লকডাউনে পাইকার না আসায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তরমুজ ও ফুটি চাষীরা
- আপডেট সময় : ০২:৩১:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫১৪ বার পড়া হয়েছে
লকডাউনে পাইকার না আসায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তরমুজ ও ফুটি চাষীরা। ক্রেতা না থাকায় ক্ষেতেই নস্ট হচ্ছে হাজার হাজার তরমুজ। তাই লোকসানের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন কৃষকরা। তবে কৃষক যাতে উৎপাদিত ফসল বিক্রি করতে পারে সে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।
ঝড় আর শিলা বৃষ্টির কারণে পরপর দু’বছর তরমুজ ও ফুটির ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় লোকসান গুনতে হয়েছিল গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তরমুজ ও ফুটি চাষীদের । এ বছর বাম্পার ফলন হওয়ায় ফসল বিক্রি করে ক্ষতি কাটিয়ে ওঠার পাশাপশি লাভের স্বপ্ন দেখেছিলেন উপজেলার চর পুকুরিয়া, বরুয়া, কালিগঞ্জ, নলুয়াসহ প্রায় ২৫ গ্রামের কয়েক হাজার কৃষক। কিন্তু এ বছরও তাদের সেই স্বপ্ন নষ্ট হতে বসেছে। করোনা ভাইরাসরোধে পুরো জেলা লকডাউন ঘোষনা করায় কৃষকরা তাদের ফসল বিক্রি করতে পরছেন না। ফলে জমিতেই ফসল নষ্ট হবার পাশাপশি আর্থিক ক্ষতি ও ঋণ শোধ করার চিন্তায় পড়েছেন তারা।
প্রতিবছর কালিগঞ্জ বাজারে প্রায় ২’শ কোটি টাকার তরমুজ ও ফুটি বিক্রি হয়ে থাকে। প্রতিদিন শতাধিক ট্রাক তরমুজ ভর্তি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে গেলেও এ বছর উল্টো চিত্র। আশপাশের বাজারে তরমুজ ও ফুটি বিক্রিসহ পাইকারেরা যাতে আসতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানান এ কৃষি কর্মকর্তা। উপজলা প্রশাসনের সহায়তায় অনলাইনের মাধ্যমে পাইকারদের সাথে যোগাযোগ করে কৃষকরা তাদের তরমুজ ও ফুটি বিক্রি করতে পারবেন বলে জানান জেলা প্রশাসক। এ বছর কোটালীপাড়া উপজেলায় ৬৫০ হেক্টর জমিতে তরমুজ ও ফুটির আবাদ হয়েছে ।