০৮:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধ হলে কী হবে?

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৫:৪০:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২
  • / ১৬১৩ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সপ্তাহব্যাপী পরমাণু যুদ্ধ হলে পরিবেশ, মানুষ ও বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহের উপর তার প্রভাব কেমন পড়বে, তা নিয়ে গত আগস্টে ‘নেচার’ জার্নালে একটি গবেষণা ছাপা হয়৷

গবেষকরা ধারণা করেছেন, ঐ যুদ্ধের কারণে ৩৬ কোটি মানুষ মারা যেতে পারেন৷ পাঁচশ কোটি মানুষ দুই বছরের জন্য খাদ্য সংকটে পড়তে পারেন, কারণ বিস্ফোরণের কারণে সৃষ্ট ধোঁয়ার ঝুল খাদ্য উৎপাদন বিনষ্ট করবে৷

যুদ্ধে কৌশলগত অস্ত্র ব্যবহার করা হবে ধরে নিয়ে এই গবেষণা করা হয়েছে৷ গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাস সায়েন্সেসের অধ্যাপক অ্যালান রবোক জানান, কৌশলগত অস্ত্র বলতে ‘অনেক দূর থেকে ছোড়া হয়েছে’ এমন অস্ত্র বোঝায়৷

আগের এক গবেষণায় অধ্যাপক রবোক দেখিয়েছিলেন, হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণে প্রায় ০.৫ টেরাগ্রাম ধোঁয়া সৃষ্টি হয়েছিল৷ আর সম্প্রতি করা গবেষণায় তিনিসহ অন্যান্য গবেষকরা ধারণা করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে পরমাণু যুদ্ধ হলে ১৫০ টেরাগ্রাম ধোঁয়া সৃষ্টি হবে৷

নেচার জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের গবেষকরা ২০২৫ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধ হলে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হবে তাও জানার চেষ্টা করেছেন৷ তারা বলছেন, ঐ যুদ্ধ হলে প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ প্রাণ হারাবেন৷ আর আড়াইশ কোটি মানুষ দুই বছরের জন্য খাদ্য সংকটে পড়বেন৷

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ‘ইউনিয়ন অফ কনসার্নড সায়েন্টিস্টের’ গ্লোবাল সিকিউরিটি প্রোগ্রামের ঊর্ধ্বতন বিজ্ঞানী ডিলান স্পলডিং বলেন, ভূমিতে পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ আর আকাশে বিস্ফোরণ- এই দুইয়ের মধ্যে প্রভাবে ভিন্নতা আছে৷

আকাশে বোমা ফাটলে অনেক প্রাণহানি হতে পারে৷ তবে আশেপাশের পরিবেশে তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব কম হতে পারে৷ কিন্তু ভূমিতে বিস্ফোরণ হলে প্রাণহানির পাশাপাশি পরিবেশ ও মানুষের উপর তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব বেশি হতে পারে৷ হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে বোমা বিস্ফোরণ এবং চেরনোবিল দুর্ঘটনার মধ্যে তুলনা করলে এই বিষয়টার প্রমাণ পাওয়া যায়৷ কারণ হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে বিস্ফোরণে যে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়েছিল তার পরিমাণ চেরনোবিলের চেয়ে প্রায় ৪০ গুণ কম ছিল৷

ডয়চে ভেলে (ডিডব্লিউ)

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধ হলে কী হবে?

আপডেট সময় : ০৫:৪০:৪১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০২২

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে সপ্তাহব্যাপী পরমাণু যুদ্ধ হলে পরিবেশ, মানুষ ও বৈশ্বিক খাদ্য সরবরাহের উপর তার প্রভাব কেমন পড়বে, তা নিয়ে গত আগস্টে ‘নেচার’ জার্নালে একটি গবেষণা ছাপা হয়৷

গবেষকরা ধারণা করেছেন, ঐ যুদ্ধের কারণে ৩৬ কোটি মানুষ মারা যেতে পারেন৷ পাঁচশ কোটি মানুষ দুই বছরের জন্য খাদ্য সংকটে পড়তে পারেন, কারণ বিস্ফোরণের কারণে সৃষ্ট ধোঁয়ার ঝুল খাদ্য উৎপাদন বিনষ্ট করবে৷

যুদ্ধে কৌশলগত অস্ত্র ব্যবহার করা হবে ধরে নিয়ে এই গবেষণা করা হয়েছে৷ গবেষণার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাটগার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাস সায়েন্সেসের অধ্যাপক অ্যালান রবোক জানান, কৌশলগত অস্ত্র বলতে ‘অনেক দূর থেকে ছোড়া হয়েছে’ এমন অস্ত্র বোঝায়৷

আগের এক গবেষণায় অধ্যাপক রবোক দেখিয়েছিলেন, হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে পরমাণু বোমা বিস্ফোরণে প্রায় ০.৫ টেরাগ্রাম ধোঁয়া সৃষ্টি হয়েছিল৷ আর সম্প্রতি করা গবেষণায় তিনিসহ অন্যান্য গবেষকরা ধারণা করেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে পরমাণু যুদ্ধ হলে ১৫০ টেরাগ্রাম ধোঁয়া সৃষ্টি হবে৷

নেচার জার্নালে প্রকাশিত প্রতিবেদনের গবেষকরা ২০২৫ সালে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পরমাণু যুদ্ধ হলে কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি ও প্রাণহানি হবে তাও জানার চেষ্টা করেছেন৷ তারা বলছেন, ঐ যুদ্ধ হলে প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ প্রাণ হারাবেন৷ আর আড়াইশ কোটি মানুষ দুই বছরের জন্য খাদ্য সংকটে পড়বেন৷

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংস্থা ‘ইউনিয়ন অফ কনসার্নড সায়েন্টিস্টের’ গ্লোবাল সিকিউরিটি প্রোগ্রামের ঊর্ধ্বতন বিজ্ঞানী ডিলান স্পলডিং বলেন, ভূমিতে পরমাণু বোমার বিস্ফোরণ আর আকাশে বিস্ফোরণ- এই দুইয়ের মধ্যে প্রভাবে ভিন্নতা আছে৷

আকাশে বোমা ফাটলে অনেক প্রাণহানি হতে পারে৷ তবে আশেপাশের পরিবেশে তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব কম হতে পারে৷ কিন্তু ভূমিতে বিস্ফোরণ হলে প্রাণহানির পাশাপাশি পরিবেশ ও মানুষের উপর তেজস্ক্রিয়তার প্রভাব বেশি হতে পারে৷ হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে বোমা বিস্ফোরণ এবং চেরনোবিল দুর্ঘটনার মধ্যে তুলনা করলে এই বিষয়টার প্রমাণ পাওয়া যায়৷ কারণ হিরোশিমা ও নাগাসাকিতে বিস্ফোরণে যে তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়েছিল তার পরিমাণ চেরনোবিলের চেয়ে প্রায় ৪০ গুণ কম ছিল৷

ডয়চে ভেলে (ডিডব্লিউ)