যেসব হকার গার্মেন্ট পণ্য বিক্রি করতো, এখন তারাই বিক্রি করছে মেডিকেল সরঞ্জাম
- আপডেট সময় : ১২:০৭:২৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২০
- / ১৫০৫ বার পড়া হয়েছে
করোনা ভাইরাসের কারণে ক’দিন আগে আকাল থাকলেও এখন চট্টগ্রামের অলিগলি ও ফুটপাতেও সহজলভ্য পিপিই, মাস্ক, গ্লাভস, স্যানিটাইজারসহ জীবাণুনাশক বিভিন্ন সুরক্ষা সরঞ্জাম। আগে যেসব হকার গার্মেন্ট পণ্য বিক্রি করতো, এখন তারাই বিক্রি করছে মেডিকেল সরঞ্জাম। তবে এসবের মান নিয়ে কিছুই জানেন না বিক্রেতারা। আর মানহীন এসব পণ্য বিক্রি বন্ধে প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন।
চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এলাকার ফুটপতের চিত্র এটি। হকারদের চৌকিতে এখন পিপিই, মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভসের ছড়াছড়ি। রয়েছে হ্যক্সিসল হ্যাণ্ড স্যানিডাইজারের মতো মেডিকেল সরঞ্জাম। আগ্রাবাদের মতোই জিইসি মোড়, লালদিঘির পাড়, হাজারিগলিসহ নগরীর অধিকাংশ অলিগলিতেই ঝুলছে রং বে-রংয়ের তথাকথিত পিপিই। এগুলোর কোনটি তৈরী হয়েছে শপিং ব্যাগ বানানো টিস্যু কাপড় দিয়ে কোনটিতে ব্যবহার হয়েছে ছাতার কাপড়। অন্য পণ্যের চেয়ে চাহিদা বেশি থাকায় বিক্রি করছেন বলে জানান হকাররা।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের ওষুধের দোকানে বিক্রি হচ্ছে নানান মান ও দামের পিপিই ও মাস্ক। দু’মাস আগেও এগুলো রাখতেন না কোন দোকানদার। ক্রেতাদের চাপে বিক্রি করলেও এসবে মান বা কার্যকারিতার কিছুই জানেন না তারা। আর সিভিল সার্জন বলছেন, যত্রতত্র বিক্রি হওয়া এসব পণ্যের নুন্যতম জিবানু প্রতিরোধের সক্ষমতা নেই। তাই এসব বিক্রি বন্ধ করতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপও চান তিনি।
আর চিকিৎসক নেতারা বলছেন, সরকারের উচিত এসব পণ্যের একটি মানদণ্ড ও বিক্রয়ের জন্য অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান নির্ধারণ করা। করোনা ভাইরাস প্রদুর্ভাবের শুরুতে অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরাও মানহীন এসব পিপিই ব্যবহার করায় অল্প সময়ে অধিক স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলেও জানান চিকিৎসকরা। ফুটেজ-৩