বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে তীব্র নদীভাঙন
- আপডেট সময় : ০৭:৪০:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০
- / ১৫১৩ বার পড়া হয়েছে
দেশের বিভিন্ন এলাকায় বন্যার পানি নামার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে তীব্র নদীভাঙন। ভাঙনে বিলীন হচ্ছে বসতভিটা ও স্থানীয় নানা স্থাপনা। ভাঙ্গন ঠেকাতে জিও ব্যাগ ফেলতে শুরু করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
কুড়িগ্রামে চতুর্থ দফা বন্যার পানি কমার সাথে সাথে তীব্র হয়ে উঠছে নদী ভাঙ্গন। ঘর-বাড়ি হারিয়ে নি:স্ব হয়ে পড়ছে পরিবারগুলো। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, জেলার নদ-নদীগুলোর অন্তত: ২০টি পয়েন্টে ভাঙ্গন তীব্র হয়ে উঠছে। জরুরি ভিত্তিতে ভাঙ্গন কবলিত ১৬টি পয়েন্টে জিও ব্যাগ ও বালুর বস্তা ফেলে ভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টা চলছে।
টানা ১২ দিন ধরে বাড়লেও, এখন কমতে শুরু করেছে সিরাজগঞ্জের যমুনা নদীর পানি।তবে, শুরু হয়েছে নদী ভাঙ্গন। এছাড়া, নদীর দুটি পয়েন্টের একটিতে এখনো পানি বইছে বিপদসীমার ওপরে।
লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও, নতুন করে শুরু হয়েছে নদী ভাঙন।বর্তমানে তিস্তার ভাঙ্গনে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে সদর উপজেলার গোকুন্ডা ও আদিতমারী উপজেলার মহিশখোচা ইউনিয়ন।
ইতোমধ্যে তিস্তার বাম তীর ভাঙ্গন রোধে ৫০কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদনের জন্য, মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড।
মানিকগঞ্জে যমুনা নদীর পানি আবার বাড়তে শুরু করেছে। জেলার আরিচা পয়েন্টে ২৪ ঘণ্টায় ১৭ সেন্টিমিটার বেড়েছে। এদিকে, বেশ কয়েকটি এলাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন।
ওদিকে, জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চর আমখাওয়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রাম ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে বিলীন হওয়ার পথে।
শিগশিগই নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধে, টেকসই বাঁধ দিয়ে স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছে এলাকাবাসী।