০২:১৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

বিশ্বে বজ্রপাতে মৃত্যুর এক চতুর্থাংশই বাংলাদেশে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০২:৩৬:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুন ২০২১
  • / ১৫০২ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে বর্জপাতে মৃত্যুর সংখ্যা। চলতি বছর শুধু এপ্রিলেই মারা গেছেন ১১০ জন। গেল ১১ বছরে মৃত্যুর সংখ্যা ২ হাজার ৪৪৭। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে বজ্রপাতে মৃত্যুর এক চতুর্থাংশই বাংলাদেশে। বজ্রপাতে দীর্ঘ হতে থাকা মৃত্যুর এই মিছিলকে উদ্বেগজনক মন্তব্য করে জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে বেড়েছে বজ্রপাত। তবে প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ মোকাবিলায় জনসচেতনতা তৈরীর কোন বিকল্প নেই বলেও মত দেন তারা। সেই সচেতনতা তৈরীতে পাঠ্যসূচীতে বজ্রপাতে করণীয় সম্পর্কে দিক নির্দেশনা বড় হাতিয়ার হতে পারে বলেও মত দেন বিশেষজ্ঞরা।

জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের মতে বজ্রমেঘের ঘর্ষণের ফলে সৃষ্ট হয় এই বজ্রপাত। আর বায়ুমণ্ডলে সেই বজ্রমেঘ তৈরী হয়, বঙ্গোপসাগর থেকে আসা উষ্ণ বাতাস এবং হিমালয় থেকে আসে ঠাণ্ডা বাতাসের মিশ্রনে। দক্ষিণের গরম আর উত্তরের ঠাণ্ডার এই সংমিশ্রণে তৈরি হওয়া বজ্র মেঘের সংঘাতে তৈরী উচ্চ ভোল্টের বৈদ্যুতিক তরঙ্গ দুর্যোগ হয়ে নেমে আসে মাটিতে।

ভৌগলিক কারণেই বাংলাদেশ একটি বজ্রপাত প্রবন অঞ্চল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেড়েছে বজ্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতি সংখ্যা। গেল ১১ বছরে মারা গেছেন প্রায় আড়াই হাজার মানুষ। যাদের ৯০ ভাগই পুরুষ এবং কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। চলতি বছর শুধু এপিল মাসেই মারা গেছেন ১১০ জন।

এমন পরিস্থিতিতে ঢাকাসহ দেশের ৮টি জায়গায় লাইটেনিং ডিটেক্টর বসায় আবহাওয়া অধিদপ্তর। যদিও সেগুলো থেকে পাওয়া যাচ্ছে না কার্যকর তথ্য।

এ বিষয়ে জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা জানান, বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতির এই উর্ধ্বমূখী প্রবনতা উদ্বেগজনক।

আর এই আবহাওয়াবিদ জানান, সম্প্রতি নাসা বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলকে বজ্রপাতের হট স্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ থেকে উত্তোরণে করনীয় সম্পর্কেও কথা বলেন তারা।

তবে বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরামর্শগুলো মেনে চলা উচিত বলে মত দেন বিশেষজ্ঞরা। যেখানে বলা হয়েছে বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গায় বড় গাছের নিচে না দাঁড়ানোর কথা, নৌকায় থাকলে দাঁড়িয়ে না থেকে পাটাতনে শুয়ে থাকা, বৈদ্যুতিক তার কিংবা খুটির নীচে অবস্থান না করা, ছাদের পরিবর্তে ঘরে অবস্থান করা এবং ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসগুলো বন্ধ করা উচিত ।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বিশ্বে বজ্রপাতে মৃত্যুর এক চতুর্থাংশই বাংলাদেশে

আপডেট সময় : ০২:৩৬:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ জুন ২০২১

দেশে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে বর্জপাতে মৃত্যুর সংখ্যা। চলতি বছর শুধু এপ্রিলেই মারা গেছেন ১১০ জন। গেল ১১ বছরে মৃত্যুর সংখ্যা ২ হাজার ৪৪৭। পরিসংখ্যান বলছে, বিশ্বে বজ্রপাতে মৃত্যুর এক চতুর্থাংশই বাংলাদেশে। বজ্রপাতে দীর্ঘ হতে থাকা মৃত্যুর এই মিছিলকে উদ্বেগজনক মন্তব্য করে জলবায়ু বিশেষজ্ঞ ও আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির কারণে বেড়েছে বজ্রপাত। তবে প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ মোকাবিলায় জনসচেতনতা তৈরীর কোন বিকল্প নেই বলেও মত দেন তারা। সেই সচেতনতা তৈরীতে পাঠ্যসূচীতে বজ্রপাতে করণীয় সম্পর্কে দিক নির্দেশনা বড় হাতিয়ার হতে পারে বলেও মত দেন বিশেষজ্ঞরা।

জলবায়ু বিশেষজ্ঞদের মতে বজ্রমেঘের ঘর্ষণের ফলে সৃষ্ট হয় এই বজ্রপাত। আর বায়ুমণ্ডলে সেই বজ্রমেঘ তৈরী হয়, বঙ্গোপসাগর থেকে আসা উষ্ণ বাতাস এবং হিমালয় থেকে আসে ঠাণ্ডা বাতাসের মিশ্রনে। দক্ষিণের গরম আর উত্তরের ঠাণ্ডার এই সংমিশ্রণে তৈরি হওয়া বজ্র মেঘের সংঘাতে তৈরী উচ্চ ভোল্টের বৈদ্যুতিক তরঙ্গ দুর্যোগ হয়ে নেমে আসে মাটিতে।

ভৌগলিক কারণেই বাংলাদেশ একটি বজ্রপাত প্রবন অঞ্চল। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেড়েছে বজ্রপাত ও ক্ষয়ক্ষতি সংখ্যা। গেল ১১ বছরে মারা গেছেন প্রায় আড়াই হাজার মানুষ। যাদের ৯০ ভাগই পুরুষ এবং কৃষিকাজের সঙ্গে জড়িত। চলতি বছর শুধু এপিল মাসেই মারা গেছেন ১১০ জন।

এমন পরিস্থিতিতে ঢাকাসহ দেশের ৮টি জায়গায় লাইটেনিং ডিটেক্টর বসায় আবহাওয়া অধিদপ্তর। যদিও সেগুলো থেকে পাওয়া যাচ্ছে না কার্যকর তথ্য।

এ বিষয়ে জলবায়ু বিশেষজ্ঞরা জানান, বজ্রপাতে ক্ষয়ক্ষতির এই উর্ধ্বমূখী প্রবনতা উদ্বেগজনক।

আর এই আবহাওয়াবিদ জানান, সম্প্রতি নাসা বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলকে বজ্রপাতের হট স্পট হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

প্রাকৃতিক এই দুর্যোগ থেকে উত্তোরণে করনীয় সম্পর্কেও কথা বলেন তারা।

তবে বজ্রপাতের ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরামর্শগুলো মেনে চলা উচিত বলে মত দেন বিশেষজ্ঞরা। যেখানে বলা হয়েছে বজ্রপাতের সময় খোলা জায়গায় বড় গাছের নিচে না দাঁড়ানোর কথা, নৌকায় থাকলে দাঁড়িয়ে না থেকে পাটাতনে শুয়ে থাকা, বৈদ্যুতিক তার কিংবা খুটির নীচে অবস্থান না করা, ছাদের পরিবর্তে ঘরে অবস্থান করা এবং ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসগুলো বন্ধ করা উচিত ।