সংক্রমণরোধে পর্যাপ্ত সামগ্রীর সংকট সত্ত্বেও ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছেন বিভিন্ন পেশার মানুষ
- আপডেট সময় : ০৭:১৯:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ মার্চ ২০২০
- / ১৫০৯ বার পড়া হয়েছে
করোনাভাইরাসের বিস্তার রুখে দিতে ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছে চিকিৎসক, নার্স, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, সশস্ত্র বাহিনী ও গণমাধ্যমকর্মীরা। দেশ ও মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে নিরলসভাবে পেশাগত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তারা। সংক্রমণরোধে পর্যাপ্ত পোশাক-পরিচ্ছদ, ব্যবহার্য সামগ্রীর সংকট সত্ত্বেও ঝুঁকি নিয়েই কাজ করছেন এসব পেশার মানবিক মানুষগুলো।
বৈশ্বিক মহামারীর রূপ নেওয়া করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে জনগণকে ‘ঘরে’ রাখার চেষ্টায় অঘোষিত লকডাউনে বাংলাদেশ। এতে রাজধানীর অলি-গলি, সড়ক নীরব, নিস্তব্ধ।
এই অবস্থায় করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে নিশ্চিত মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেই ডাক্তার, নার্স, সাংবাদিক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ছাড়াও নিরলস সেবা দিয়ে যাচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।
সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনায় নিত্যপণ্যের দোকানের পাশাপাশি জরুরি প্রয়োজনের প্রতিষ্ঠান ও ফার্মেসিগুলো খোলা’ রাখতে হচ্ছে। করোনা ঝুঁকি নিয়ে তাদের এই সেবায় সন্তুষ্ট সাধারণ মানুষ।
তবে করোনার পরিস্থিতির মধ্যে সবচে বেশি ঝুঁকি নিতে হচ্ছে চিকিৎসক ও নার্সদের। করোনা রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে এরইমধ্যে কয়েকজন চিকিৎসক-নার্স আক্রান্ত হয়েছেন। ব্যক্তিগত ঝুঁকির পাশাপাশি পারিবারিক ঝুঁকি স্বত্বেও দায়িত্ববোধ, সেবাব্রত আর মানবিকতাবোধ তাদেরকে কর্মস্থলে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় সাধারণ মানুষের সচেতন হবার বিকল্প নেই বলে মনে করেন চিকিৎসকরা।
দেশের দুর্যোগ ও ক্রান্তিকালে সবচেয়ে বেশি সক্রিয় থাকেন সংবাদকর্মীরা, সব ধরনের ঝুঁকি নিয়ে মাঠে থাকেন তারা। করোনা বিস্তারের এ বিপর্যয়েও প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক্স ও অনলাইন মিডিয়ায় ব্যস্ত সংবাদকর্মীরা। নিজেরা মৃত্যু ঝুঁকিতে থাকলেও সবাইকে ঘরে থাকার আহ্বান গণমাধ্যমকর্মীদের।
করোনাভাইরাস থেকে রক্ষা পেতে সচেতনতামূলক প্রচার প্রচারণা চালিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে সংবাদকর্মীরা। করোনার গতি প্রকৃতি, সরকারের তাৎক্ষণিক নানা পদক্ষেপ, চিকিৎসা বিশেষজ্ঞদের নতুন নতুন পরামর্শ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গৃহীত কর্মকান্ডের তাজা খবর পৌঁছে দিচ্ছেন সর্বত্র।