

এরই ধারাবাহিকতায় গেল ৩১ মার্চ মৃতের সংখ্যা ছাড়ায় ৯ হাজার। ৮ হাজার থেকে ৯ হাজার ছাড়াতে সময় লাগে ৬৭ দিন।

পরবর্তী ১ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে মাত্র ১৫ দিনে। দেশে চলমান মহামারিকালে এটিই দ্রুততম সময়ে এক হাজার মৃত্যুর রেকর্ড।

বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নতুন ৯৪ জনের মৃত্যুসহ সকাল পর্যন্ত মোট ১০ হাজার ৮১ জনের মৃত্যু হয়েছে করোনায়। আর একদিনে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ১৯২ জন। এ নিয়ে মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭ লাখ ৭ হাজার ৩৬২ জন।

সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় ২৯ মার্চ বেশকিছু বিধিনিষেধসহ ১৮ দফা নির্দেশনা দেয় সরকার। তবে সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকলেও অনেকের মাঝে এখনো রয়েছে স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে উদাসীনতা। যদিও বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই।