শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও খুশি নন কুড়িগ্রামের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা
- আপডেট সময় : ০৩:৪১:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১
- / ১৫১১ বার পড়া হয়েছে
আর মাত্র একদিন পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুললেও খুশি নন কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। বিদ্যালয় থেকে বন্যার পানি নেমে গেলেও ক্ষতিগ্রস্থ সড়কের খানা-খন্দে হাঁটু পানি জমে থাকায় কোমলমতি সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে আগ্রহী নন তারা। এ অবস্থায় দ্রুত রাস্তা-ঘাট মেরামত করে বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি তাদের।
সাম্প্রতিক বন্যায় কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার অববাহিকার প্রায় শতাধিক চরাঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় চরাঞ্চলের ৮৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এছাড়াও নদ-নদীর ভাঙ্গনে বিলীন হয়েছে আরো ৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই পরিস্থিতিতে ১২ সেপ্টেম্বর বিদ্যালয়গুলো খোলার প্রস্তুতি নিলেও যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে দু:চিন্তায় পড়েছেন অভভাবকরা।
প্রত্যন্ত চরাঞ্চলের বিদ্যালয়গুলোতে যেখানে শিক্ষকদের আসতেই দুর্ভোগে পড়তে হবে, সেখানে ছোট ছোট শিশুদের আসাটা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় সড়কের ক্ষতিগ্রস্থ জায়গাগুলো দ্রুত মেরামতের দাবি জানান তারা।
বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা খুশি হলেও যাতায়াতে দুর্ভোগের কথা জানায় তারাও। এদিকে দীর্ঘ দিন বন্ধ থাকার পর সরকারী ঘোষণায় বিদ্যালয়গুলোতে পাঠদানের প্রস্তুতির কথা জানান শিক্ষকরা।
জেলায় ১ হাজার ২শ’ ৪০টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে চরাঞ্চলের ৮৪টি বিদ্যালয় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় ৫টি বিদ্যালয়ের পাঠদান বিকল্প জায়গায় হবে। একযোগেই সব বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরু হবে বলে জানান এই শিক্ষা কর্মকর্তা।
চরাঞ্চলের এ বিদ্যালয়গুলোতে প্রতিবছর বন্যায় পাঠদানের সুষ্ঠ পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ হন শিক্ষার্থীরা। চরাঞ্চলের শিশুদের ভবিষ্যত চিন্তা করে বিশেষ বরাদ্দের মাধ্যমে বন্যা পরবর্তী সময়ে দ্রুত শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি স্থানীয়দের।