০৪:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

বন্যার জন্য তিন উপজেলার মানুষ দুষছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনকে

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৩:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অগাস্ট ২০২৩
  • / ১৬১২ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার জন্য চট্টগ্রাম-কক্সবাজার নতুন রেলপথকে দুষছে সাতকানিয়া, চন্দনাইশ ও লোহাগাড়ার মানুষ। তাদের দাবি, ফসলি নিচু জমির ওপর এই রেলপথ তৈরী করা হলেও রাখা হয়নি পর্যাপ্ত ব্রীজ ও কালভার্ট। ফলে অনেক এলাকা থেকে এখনো নামেনি পানি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রেলওয়ে বলছে, ১০০ বছরের বন্যা জলচ্ছ্বাসের তথ্য পর্যালোচনা করেই রেলপথের ডিজাইন বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির সঙ্গে বান্দরবানের পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানি যুক্ত হয়ে ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত হয় চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও চন্দনাইশের বিস্তীর্ণ এলাকা। ১০ থেকে ১৫ ফুট উচু পানিতে প্লাবিত হয় পুরো এলাকা। এমনকি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও বান্দরবান রুটে যান চলাচলও বন্ধ থাকে টানা তিন দিন।

জলমগ্ন অনেক এলাকা থেকে এখনো নামেনি বন্যার পানি। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের মাঠ। হঠাৎ তৈরী হওয়া এই বন্যার জন্য এই তিন উপজেলার উপর দিয়ে আড়াআড়িভাবে বয়ে যাওয়া দোহাজারী-কক্সবাজারের নতুন রেল লাইনকে দুষছেন সাধারণ মানুষ। তাদের দাবি, যে পরিমান ব্রীজ-কালভার্ট থাকা দরকার ছিল, তা দেওয়া হয়নি।

তবে ক্ষতিগ্রস্তদের এমন অভিযোগ মানতে নারাজ পুর্বাঞ্চল রেলওয়ে। তাদের দাবি, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দিয়েই নতুন এই মেগা প্রকল্পের সমীক্ষা যাচাই করা হয়। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ৩৯টি বড় সেতু এবং ১৪৫ টি ছোট সেতু ও কালভার্ট বানানো হয়েছে। যা দেশের অন্য যে কোন রেলপথ থেকে বেশি।

ভয়াবহ এই পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় নতুন তৈরী রেলপথের অনেক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে সেপ্টেম্বরে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সঙ্গে পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে রেলপথে সংযুক্ত করার যে সম্ভাবনা তৈরী হয়েছিল, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

বন্যার জন্য তিন উপজেলার মানুষ দুষছে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেললাইনকে

আপডেট সময় : ০৫:৪৩:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অগাস্ট ২০২৩

পাহাড়ি ঢলে সৃষ্ট স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার জন্য চট্টগ্রাম-কক্সবাজার নতুন রেলপথকে দুষছে সাতকানিয়া, চন্দনাইশ ও লোহাগাড়ার মানুষ। তাদের দাবি, ফসলি নিচু জমির ওপর এই রেলপথ তৈরী করা হলেও রাখা হয়নি পর্যাপ্ত ব্রীজ ও কালভার্ট। ফলে অনেক এলাকা থেকে এখনো নামেনি পানি। তবে অভিযোগ অস্বীকার করে রেলওয়ে বলছে, ১০০ বছরের বন্যা জলচ্ছ্বাসের তথ্য পর্যালোচনা করেই রেলপথের ডিজাইন বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

কয়েকদিনের টানা বৃষ্টির সঙ্গে বান্দরবানের পাহাড় থেকে নেমে আসা ঢলের পানি যুক্ত হয়ে ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত হয় চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও চন্দনাইশের বিস্তীর্ণ এলাকা। ১০ থেকে ১৫ ফুট উচু পানিতে প্লাবিত হয় পুরো এলাকা। এমনকি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও বান্দরবান রুটে যান চলাচলও বন্ধ থাকে টানা তিন দিন।

জলমগ্ন অনেক এলাকা থেকে এখনো নামেনি বন্যার পানি। মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ফসলের মাঠ। হঠাৎ তৈরী হওয়া এই বন্যার জন্য এই তিন উপজেলার উপর দিয়ে আড়াআড়িভাবে বয়ে যাওয়া দোহাজারী-কক্সবাজারের নতুন রেল লাইনকে দুষছেন সাধারণ মানুষ। তাদের দাবি, যে পরিমান ব্রীজ-কালভার্ট থাকা দরকার ছিল, তা দেওয়া হয়নি।

তবে ক্ষতিগ্রস্তদের এমন অভিযোগ মানতে নারাজ পুর্বাঞ্চল রেলওয়ে। তাদের দাবি, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান দিয়েই নতুন এই মেগা প্রকল্পের সমীক্ষা যাচাই করা হয়। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ৩৯টি বড় সেতু এবং ১৪৫ টি ছোট সেতু ও কালভার্ট বানানো হয়েছে। যা দেশের অন্য যে কোন রেলপথ থেকে বেশি।

ভয়াবহ এই পাহাড়ি ঢল ও বন্যায় নতুন তৈরী রেলপথের অনেক এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে সেপ্টেম্বরে বন্দর নগরী চট্টগ্রামের সঙ্গে পর্যটন নগরী কক্সবাজারকে রেলপথে সংযুক্ত করার যে সম্ভাবনা তৈরী হয়েছিল, তা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।