বন্যার পানি নেমে গেলেও ভালো নেই জামালপুর জেলার নদী তীরবর্তী এলাকার বন্যা কবলিত মানুষ। টানা প্রায় ২ সপ্তাহের স্থায়ী বন্যায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ঘরবাড়ি ও ফসলের। বন্যার পানিতে নষ্ট হয়েছে ঘরবাড়ি ও ভেসে গেছে রোপা আমন সহ বীজতলা ও সবজী ক্ষেত। ক্ষতিগ্রস্থ এই সব অসহায় মানুষের দিন কাটছে এখন চরম দুশ্চিন্তায়।

দুপয়সা ঘরে তুলতে জামালপুর জেলার কৃষকরা তাদের জমিতে আবাদ করেছিল রোপা আমন ও বিভিন্ন রকম সব্জি। সেই সাথে রোপন করে বীজতলা। কিন্তু দুসপ্তাহের বন্যার পানিতে ভেস্তে গেছে সবই। কৃষি বিভাগের মতে, এবারের বন্যায় ১৯ হাজার ৫৫৩ হেক্টর জমির ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়। যার মধ্যে রোপা আমন ১৯ হাজার ২৮৩ হেক্টর, রোপা আমন বীজ তলা ১২০ হেক্টর, আর ১৫০ হেক্টর জমিতে আবাদ করা সব্জি ক্ষেত সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে।

এদিকে, পানি নামার পর পঁচে-গলে যাওয়া ফসলের ক্ষেত দুশ্চিন্তা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে কৃষকদের। নতুন করে আমন রোপন করার সামর্থও নেই বন্যায় সব হারানো এইসব মানুষের। এবারের বন্যায় জেলার ৬ উপজেলার ৩৯ ইউনিয়নের ১৬৯ গ্রামের প্রায় ২৩ হাজার পরিবারের লক্ষাধিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।বন্যার পানি ঢুকে নষ্ট হয়েছে বাড়িঘরসহ প্রায় ১৮ কিলোমিটার কাঁচাপাড়া সড়ক। এ জন্য সরকারী সহায়তা চেয়েছেন ক্ষতিগ্রস্থরা।

বন্যায় বাড়িঘর ও ফসলের ক্ষতির কথা স্বীকার করে জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন এই কর্মকর্তারাবন্যা কবলিত মানুষেরা যাতে ঘুরে দাঁড়াতে পারে সেজন্য সরকারীভাবে জরুরী পূনর্বাসনের উদ্যোগ নেয়া হবে এমনটাই প্রত্যাশা ভূক্তভোগিদের।