১০:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

ফ্রান্সে চলছে দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধর্মঘট

এস. এ টিভি
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৭:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২০
  • / ১৫৬৮ বার পড়া হয়েছে
এস. এ টিভি সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফ্রান্সে চলছে দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধর্মঘট। ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর প্রস্তাবিত পয়েন্টভিত্তিক পেনশন আইন বাতিলের দাবিতে গেল এক মাস ধরে চলছে এই ধর্মঘট। এতে একাত্মতা ঘোষণা করেছে বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন। তারা বলছে- এই আইনের ফলে শ্রমিকরা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই এই আইনটি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। অন্যদিকে সরকার বলছে, এই আইনটি অবশ্যই কার্যকর করা হবে।

টানা এক মাসের ধর্মঘটে ফ্রান্সের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে যেমন ঠাণ্ডা; অন্যদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পরও সময়মতো মিলছে না যানবাহন কিংবা ট্রেন। কর্মস্থলে যেতে এখন একমাত্র বাহন সাইকেল, স্কুটার বা প্রাইভেট গাড়ি। আবার রাস্তায় অতিরিক্ত প্রাইভেট গাড়ির চাপে হাইওয়েতে সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ ট্রাফিক জ্যাম। এছাড়াও যানজটে নাকাল হতে হচ্ছে প্যারিসসহ অন্যান্য শহরের বাসিন্দাদের।

চলমান ধর্মঘটের নেতিবাচক প্রভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। দেশটির কনফেডারেশন অফ ট্যুরিজম অ্যাক্টস এবং ইউনিয়ন অফ ট্রেডস অ্যান্ড হোটেল ইন্ডাস্ট্রিজের তথ্য মতে, ধর্মঘটের কারণে গত এক মাসে হোটেল ও পর্যটন ব্যবসায় ৫০-৬০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

এদিকে, প্রেসিডেন্ট ম্যাঁক্রো নববর্ষের বক্তৃতায় বলেছেন, আগামী ২২ জানুয়ারি আইনটি পার্লামেন্টে তোলা হবে। নতুন এই আইনে আরও অধিক সময় কাজ করতে পারবেন শ্রমিকরা।

চলমান ধর্মঘট নিয়ে এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, ৬৯ শতাংশ মানুষ ধর্মঘটের পক্ষে, যাদের অধিকাংশের বয়স ১৮ থেকে ৩৪ এর মধ্যে। এ অচলাবস্থা দূরীকরণে সরকার ও শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর মধ্যে কার্যকর সংলাপের দাবি জানিয়েছেন ফ্রান্সের সাধারণ নাগরিকরা। এদিকে, আগামী ৯ জানুয়ারি আবারও বড় ধরণের বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা।

এস. এ টিভি সমন্ধে

SATV (South Asian Television) is a privately owned ‘infotainment’ television channel in Bangladesh. It is the first ever station in Bangladesh using both HD and 3G Technology. The channel is owned by SA Group, one of the largest transportation and real estate groups of the country. SATV is the first channel to bring ‘Idol’ franchise in Bangladesh through Bangladeshi Idol.

যোগাযোগ

বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬,
গুলশান-১, ঢাকা-১২১২,
বাংলাদেশ।
ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০
ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪
ই-মেইল: info@satv.tv
ওয়েবসাইট: www.satv.tv

© সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত ২০১৩-২০২৩। বাড়ী ৪৭, রাস্তা ১১৬, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮ ০২ ৯৮৯৪৫০০, ফ্যাক্স: +৮৮ ০২ ৯৮৯৫২৩৪

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ফ্রান্সে চলছে দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধর্মঘট

আপডেট সময় : ০৮:৪৭:০৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ৫ জানুয়ারী ২০২০

ফ্রান্সে চলছে দেশটির ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধর্মঘট। ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর প্রস্তাবিত পয়েন্টভিত্তিক পেনশন আইন বাতিলের দাবিতে গেল এক মাস ধরে চলছে এই ধর্মঘট। এতে একাত্মতা ঘোষণা করেছে বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়ন। তারা বলছে- এই আইনের ফলে শ্রমিকরা ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই এই আইনটি বাতিল না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলবে। অন্যদিকে সরকার বলছে, এই আইনটি অবশ্যই কার্যকর করা হবে।

টানা এক মাসের ধর্মঘটে ফ্রান্সের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। একদিকে যেমন ঠাণ্ডা; অন্যদিকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পরও সময়মতো মিলছে না যানবাহন কিংবা ট্রেন। কর্মস্থলে যেতে এখন একমাত্র বাহন সাইকেল, স্কুটার বা প্রাইভেট গাড়ি। আবার রাস্তায় অতিরিক্ত প্রাইভেট গাড়ির চাপে হাইওয়েতে সৃষ্টি হচ্ছে ভয়াবহ ট্রাফিক জ্যাম। এছাড়াও যানজটে নাকাল হতে হচ্ছে প্যারিসসহ অন্যান্য শহরের বাসিন্দাদের।

চলমান ধর্মঘটের নেতিবাচক প্রভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। দেশটির কনফেডারেশন অফ ট্যুরিজম অ্যাক্টস এবং ইউনিয়ন অফ ট্রেডস অ্যান্ড হোটেল ইন্ডাস্ট্রিজের তথ্য মতে, ধর্মঘটের কারণে গত এক মাসে হোটেল ও পর্যটন ব্যবসায় ৫০-৬০ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

এদিকে, প্রেসিডেন্ট ম্যাঁক্রো নববর্ষের বক্তৃতায় বলেছেন, আগামী ২২ জানুয়ারি আইনটি পার্লামেন্টে তোলা হবে। নতুন এই আইনে আরও অধিক সময় কাজ করতে পারবেন শ্রমিকরা।

চলমান ধর্মঘট নিয়ে এক জনমত জরিপে দেখা গেছে, ৬৯ শতাংশ মানুষ ধর্মঘটের পক্ষে, যাদের অধিকাংশের বয়স ১৮ থেকে ৩৪ এর মধ্যে। এ অচলাবস্থা দূরীকরণে সরকার ও শ্রমিক ইউনিয়নগুলোর মধ্যে কার্যকর সংলাপের দাবি জানিয়েছেন ফ্রান্সের সাধারণ নাগরিকরা। এদিকে, আগামী ৯ জানুয়ারি আবারও বড় ধরণের বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন বিভিন্ন ট্রেড ইউনিয়নের নেতারা।