শ্রীলংকার বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে কেমন ছিলো বাংলাদেশের পারফরম্যান্স? অতীত পরিসংখ্যান বলছে এবারেই সেরা অর্জন বাংলাদেশের। শ্রীলঙ্কাকে হোয়াইটওয়াশ করার সুযোগ হারালেও, প্রথমবার সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতেছে টাইগাররা। সিরিজে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছেন মুশফিকুর রহিম। আর উইকেট শিকারের তালিকায় শীর্ষে আছেন লঙ্কান পেসার চামিরা।

কখনও যে দলটার বিপক্ষে সিরিজ জেতা হয়নি সেই শ্রীলঙ্কাকেই হোয়াইটওয়াশ করানোর সুযোগ এসেছিলো বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেই স্বপ্ন ধূসর। প্রথমবার সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বাংলাদেশকে।

টাইগারদে এমন জয়ের কৃতত্বটা পুরো দলের। তবে, একজন সবার চেয়ে আলাদা। তিন আস্থার প্রতীক মুশফিকুর রহিম। প্রথম দুই ম্যাচে তার ব্যাট হেসেছে তাই সিরিজ ঘরে উঠেছে। তিনিই সিরিজ সেরা। এক সেঞ্চুরি আর এক ফিফটিতে ৭৯ গড়ে করেছেন ২৩৭ রান। সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায় মুশিই শীর্ষে।

সেরা পাঁচের বাকি তিনজন লঙ্কানদের। সেখানে নেই তামিম সাকিব কিংবা লিটনের নাম। এটা অবশ্যই হাতাশার। কিন্তু নিরাশ করেননি কুশাল পেরেরা। শেষ ওয়ানডেতে ১২০ রান করে ঠেকিয়েছেন হোয়াইট ওয়াশ। ১৬৪ রান করে আছেন তালিকায় দুইয়ে। দুই ফিফটিতে সাইলেন্ট কিলার মাহমুদুল্লার রান ১৪৮। পরের দু,জন ধনঞ্জয়া ডি সিলভা আর গুনাথিলাকা।

বোলিংয়ে শীর্ষস্থানটা দখলে নিতে পারেনি বাংলাদেশ। মান বাঁচানোর ম্যাচে জলে উঠেছিলেন লঙ্কান পেসার চামিরা। তার আগুন ঝড়ানো বোলিংয়ে শর্ষে ফুল দেখে টাইগাররা বিলিয়ে দিয়ে এসেছে ৫ উইকেট। আগের দুই ওয়ানডেতে নিয়েছেন আরও চারটি। মাত্র ৩.৭৮ ইকোনমি রেটে শিকার ৯ উইকেট।

শীর্ষ পাচেঁর পরের দুইজন টাইগার বোলার। প্রায় সাড়ে তিন ইকোনমি রেট ধরে রেখে স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ নিয়েছেন ৭ উইকেট। অনেকটা কিপ্টে বোলিং করে তার চেয়ে এক উইকেট কম নিয়ে তিনে মুস্তাফিজ। সান্দাকান আর তাসকিনের সমান চার উইকেট। কিন্তু টাইগার স্পিড স্টার ছিলেন বেশ খরুচে।

তিন ম্যাচের সিরিজে দলীয় সবচেয়ে বড় সংগ্রহ লঙ্কানদের ৬ উইকেটে ২৮৬। সমান উইকেটে টাইগারদের সংগ্রহ ২৫৭। সর্ব নিম্নে বাংলাদেশের ১৮৯। আর শ্রীলঙ্কার ৯ উইকেটে ১৪১।

তবে, অপ্রাপ্তির বড় অংশ জুড়ে ছিলেন একজন সাকিব আল হাসান। ব্যাট হতে মাত্র ১৯ রান আর উইকেট নিয়েছেন মাত্র তিনটি। সাকিবের মতো ব্যর্থতার তালিকায় তামিম, লিটন, মিথুনদের রাখলেও ভুল হবে না নিশ্চই? এছাড়া টাইগারদের ক্যাচ মিসের কথা বা নাই বললাম। তবে বড় স্বস্তির জায়গা একটাই বিশ্বকাপ সুপার লিগের শীর্ষে উঠা।